বিএনপি-জামায়াতের ৮০ নেতা-কর্মী গ্রেফতার

Sunday, December 29, 2013

আমাদের সিলেট ডটকম:

বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিএনপি-জামায়াতের ৮০ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাত থেকে গতকাল রোববার সকাল পর্যন্ত এদের গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সিলেট নগরীতে ২২ জন, বালাগঞ্জ ওসমানীনগরে ১১ জন, হবিগঞ্জের মাধবপুরে ২৭ জন, মৌভলীবাজারের বড়লেখায় ১৮ জন, কুলাউড়ায় ৩ জন ও জুড়ীতে ৩ জন রয়েছেন। গ্রেফতারকৃতদেরকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

মহানগর পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নগর পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে কোতোয়ালী থানা এলাকায় ১৩ জনকেত গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে বিএনপির ৮জন, জামায়াতের ৩কর্মীসহ আরো ২ জন রয়েছেন।

এছাড়াও জালালাবাদ থানা এলাকায় ২ জন, এয়ারপোর্ট থানা এলাকায় ৩জন, দক্ষিণসুরমা থানা এলাকায় ২ জন ও শাহপরান থানা এলাকায় ২জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ আইয়ূব সিলেটের ডাককে জানিয়েছেন, নাশকতার আশংকায় এদের গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে গতকাল এদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

এদিকে, বালাগঞ্জে বিশেষ অভিযানে ছাত্র শিবির নেতাসহ ১১জনকে আটক করেছে থানা পুলিশ। গত শুক্রবার ও শনিবার দিবাগত রাতে থানার বিভিন্নস’ানে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। এসআই রণেশ ভট্রাচার্য, অরূপ কুমার চৌধুরী এবং আরিফুর রহমানের যৌথ নেতৃত্বে শিবির নেতা ছাড়াও হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী ৪ সহোদর এবং এএসআই আশরাফ উদ্দিনের নেতৃত্বে পৃথক অভিযানে গাঁজাসহ একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

শুক্রবার দিবাগত রাত ২টার দিকে উপজেলার বোয়ালজুড় ইউনিয়নের নয়াপাতন গ্রামের মৃত আরব আলীর ছেলে সুজিবুর রহমান (২৮) এবং চুনু মিয়াকে (৩৮) গ্রেফতার করে। তারা জিআর ৬৮/২০১২ হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী। এর আগে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বালাগঞ্জ সদর ইউনিয়নের স’ানীয় সুইসগেইট এলাকা থেকে ২শ ৫০ গ্রাম গাঁজাসহ এহিয়া খান নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। সে নতুন সুনামপুর গ্রামের মকদ্দছ আলীর পুত্র। এছাড়া রাত পৌনে ১টার দিকে স্থানীয় বোয়ালজুড় বাজার থেকে ছাত্র শিবিরের এক নেতাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত শিবির নেতার নাম মতিউর রহমান (৩১)। সে মোবারকপুর গ্রামের আনোয়ার আলীর ছেলে। বোয়ালজুর ইউনিয়ন শিবিরের সভাপতি খারমাপুর গ্রামের ইলিয়াছুর রহমানের ছেলে সালমান মিয়া এছাড়া ওয়ারেন্টভুক্ত জিআর ৩৯/২০১১ হাসামপুরগ্রামের ওয়াজিদ মিয়ার ছেলে জুবেল মিয়া, মৃত হাসিবআলীর ছেলে সামছুল মিয়া, ময়জুল মিয়া, মৃত মনজব আলীর ছেলে চমক আলী, আতিব উল্ল্যার ছেলে ফয়জুল মিয়া, মৃত চমক আলীর ছেলে ছায়াদ মিয়া।এদিকে আটককৃতদের গতকাল রবিবার কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে আলাপকালে বালাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা মো. আব্দুছ ছালেক পুলিশী অভিযান এবং গ্রেফতারের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আসামীদের আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন।

মৌলভীবাজারের বড়লেখায় যৌথবাহিনীর অভিযানে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জামায়াত নেতা এমাদুল ইসলামসহ ১৪ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

বড়লেখা থানা পুলিশ জানায়, এদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের নাশকতা ও সহিংসতাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। শনিবার রাতে ও রোববার ভোর রাতে যৌথবাহিনীর অভিযানে বিভিন্ন স’ান থেকে গ্রেফতারকৃতরা হলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা জামায়াতের কর্ম পরিষদ সদস্য এমাদুল ইসলাম (৫৫) জামায়াত কর্মী তারেক আহমদ পাবেল (৩০) শিবির কর্মী বেলাল আহমদ (১৯) বাবুল আহমদ (১৯) জাকির হোসেন (১৯) সিরাজুল ইসলাম মিরুল (২৪) ইমান উদ্দিন (২০) সালাউদ্দিন আহমদ (২২) জামায়াত নেতা নজিব আলী (৫২) আব্দুস শুক্কুর (৩০) নোমান আহমদ (২৫) সহ আব্দুল হান্নান (৩৫) তাজ উদ্দিন (৩০) মজির উদ্দিন (২৩)। এদিকে সদর ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুল হান্নান (৩৫) তাজ উদ্দিন (৩০) মজির উদ্দিন (২৩) এরা কোন রাজনৈতিক দলের কর্মী নয় বলে দাবী করছেন পরিবার, এলাকাবাসী ও স’ানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

স’ানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, গ্রেফতারকৃত আব্দুল হান্নান পৌর শহরের হাজীগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ী ও তাজ উদ্দিন এবং মজির আপন দুই ভাই তারা দিনমজুর।

বড়লেখা থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আবুল হাশেম গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, গ্রেফতার কৃতদের বড়লেখা থানার নভেম্বর মাসের ১৬ নং ও ডিসেম্বর মাসের ৪, ৭, ১২ নং মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।

মাধবপুর থানা পুলিশ গত শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন স’ানে অভিযান চালিয়ে চুরি, ডাকাতি ও মাদকসহ বিভিন্ন মামলার পলাতক ২৫ আসামীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতার কৃতরা হল সোনাই মিয়া (৫০), হেলাল মিয়া (২৩), সেলিম (২১), আছমা (৩০), রহমত আলী (৩৮), ইদ্রিস মিয়া (২৫), রোকেয়া (২৫), রাখাল রায় (৩০), বেনু মিয়া (৩৮), ইউসুফ আলী (২৭), সাবু (২৯), সাফিয়া (৩০), রউফ (২৮), চান মিয়া (২৫), কাজল (২৬), মহারাজ (২৫), জাহির (৩১), বাচ্চু (২৮), জ্যোৎস্না বেগম (২৭), শাহাব উদ্দিন (২৯), আনোয়ারা (৩১), জরিনা (৩২), ছায়েরা (২৭), রাবেয়া (৩০), ইকবাল (২৭)। অভিযান পরিচালনা করেন থানা অফিসার ইনচার্জ অমল কুমার ধর ও পরিদর্শক তদন- ইয়াছিনুল হকসহ সঙ্গীয় পুলিশ কর্মকর্তারা।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License