আসন্ন দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে দুই প্রধান দলের সাধারণ সম্পাদক ও মহাসচিবের মধ্যে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন বিরোধী দলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সোমবার চীনের রাষ্ট্রদূত লি জুনের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এই প্রস্তাব দেন বলে ঢাকায় দেশটির দূতাবাসের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ চলমান পরিস্থিতিতে উদ্বেগ থেকে বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সোমবার রাতে গুলশানের কার্যালয়ে বৈঠক করে তার মনোভাব জানতে চান চীনের রাষ্ট্রদূত।
খালেদা জিয়া চীনের রাষ্ট্রদূতকে বলেছেন, আলোচনার জন্য তার দল তৈরি। তবে ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপ্রকৃতি নির্ভর করছে সরকারের পদক্ষেপের ওপর।
নির্দলীয় সরকারের রূপরেখা নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের মধ্যে আলোচনা হতে পারে বলে বিরোধী নেতা রাষ্ট্রদূতকে জানান।
লি জুন বিরোধী নেতাকে বলেন, বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে আগামী নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ দেখতে চায় তারা। দুই দলের সঙ্গে কথা বলে একই চাওয়ার প্রতিধ্বনি শুনেছেন তিনি।
তবে এরপরও যে মতপার্থক্য রয়েছে, তার অবসানে আলোচনার ওপর জোর দেন তিনি।
সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনের পর এখন আওয়ামী লীগের অধীনেই পরবর্তী নির্বাচন হবে। তবে এতে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না দাবি করে নির্দলীয় সরকার পদ্ধতি পুনর্বহালের দাবি বিএনপির।
আগামী ২৫ অক্টোবর নির্বাচনের দিন গণনা শুরুর পর সরকার হটাতে আন্দোলনের ঘোষণা রয়েছে বিরোধী দলের। চীনা রাষ্ট্রদূত আশা করেছেন, বিএনপির কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ হবে।
খালেদা জিয়া দেশের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতার কথা স্বীকার করেন। সিলেটে গত শনিবার জনসভায় নিজের বক্তব্যে চীনের বিনিয়োগ বাড়ানোর বিষয়ে আগ্রহ দেখানোর কথাও রাষ্ট্রদূতকে জানান তিনি।
২০০৬ সালে রাজনৈতিক সঙ্কট এড়াতে ওই সময়ে ক্ষমতাসীন বিএনপির তৎকালীন মহাসচিব আব্দুল মান্নান ভূঁইয়া এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিলের মধ্যে সংলাপ হলেও তা ব্যর্থ হয়েছিল।
এরপর সঙ্কট আরো ঘনীভূত হয়ে এসেছিল জরুরি অবস্থা, দুই বছর কার্যত সেনাশাসনে ছিল দেশ।
সোমবার রাত পৌনে নয়টার দিকে গুলশানস্থ বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জুন এর সঙ্গে বৈঠক করেন বিরোধী দলীয় নেতা বেগম খালেদা জিয়া।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী ও চেয়াপারসনের উপদেষ্টা শাবিহ উদ্দিন আহমেদ।
No comments:
Post a Comment