সুরমা টাইমস রিপোর্টঃ সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ২৬ দশমিক ৫০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সহ বিভিন্ন ইন্টারনেট, কেবল অপারেটরদের টানানো তার। কোনটি যে বৈদ্যুতিক লাইন আর কোনটি ইন্টানেট লাইন তা বুঝার উপায় নেই। এসবের মধ্যেই প্রতিদিন মারাত্মক ঝুকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে নগরবাসীকে। দীর্ঘ দিন থেকে এসব লাইন মেরামত বা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার কোন উদ্যোগ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে এবার সিটি কর্পোরেশন এসব বিপদজনক লাইন মেরামত সহ আন্ডারগ্রাউন্ডে সরিয়ে নিতে গ্রহন করেছে উদ্যোগ। পাল্টে যাচ্ছে নগরীর চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার-সিটি পয়েন্ট ব্যস্ততম সড়কের চেহারা । এই সড়কের দুই পাশে থাকবে না কোন বৈদ্যুতিক খুটি। থাকবে না মাকড়সার জালের মতো তারের জঞ্জাল। রাস্তার দুই পাশও হয়ে যাবে প্রশস্ত। এমনটাই জানিয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন।
শনিবার সকাল ৯ টা থেকে এই সড়কের দুই পাশের সার্ভে শুরু হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন ও বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড এর সুত্রমতে এই কাজটি বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড ঢাকার সেন্ট্রাল জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্পের আওতায় সম্পন্ন করা হবে।
সার্ভে শুরু করার পর সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানান, ‘চৌহাট্টা থেকে কোর্ট পয়েন্ট পর্যন্ত রাস্তা প্রশস্ত করা এখন সময়ের দাবি। সেই দিকটি চিন্তা করে এই সড়কের দুই পাশের সকল বৈদ্যুতিক খুটি সরিয়ে নেয়া হবে। এই সড়কের সকল ক্যাবল লাইন আন্ডারগ্রাউন্ড (মাটির নিচ দিয়ে) থাকবে।’
মেয়র বলেন, ‘জাইকার অর্থায়নে বাংলাদেশের ময়মনসিংহে ও সিলেটে বিদ্যুত বিভাগের উন্নয়ন কাজ পরিচালিত হচ্ছে জেনে আমি তাদের সাথে যোগাযোগ করি। তাদেরকে এই প্রকল্পের আওতায় চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার-সিটি পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কের বৈদ্যুতিক লাইন আন্ডারগ্রাউন্ডে নিয়ে যাওয়ার জন্য আহবান করি। তারা আমার আহবানে সাড়া দেয়। এই লক্ষ্যে গত ২ নভেম্বর সেন্ট্রাল জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমানের সাথে বৈঠক হয়েছে। তিনি এই কাজ সম্পন্ন করতে সম্মতি প্রকাশ করেছেন।’ মেয়র জানান, ‘মূল কাজ শুরু হবে আগামী বছরের ফ্রেবুয়ারী-মার্চ মাসে। কারণ আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল বিদেশ থেকে নিয়ে আসতে তিন মাস সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প কর্মকর্তারা। তবে এর আগে অন্যান্য সকল কাজ সম্প ন্ন করা হবে।’
এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে চৌহাট্টা-জিন্দাবাজার-সিটি পয়েন্ট পর্যন্ত সড়কের যানজট সমস্যা অনেকাংশে কমবে এবং এই সড়কের সৌন্দর্য্যবর্ধনও হবে।’
এদিকে টেলিফোনে আলাপকালে সেন্ট্রাল জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্প পরিচালক মাহবুবুর রহমান জানান,‘সিলেটে এই ধরনের প্রকল্প প্রথমবারের মতো হলেও বাংলাদেশের ঢাকার একাধিক স্থানে ও চট্রগ্রামে এই ধরনের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। সকলের সহযোগিতা নিয়ে সুন্দরভাবেই এই কাজ বাস্তবায়ন হবে।’
সার্ভে চলাকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর, উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিদ্যুত উন্নয়ন বোর্ড ঢাকার সেন্ট্রাল জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন প্রকল্পের কনসালটেন্ট নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
পাল্টে যাবে নগরী – ক্যাবল যাবে আন্ডারগ্রাউন্ডে
Sunday, November 3, 2013
Labels:
# সুরমা টাইমস
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment