আমাদের সিলেট ডটকম:
কানাইঘাট উপজেলার ৯নং রাজাগঞ্জ ইউপির হাওর বেষ্টিত ফাগু ইসলামপুর গ্রাম থেকে গত বুধবার রাতে এক কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রীকে তার পিত্রালয় থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগে কানাইঘাট থানায় এক স্কুল শিক্ষকসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে অপহরণের অিিভযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, ফাগু ইসলামপুর গ্রামের স্থানীয় বুরহান উদ্দিন বাজারের ব্যবসায়ী আলা উদ্দিন (৫২) এর মেয়ে শায়ীমা বেগম (২০) প্রায় বছর দিন থেকে স্বামী প্রবাসে থাকায় পিত্রালয়ে বসবাস করে আসছিল। এই সুযোগে ফাগু ইসলামপুর গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বর্তমানে জেল হাযতে থাকা আমির উদ্দিনের পুত্র মাদক সেবী বখাটে আব্দুর রহমান (২৫) প্রায়ই শায়ীমা বেগমকে উত্যক্ত করত। মেয়েকে উত্যক্তের ঘটনায় ব্যবসায়ী আলা উদ্দিন আব্দুর রহমানের পরিবারের কাছে বিচার প্রার্থী হয়ে কোন প্রতিকার পান নি। গত বুধবার রাত অনুমান সাড়ে ৯টার সময় আব্দুর রহমান ও তার সহযোগী একই গ্রামের হাজী কলিম উল্লার পুত্র ফাগু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আম্বিয়া (৩২), একই গ্রামের সয়ফুর রহমানের পুত্র এবাদ উদ্দিন (৩০) ব্যবসায়ী আলা উদ্দিনের বাড়ীতে চড়াও হয়ে তার স্ত্রীর ও ছেলে মেয়েদের ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে শায়ীমা বেগমকে একটি নৌকায় তুলে হাওর এলাকা দিয়ে পালিয়ে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় শায়ীমা বেগমের পিতা আলা উদ্দিন গত বৃহস্পতিবার বাদী হয়ে তার মেয়েকে অপহরণের অভিযোগ এনে উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার এস.আই আতিক ঐদিন সরেজমিনে ঘটনাস’ল পরিদর্শন করে অভিযোগে সত্যতা পান। তবে এ নিয়ে স’ানীয় লোকজন জানিয়েছেন, শায়ীমা বেগম কে প্রেমের ফাদে ফেলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুর রহমান তার বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। শায়ীমা বেগমের পিতা আলা উদ্দিন কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, পূর্ব শত্রুতার জেরধরে তার মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারী আব্দুর রহমান ও তার পিতা আলা উদ্দিন এলাকার খারাপ প্রকৃতির লোক ও মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। কয়েকদিন পূর্বে আলা উদ্দিন আধা কেজি গাঁজাসহ পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেল হাযতে রয়েছে। তার মেয়েকে কোথায় নিয়ে লুকিয়ে রাখা হয়েছে তিনি জানেন না। মেয়েকে উদ্ধার এবং ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে তিনি পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে এস.আই আতিক সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শায়ীমা বেগমকে আসলে অপহরণ করা হয়েছে কি না এবং সে তার ইচ্ছায় আব্দুর রহমানের সাথে চলে গেছে বিষয়টি তদন্তধীন রয়েছে।
কানাইঘাটে কুয়েত প্রবাসীর স্ত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
Saturday, May 31, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment