আমাদের সিলেট ডটকমঃ
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আরিফুল হক নগরীর উন্নয়নের সবস্তরের নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন। তিনি বলেছেন, ঈদুল আজহার পর স্বল্প ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে নগরীর উন্নয়ন কাজে আত্মনিয়োগ করবো। সিলেটবাসী বিশাল ভোটে বিজয়ী করার মধ্য দিয়ে তাদের সেবা করার যে গুরুত্ব দায়িত্ব আমার উপর অর্পন করেছেন, সততার সাথে তা পালন করতে আমার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। নগরীর উন্নয়নে স্বল্প মেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে নগরীর সব ফুটপাত দখলমুক্ত করা, যানজট নিরসন, নগরীর পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও সব ধরনের অবৈধ বিলবোর্ড-ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ছড়া ও ড্রেন অবৈধ দখলমুক্ত করা, নিরাপদ পানির সংস্থান ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতি উন্নয়ন।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী নগর ভবনে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রথমবারের মত সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ সব কথা বলেন। আজ বুধবার বিকেলে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত এই মতবিনিময় সভায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মেহদী হাসান ও প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র বলেন, দায়িত্বগ্রহণের পর ইতোমধ্যে নগরীর সব ফুটপাত হকার মুক্ত করা হয়েছে। হকারদের পুনর্বাসনের জন্য লালদীঘি হকার্স মার্কেট সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এছাড়া, সাময়িকভাবে ঈদুল আজহা পর্যন্ত নগরীর রেজিস্ট্রারী মাঠ ও কীন ব্রীজ সংলগ্ন জালালাবাদ পার্কে হকারদের ব্যবসা করার সুযোগ দেয়া হবে। মেয়র বলেন, নগরীর যানজট নিরসনের লক্ষ্যে সব ধরনের অবৈধ গাড়ী পার্কিং বন্ধ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নগর কর্তৃপক্ষের অনুমোদিত কয়েকটি স্ট্যান্ড যাত্রী উঠানামার জন্য নির্দিষ্ট করে দেয়া হবে। এছাড়া, যত্রতত্র ব্যানার ফেস্টুন লাগানো ও তোরণ নির্মাণ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
মেয়র জানান, সিলেট নগরীর অন্যতম প্রধান সমস্যা জলাবদ্ধতা। নগরীর পানি নিষ্কাশনের ছড়াগুলো অবৈধ দখলে চলে যাওয়ায় এই সমস্যা প্রকট হয়েছে। নগরীর ছড়া-নালা উদ্ধারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোরের সহায়তায় বিশেষ উদ্ধার অভিযান পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। মেয়র জানান, নগরবাসীর জন্য নিরাপদ পানির সংস্থানে মেন্দিবাগে স্থাপিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট থেকে আগামী ডিসেম্বরে নগরীতে পানি সরবরাহ শুরু হবে।
নিরাপত্তাহীন মেয়র
মতবিনিময় সভায় মেয়র জানান, নগরীতে সামপ্রতিক ছড়া উদ্ধার অভিযান ও হকার দখলমুক্ত করার কারণে ও নগরবাসীর স্বার্থে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তার শত্রুর সংখ্যা বাড়ছে। ফলে, তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি জানান, আজ বুধবার সকালে তার বৈঠকখানাতে একটি বড় চাকু কে বা কারা ফেলে গেছে। ফলে, তার ও তার পরিবারের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন। তিনি মেয়র হিসেবে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বিধানের দাবী জানান।
এসসিসি’র প্যানেল মেয়র নির্বাচন
এদিকে, আজ দুপুরে নগর ভবনের অনুষ্ঠিত সিলেট সিটি কর্পোরেশনে অনুষ্ঠিত কাউন্সিলরদের সরাসরি ভোটে প্যানেল মেয়র নির্বাচন করা হয়েছে।
সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র হিসেবে নির্বাচিতরা হলেন- কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, এডভোকেট সালেহ আহমদ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এডভোকেট রোকশানা বেগম শাহনাজ।
সূত্র জানায়, দুপুরে নগর ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ২৭ জন পুরুষ কাউন্সিলর ও ৯ জন মহিলা কাউন্সিলর ভোট দেন। প্যানেল মেয়র পদের জন্য ১১ জন প্রার্থী ছিলেন। এর মধ্যে প্রার্থী কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী ও এডভোকেট সালেহ আহমদ ১৬টি করে ভোট পান। পরে, লটারীর মাধ্যমে প্রথম প্যানেল মেয়র নির্বাচিত হন রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। এছাড়া, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলরদের মধ্য থেকে কাউন্সিলর এডভোকেট রোকশানা বেগম শাহনাজ মেয়র নির্বাচিত হন।
No comments:
Post a Comment