বিশ্বনাথ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সহকারি মাহফুজ মিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিৰকদেরকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হুমকি প্রদান করছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে বিশ্বনাথ থেকে অন্যত্র বদলি করা আবেদন জানিয়ে গত সোমবার বিভাগীয় উপ-পরিচালক বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছেন উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষক।
স্মারকলিপিতে উলেৱখ করা হয়, বিশ্বনাথ উপজেলায় ২০০৪ সালে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে সহকারি হিসেবে যোগদান করেন মাহফুজ মিয়া। যোগদানের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি ও প্রতারনার বির্বদ্ধে গত ৪ আগষ্ট ১৮ জন শিক্ষক স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র বিভিন্ন দপ্তরে দাখিল করেন। অভিযোগের কোন তদন্ত না হওয়ায় অভিযুক্ত মাহফুজ দাপটের সাথে বেড়াচ্ছে যে, তাকে কেউ কিছু করতে পারবে না। মন্ত্রনালয়ের সচিব তার আত্নীয় এবং অধিদপ্তরে বেশ কয়েক জন কেরানীর সাথে গভীর বন্ধুত্ব রয়েছে বলে অপপ্রচার করছেন। এরই মধ্যে মাহফুজ মিয়া অফিসের এম.আর হতে ১৮ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে মোবাইল ফোনে হুমকি দিচ্ছেন। চাকুরীর ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্টিসহ নানাবিধ ক্ষতি করবেন বলে হুংকার দিচ্ছেন এবং শিক্ষকদের দেখে নেওয়ারও ভয় দেখাচ্ছেন। ইতিপূর্বে শিৰা অফিস কর্তৃক বিদ্যালয় সমূহের ৯৬ হাজার টাকা আত্নসাত মামলা থেকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তিনি মুক্তি পেয়েছেন। এছাড়া স্মারকলিপিতে আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে তাকে (মাহফুজ মিয়া) উপজেলা হতে বদলির জন্য আবেদন করেন শিক্ষকরা।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিস (প্রাথমিক) সহকারী মাহফুজ মিয়া বলেন, তাদেরকে হুমকি দেয়ার প্রশ্নই হয় না। কি কারণে তারা আমার উপর অসন’ষ্ট তা আমার জানানেই। তিনি বলেন, আমার দুই কাধে দুইজন ফেরেস্তা আছেন তাদেরকে হুমকি কিংবা হয়রানির কথা বলিনাই। আমার বির্বদ্ধে আনিত অভিযোগ সঠিক নয়।
বিশ্বনাথে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮ জন শিক্ষককে মোবাইল ফোনে হুমকি
Thursday, October 10, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment