আমাদের সিলেট ডটকম:
সিলেটের পূর্ব জিন্দাবাজারে নেহার মার্কেটে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় এক ছাত্রলীগ কর্মীসহ আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোররাতে জেলা পরিষদের সম্মুখ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে- নগরীর মির্জাজাঙ্গাল স্বপ্নিল ৭০ নম্বর বাসার রাকেশ চৌধুরীর পুত্র তিলক চৌধুরী (২৩), তার সহযোগী হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ থানার দেবপাড়া (মৌলভীবাড়ি) বারিধারার হাজী মোজতবা আলীর পুত্র বর্তমানে ঢাকার পল্লবী ৬১/১ নম্বর বাসার বাসিন্দা হাফিজ আল-মিছবাহ (২৫) ও সিলেটের ওসমানীনগর থানার ইছবপুর গ্রামের মুহিবুর রহমানের পুত্র মো. মামুন আহমদ (২৫)। এ সময় পুলিশ তাদের ব্যবহৃত (ঢাকা মেট্রো-খ-১১-২৬২৭) নম্বর প্রাইভেট কারটি জব্দ করে কোতোয়ালী থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ জানায়, শনিবার ভোররাত চারটার দিকে নগরীর বন্দরবাজার রংমহল টাওয়ারের পশ্চিম পাশের মহাজন পট্টির গলির মুখে কয়েকজন আরোহীসহ একটি প্রাইভেট কার দেখতে পেয়ে পুলিশ তাদের থামার জন্য বলে। এ সময় পুলিশের কথা মত না থামিয়ে তারা জেলা পরিষদের দিকে পালাতে থাকে। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের ধাওয়া করে তিলক চৌধুরীসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করলেও অপর একজন গাড়ী থেকে নেমে পালিয়ে যায়। ধৃতরা পুলিশের কাছে একেক সময় একক কথা বললে পুলিশের সন্দেহ হলে তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তিলক চৌধুরীর বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তার ডানহাতে, বামদিকের বুক, বাহু, গলার বিভিন্ন অংশে পোড়া দাগ রয়েছে।
একটি সূত্রে জানা যায়, গত ৪ সেপ্টেম্বর জিন্দাবাজারস্থ নেহার মার্কেটে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি ঘটনার সাথে তিলক চৌধুরী জড়িত ছিল। ডাকাতিকালে বোমা বিস্ফোরণে আহত তিলক নগরী একটি ক্লিনিকে আত্মগোপন করে চিকিৎসাধীন ছিল। চিকিৎসা শেষে শনিবার তিলক তার আরো ৩ সহযোগীকে নিয়ে এ প্রাইভেট কার যোগে দুর্গাপূজা দেখতে শহরে বের হয়। তবে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিলক কোথায় চিকিৎসাধীন ছিল ও কিভাবে আহত হয়েছে তার কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত ৪ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ফিল্মি স্টাইলে নেহার মার্কেটে স্বর্ণের দোকানে একদল ডাকাত ধারালো অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও ককটেলের বিস্ফোরন ঘটিয়ে প্রকাশ্যে জনাকীর্ণ রাস্তায় ত্রাস সৃষ্টি করে। এ সময় ডাকাতরা মার্কেটের আল-বারাকা জুয়েলার্সে হামলা চালিয়ে দোকান ভাংচুর এবং দোকানের ডিসপ্লেতে থাকা প্রায় ৪২০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। এ সময় মার্কেটের পাহারাদার বাদশা মিয়া তাদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে ডাকাতরা তাকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করে। এছাড়া, দোকানের ম্যানেজার ও কর্মচারীদেরকে এলোপাতাড়িভাবে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় আল-বারাকা জুয়েলার্স কর্তৃপক্ষ কোতোয়ালী থানায় একটি ডাকাতি মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করলেও লুণ্ঠিত কোন স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে পারেনি।
স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি ঘটনা সিলেটে ছাত্রলীগ কর্মীসহ আরো ৩ জন গ্রেফতার
Saturday, October 12, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment