উত্তরপূর্ব ডেস্ক
দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রতিরোধে বিরোধী দলের হুমকির মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নির্বাচন সংবিধান অনুযায়ীই হবে। দেশবাসীকে কোনো ‘অপপ্রচারে’ বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে সোমবার দলের এক সভায় একথা বলেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের সরকারের আমলে ৫ হাজারেরও বেশি নির্বাচন হয়েছে। কোনো নির্বাচনে কোনো অশান্তি হয়নি। ....বিএনপি, আর সঙ্গে দোসর হল জামাত। এদের কাজই হচ্ছে, দেশে অশান্তি সৃষ্টি করা।
“আমি দেশের মানুষকে আহ্বান করব, তারা যেন অন্তত তাদের অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হন। আর সংবিধান মোতাবেক নির্বাচন হবে, জনগণ ভোট দেবে।” দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে এই নির্বাচনটাকে পরিচালনা করতে হবে। যে অগ্রযাত্রা শুরু করেছি, তা যেন ব্যাহত না হয়।”
আগামী নির্বাচনে প্রার্থী চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসাবে এদিন গণভবনে দলের ঠাকুরগাঁও, কক্সবাজার, বাগেরহাট, গাইবান্ধা, ফেনী, সিরাজগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলা এবং এই ছয় জেলার অন্তর্গত উপজেলা, থানা ও প্রথম শ্রেণির পৌরসভা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মতবিনিময় করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী। দলীয় নেতা-কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশ দিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় থাকার গুরুত্ব জনগণের কাছে তুলে ধরতে তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি। “মানুষের এই উন্নতি, এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে হবে। তার জন্য আওয়ামী লীগকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।” বিরোধীদলীয় নেতার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “উনি (খালেদা জিয়া) যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধ করতে হাসিনামুক্ত বাংলাদেশ চান। “উনি তো এখন হেফাজতে ইসলামকে সাথে নিয়ে, জামাতকে সাথে নিয়ে.. ওনার যে রাজনীতি, তাতে তেতুল তত্ত্ব যা দিয়েছে; তাতে মেয়েরা এদেশে পড়াশোনা করতে পারবে না। ক্লাস ফোর পর্যন্ত পড়তে হবে।”
হেফাজতে ইসলামের আমির শাহ আহমদ শফী এক ওয়াজে মেয়েদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করে তাদের চতুর্থ বা পঞ্চম শ্রেণির বেশি পরাশোনা না করানোর কথা বলেন। হেফাজতে ইসলামকে সমর্থনকারী বিএনপি ক্ষমতায় গেলে নারী শিক্ষার অগ্রগতি থেমে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা। “মানুষ কী চায়, দেশ অন্ধকারের দিকে যাক; না আলোর পথে যে যাত্রা শুরু হয়েছে, সেদিকে থাকুক।”
No comments:
Post a Comment