উত্তরপূর্ব ডেস্ক
বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা ১০ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছালে দেশে উৎসব হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে বাপেক্স ভবন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের উৎসব করবো। এখন আমরা নয় হাজার ৭১৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছি।” আগামী মাসের মধ্যেই দেশের সবগুলো
কেন্দ্রের উৎপাদন ক্ষমতা ১০ হাজার মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারে বলে একই অনুষ্ঠানে জানান প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা তৌফিক-ই-এলাহী বীর বিক্রম। বর্তমানে দেশের ৬২ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় এসেছে বলে জানান তিনি।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বাপেক্স ভবন উদ্বোধন এবং আগারগাঁওয়ে জিটিসিএল ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ইতিমধ্যে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করেছে। নেপাল ও ভুটান থেকে ত্রিপক্ষীয় চুক্তির মাধ্যমে বিদ্যুৎ আনতে আলোচনা চলছে। এছাড়া মিয়ানমারে বিদ্যুৎ উৎপাদন এবং সেখান থেকে তা আমদানির জন্যও আলোচনা চলছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী।
দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশবাসী আওয়ামী লীগকে পুনরায় নির্বাচিত করে জনগণের সেবা করার সুযোগ দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “বাংলাদেশকে আলোকিত করা এবং বাংলাদেশের মানুষের জীবনকে আলোকিত করাই আমাদের লক্ষ্য। আশাকরি আমরা তাতে সক্ষম হবো।” শেখ হাসিনা বলেন, “উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সূর্য, সমুদ্র ও মাটির নিচের সম্পদকে কাজে লাগাবো। এজন্য সকলের সহযোগিতা চাই।” জ্বালানিকে উন্নয়নের অন্যতম উপকরণ হিসেবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্বে জ্বালানি চাহিদার প্রায় পুরোটাই মেটানো হয় জীবাশ্ম জ্বালানি তথা তেল, গ্যাস ও কয়লা থেকে। “আমরা ভাগ্যবান যে, আমাদের গ্যাসের ভাল মজুদ আছে। ইনশাল্লাহ, ভবিষ্যতে আরো পাবো।”
গ্যাস বিক্রি করতে না চাওয়ায় ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসতে পারেনি উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, “তৎকালীন প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান সাহেবের বাসায় একটা বৈঠক হয়।সেখানে আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার আসেন। আমাদের পক্ষ থেকে আমি আর আমাদের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান এবং বিএনপির তরফ থেকে খালেদা জিয়া ও আব্দুল মান্নান ভূইয়া ছিলেন। ওখানে লাঞ্চ হয়।”
ওই বৈঠকে গ্যাস বিক্রির কথা উঠে আসে এবং ৫০ বছরের মজুদ রেখে গ্যাস বিক্রিতে নিজের মত তুলে ধরেছিলেন জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি বুঝতে পারলাম। এই জন্য আর ক্ষমতায় আসতে পারবো না।” আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “দেশের সম্পদ বিক্রি করতে আসিনি। রক্ষা করতে এসেছি।” বাপেক্সকে আরো শক্তিশালী এবং মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ৯ অগাস্ট শেল কোম্পানি থেকে তিতাস, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাসটিলা ও বাখারাবাদ গ্যাস ফিল্ড নামমাত্র মূল্যে কিনে নেয়া হয়। “এর মাধ্যমে দেশের প্রধান প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাসের উপর রাষ্ট্রীয় মালিকানা পুরোপুরিভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়।”
No comments:
Post a Comment