নতুন বার্তা,ঢাকা: এ এক অন্য বাংলাদেশ। যারা কোনো কিছুতেই দমে যায় না। সহজেই লক্ষ্যচ্যুত হয় না। কিংবা প্রতিপক্ষের বড় সংগ্রহে ভয় পায় না। তাই নিউজিল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো তিন শতাধিক (৩০৮) রান তাড়া করে চার উইকেটের ঐতিহাসিক এক জয় ছিনিয়ে এনেছে মুশফিকুর রহিম বাহিনী। ফলে ২০১০ সালের পর টানা দ্বিতীয়বারের মতো বাংলাওয়াশের শিকার হলো নিউজিল্যান্ড।
কয়েক বছর বাদে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমানি স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ ফিরেছে। সেই ম্যাচকে জয়ের আলোকে আলোকিত করে তুলেছে বাংলাদেশের দামাল ছেলেরা। যেখানে একক কোনো বীরত্বগাথা নেই। বরং খণ্ড খণ্ড অংশে তা শামসুর রহমান শুভ, নাইম ইসলাম, মমিনুল হক, নাসির হোসেন কিংবা জিয়াউর রহমানদের উচ্ছ্বাসের মিছিল।
নিউজিল্যান্ডের ছুঁড়ে দেয়া পাঁচ উইকেটে সংগ্রহ করা ৩০৭ রানের লক্ষ্যকে বাংলাদেশ ছয় উইকেট হারিয়েই পেরিয়ে গেছে। লক্ষ্য তাড়ায় উদ্বোধনী জুটিতে জিয়াউর রহমান ও শামসুর রহমান ৬১ রানের জুটি গড়েন। এরপর বাংলাদেশকে টেনে নেন দ্বিতীয় ওয়ানডে খেলতে নামা শামসুর। যদিও শেষ পর্যন্ত চার রানের আক্ষেপে পুড়তে হয়েছে তাকে। কারণ, ব্যক্তিগত ৯৬ রানে কোরি অ্যান্ডারসনের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন তিনি। মিস করেছেন সেঞ্চুরি।
নাইম ইসলামও কম যাননি। শামসুরের বিদায়ের পর ভালো খেলার ধারাবাহিকতায় ৬৩ রান করেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। যদিও শেষটা ভালো হয়নি তার। রান আউটের শিকার হন তিনি। জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতাটুকু সেরেছেন নাসির হোসেন ও সোহাগ গাজী। এই জোড় ৪৯.২ ওভারে দলকে জয়ের বন্দরে পৌঁছে দেন। বাংলাদেশ জয় পায় চার উইকেটের ব্যবধানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিউজিল্যান্ড রস টেইলরের সেঞ্চুরিতে (১০৭*) পাঁচ উইকেটে ৩০৭ রান সংগ্রহ করে। টেইলর ছাড়া কিউইদের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেন কলিন মুনরো। বাংলাদেশের মাহমুদুল্লাহ দলের পক্ষে সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড ৩০৭/৫
বাংলাদেশ ৩০৯/৬
ফলাফল: বাংলাদেশ চার উইকেটে জয়ী
No comments:
Post a Comment