সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশনে অতীতে ছড়া ও খাল উদ্ধারে যেসব প্রকল্প হয়েছে সেইসব প্রকল্পে প্রকৃতপক্ষে কতটুকু কাজ হয়েছে তার শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। বুধবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ১ নম্বর ওয়ার্ডে ছড়া ও খালের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরুর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এই তথ্য জানান।
দরগার পশ্চিমের ছড়া ও মঙগলী ছড়ার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কালে মেয়র বলেন, আমি আমার ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছি। তারা আমাকে সঠিক তথ্য দেওয়ার পরে আমি আমার পরিষদকে নিয়ে আপনাদেরকে (সাংবাদিকদের) জানাব বিগত দিনে ছড়া প্রকল্পে কত টাকার প্রজেক্ট হয়েছিল, কোন ছড়াতে কত কোটি টাকার কাজ হয়েছে – সেটার শ্বেতপত্র আমরা প্রকাশ করব।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বুধবার সকাল ১০ টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরদের নিয়ে ১ নম্বর ওয়ার্ডে দরগার পশ্চিমের ছড়া ও মঙগলী ছড়ার অবৈধ স্থাপনা কার্যক্রম আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেন। এসময় সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১ নম্বর ওয়ার্ডের জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্যএই প্রকল্প ওয়ার্ডবাসীর জন্য সুফল বয়ে আনবে উল্লেখ করে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, দর্শণদেউড়ী থেকে দরগার পশ্চিমের ছড়া এবং মঙগলী ছড়া উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এটা সম্পন্ন করা হবে। এতে করে ১ নম্বর ওয়ার্ডের পানি ২ নম্বর ওয়ার্ড ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে প্রবাহমান ছড়ার মাধ্যমে সুরমা নদীতে গিয়ে পড়বে এবং দরগা এলাকার জলাবদ্ধতাঅনেকটাই দূর হবে।
মেয়র বলেন, দীর্ঘ ৩০/৪০ বছর থেকে ছড়া খনন না করার কারণে ছড়া ও খালের আশেপাশে বৃক্ষ জন্ম নিয়েছে, অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে;সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা, বাড়ছে মশার উপদ্রব, হচ্ছে পরিবেশ দূষন। মেয়র বলেন, ‘সিটি কর্পোরেশনের এবারের প্রকল্প হবে পরিকল্পিত ও পরিপূর্ন’।- ছড়া ও খাল উদ্ধারের পর যাতে ২/৪ বছর পরে তা আবার পূর্বের অবস্থায় ফিরে না যায় সেই ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। সিলেট সিটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান জানান, ছড়া ও খাল উদ্ধারের চলমান প্রজেক্ট ১১ কোটি টাকার। এই প্রকল্পের আওতায় নগরীতে ছড়া ও খাল উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এদিকে বুধবার বেলা ১২ টায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগরীর মদীনা মার্কেট এলাকার কালীবাড়ী রাস্তার প্রশস্তকরণ ও ড্রেন নির্মান কাজের উদ্বোধন করেন। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৮০ লাখ টাকা।
No comments:
Post a Comment