আমাদের সিলেট ডটকম:
গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও সিলেট মহানগর ছাত্রদল নেতা জিলুল হক জিলুর হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সিলেট মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি অধ্যাপক মকসুদ আলী, দপ্তর সম্পাদক এডভোকেট আব্দুল ওয়াছেহ্ চৌধুরী জুবের, কোষাধ্যক্ষ ফরহাদ চৌধুরী শামীম ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক দিনার খান হাসু। এক যুক্ত বিবৃতিতে তারা এ আহবান জানিয়ে বলেন, জিলু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতরা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাক এটা আজ সিলেট বিএনপি পরিবারের প্রতিটি সদস্যের দাবি। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বিষয় যে, জিলু হত্যাকান্ডের পর দায়েরকৃত মামলা তদন্তাধীন থাকা অবস্থায় সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পত্রপত্রিকায় কোন এক আসামীর পক্ষে যেভাবে সাফাই গেয়ে বক্তব্য-বিবৃতি দিয়েছেন তাতে তারা শুধু বিএনপি নেতা হিসেবে নিরপেক্ষতাই হারাননি, বরং মামলার তদন্ত কাজে বাধা সৃষ্টির মাধ্যমে জিলু হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছেন বলে প্রতীয়মান হয়।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জিলু হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে কোন নিরাপরাধ লোক নিগৃহীত হোক কিংবা কোন অপরাধী লোক পার পেয়ে যাক এ দু’টোর কোনটাই আমাদের কাম্য নয়। সিলেট মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক যার সাফাই গেয়েছেন সেই সিলেট মহানগর বিএনপি’র সহ-দপ্তর সম্পাদক মাহবুব কাদীর শাহী-ই যে জিলুর হত্যাকারী আমরা সেটাও বলছিনা। ন্যায় বিচারের স্বার্থে আমরা জিলু হত্যার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত চাই। তদন্তে বেরিয়ে আসবে আসল খুনী কারা। মাহবুব কাদীর শাহী বা অন্য কেউ জিলু হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত না থাকলে তারা মামলা থেকে অব্যাহতি পাবে, আর জড়িত থাকলে আইনের আওতায় আসবেÑএটাই স্বাভাবিক। তাই আমরা মনে করি আইনকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে না দিলে ন্যায় বিচার বিঘিœত হতে পারে, যা সুস্থ বিবেক সম্মত কোন মানুষের কাম্য হতে পারেনা। নেতৃবৃন্দ অপর এক বিবৃতিতে বলেন, জিলু হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে দায়েরকৃত মামলাকে কনডেম করার জন্যে স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরীর নাম ব্যবহার করে প্রেরিত সিলেট মহানগর বিএনপি সভাপতি এম এ হক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিটি আমাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আমরা পত্র-পত্রিকা ও বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানতে পেরেছি, এম এ হক স্বাক্ষরিত বিবৃতি সম্পর্কে বিএনপির ভাইস-চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরী অবহিত ছিলেন না এবং তিনি বিবৃতিটি পত্রিকায় যাওয়ার পর জানতে পেরে একাধিক পত্রিকায় ফোনে বিবৃতির সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নাই বলে জানিয়েছেন, যা পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। আমরা মনে করি এই ভুয়া বিবৃতি প্রচার ও প্রকাশ বিএনপির রাজনীতিকে কলুষিত করেছে। কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মুবিন চৌধুরীকে অবহিত না করে, তাঁর নামে সিলেট মহানগর বিএনপি সভাপতি এম এ হক কর্তৃক প্রশ্নবিদ্ধ বিষয়ে বিবৃতি দেয়ার হেতু কি তা বিএনপি’র নেতাকর্মীরা জানতে চায়। আমরা মনে করি এই ভুয়া বিবৃতি প্রচার ও প্রকাশ করে মহানগর বিএনপি সভাপতি তার পদের অপমান করেছেন, অবনমন করেছেন রাজনীতিকে। তাই আমরা এ বিষয়ে তার ব্যাখ্যা চাই অন্যতায় তার পদত্যাগ। কারণ আমরা মনে করি ভুয়া এই বিবৃতি পত্রিকায় প্রেরণ করে তিনি তার বিশ্বস্থতা হারিয়েছেন যে কারণে আগামী দিনে রাজনীতিও তার কাছে নিরাপদ নয়।
জিলুর হত্যাকারীদের বিচার নিশ্চিত করতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করুন – মহানগর বিএনপি
Tuesday, July 1, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment