শাবি প্রতিনিধি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র রাজনীতি ক্রমে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শিক্ষক নিয়োগ ও কর্মকর্তা নিয়োগ নিয়ে শাখা ছাত্রলীগের অভিযোগ, ভিসি ভবন অবরোধ, রাতে ছাত্রদলের হামলা সব মিলিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে হয়ে উঠেছে।
সোমবার রাত সাড়ে এগারটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ছাত্রলীগ নেতা আবু নছর মণ্ডল ও নুরুজ্জামান সরকার উপর ছাত্রদলের মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালায়। বর্তমানে তারা সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এসময় মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে জালালাবাদ পুলিশ। হামলাকারীদের বিচার দাবিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দুপুর ১টার পর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক অবরোধ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল ব›ন্ধ রয়েছে। উদ্ভুত পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি সিন্ডিকেট মিটিংয়ের মাধ্যমে অভিযুক্ত শিক্ষার্থী মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাসকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করেছে। এছাড়া ঘটনা তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলামকে প্রধান করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এদিকে হামলার ঘটনায় শাখা ছাত্রলীগের
একাংশ জাহাঙ্গীর গ্রুপ সমর্থিত শাখা ছাত্রদলের ২য় ছাত্র হলের সাধারণ সম্পাদক মো. ওবাইদুল্লাহ ও সৈয়দ মুজতবা আলী হলের সাধারণ সম্পাদক মাজহার এর রুমে হামলা করে। রুম থেকে নগদ অর্থ লুট ও ব্যবহৃত কম্পিউটার এবং আসবাব পত্র ভাংচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন তারা।
এদিকে হামলার ঘটনায় জালালাবাদ থানায় শাবি ছাত্রলীগের গঠিত কমিটির সহ-সভাপতি অঞ্জন রায় বাদি হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ১৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা প্রদান করেছেন। জালালাবাদ থানায় মামলা নাং ১০।
এদিকে হামলার বিষয়ে উত্তম কুমার দাস উত্তরপূর্বকে বলেন, হামলার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের দুর্বল কমিটি এবং প্রতিক্রিয়াশীল শিক্ষকদের ইন্ধনের কারণে হয়েছে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ সম্পন্ন করায় শাবি ছাত্রলীগ তাতে বাধা প্রদান করেছে এ বিষয়টিও হামলার কারণ হতে পারে। তবে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এরকম হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে শাখা ছাত্রলীগ।
এ বিষয়টিকে উড়িয়ে দিয়ে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এস.এম জাহাঙ্গীর বলেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নিজেরা নিজেদের উপর হামলা করে ছাত্রদলের ইমেজ নষ্টের পায়তারা করছে শাখা ছাত্রলীগ। আর মৃত্যুঞ্জয়কে ছেড়ে দেয়া না হলে ক্যাম্পাসকে অচল করে দেয়া হবে।
এদিকে হামলার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে জালালবাদ থানার পুলিশের প্রতি অহ্বান জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিমাদ্রী শেখর রায়।
No comments:
Post a Comment