ডেস্ক রিপোর্ট : বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, “যার চুরি করার অভ্যেস তিনি সবাইকে চোর ভাবেন। যে নিজে মানুষ খুন করে, তিনি অন্য সবাইকে খুনি ভাবেন।”
তিনি বলেন, “৫টি সিটি করপোরেশন নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বিজয়ী হয়েছে। অথচ বিজয়ী প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেত্রী বলেছেন এ সরকারের অধীনের কোন নির্বাচন সুষ্ঠু হয় নি। তাহলে তাদের প্রার্থী জিতলো কি করে। তারা নিজেরা চুরি, লুটপাট, দূর্নীতি ও ভোট কারচুপি করেন তাই অন্যদেরও চোর ভাবেন।”
সোমবার বিকেলে গণভবনে তৃণমূল আওয়ামী লীগের সঙ্গে মতবিনিময় সভার সূচনা বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা কারচুপির নির্বাচন করি না। এ সরকারের আমলে ৫ হাজার নির্বাচন হয়েছে। কোন নির্বাচনে কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় নি। সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে।”
তিনি বলেন, “এসব অপপ্রচারকারী ও দূর্নীতিবাজদের বিষয়ে দেশবাসীকে সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে।”
বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশের মানুষ শান্তিতে আছে, অশান্তিতে শুধু একজনই আছেন। তিনি হলেন বিরোধী দলীয় নেত্রী।”
রামপাল কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে বলে অনেকে আজ মায়া কান্না করছে। সুন্দরবন ছোট একটা জায়গা না। এটা উনাদের ধারণা নেই।”
বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে পরিবেশ বান্ধব উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, “দিনাজপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি রয়েছে। সেখানে মানুষ বাস করে। তাদের কোন ক্ষতি হচ্ছে না আজকে যারা সুন্দরবন নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তাদের মানুষের জন্য দরদ নেই। তারা সুন্দরবনের জন্য দরদ দেখাচ্ছেন।”
বিরোধী দলীয় নেতাকে উদ্দেশ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন,”তিনি রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতেই দিবেন না। আসলে তার কোন উন্নয়নই পছন্দ হয় না।”
খালেদা জিয়ার ভিন্ন ধারার সরকারের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “খালেদা জিয়া সব উন্নয়ন বন্ধ করে দিয়ে, বিদ্যুৎ, খাদ্য উৎপাদন কমিয়ে দিয়ে ভিন্ন ভাবে দেশ চালাবেন। তিনি নতুন ভবন খুলে, দূর্নীতি লুটপাট করতে ভিন্ন ধারার
সরকার গঠন করতে চান।”
খালেদা জিয়া জামায়াত ও হেফাজতকে সঙ্গে নিয়ে দেশকে অন্ধকারে নিয়ে যাবে মন্তব্য করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “হেফাজত তেতুঁল তত্ত্ব হাজির করেছেন। তার মানে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে তিনি মেয়েদের লেখাপড়া বন্ধ করে দেবেন, মেয়েরা চাকরী করতে পারবে না। তারা দেশকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাবে।”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হচ্ছে, রায়ও আসছে। এই রায় অবশ্যই কার্যকর হবে।”
এ সময় দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এইচটি ইমাম, মোহাম্মদ নাসিম, সতীশ চন্দ্র রায়, কাজী জাফরউল্যাহ, নূহ-উল-আলম লেনিন, ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন, মাহবুব-উল আলম হানিফ, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী ঠাকুরগাঁও, কক্সবাজার, বাগেরহাট, গাইবান্দা, ফেনী, সিরাজগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ জেলা এবং জেলাধীন থানা, উপজেলা ও ১ম শ্রেণীর পৌর শাখার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
‘যার চুরি করার অভ্যেস তিনি সবাইকে চোর ভাবেন: প্রধানমন্ত্রী
Tuesday, October 8, 2013
Labels:
# ডেইলি সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment