আমাদের সিলেট ডটকম:
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ-এর আমীর, কওমী মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বেফাক চেয়ারম্যান ও দারুল উলুম হাটহাজারীর মুহতামিম, শায়খুল ইসলাম আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য বর্তমান মক্কায় অবস্থান করছে। টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী ইসলামের মৌলিক বিধান পবিত্র হজ্ব, হাজী সাহেবান, মহানবী সা. এবং পবিত্র আরববাসী সম্পর্কে কুরুচিপূর্ণ ও কটাক্ষ করে যে বক্তব্য দিয়েছে তাতে তিনি মর্মাহত হয়েছেন। আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী মন্ত্রীর এই বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদপত্রে প্রদত্ত এক বিবৃতিতে বলেছেন লতিফ সিদ্দিকী ইসলামী শরীয়ত বিধান অনুযায়ী ইসলামের মৌলিক স্তম্ভ পবিত্র হজ্বকে কটাক্ষ করায় সে মুরতাদ হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, হজ্ব মহান আল্লাহ প্রদত্ত বিধান। এই বিধানকে ফরজ করে পবিত্র কোরআনে আয়াত নাজিল হয়েছে। আর মহানবী সা. আল্লাহ প্রেরিত সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ট নবী ও রাসূল। সকল নবীদের সরদার। মক্কা ও মদিনা মুসলিম উম্মাহর পবিত্র স’ান। আরববাসীকে ভালাবাসা আল্লাহ রাসূল সা. কর্তৃক নির্দেশিত। লতিফ সিদ্দিকী পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তম মুসলিম রাষ্ট্র বাংলাদেশের মন্ত্রীসভার সদস্য। একটি মুসলিম প্রধান দেশের মন্ত্রী হয়ে মহানবী সা.,হজ্ব তাবলীগ জামায়াত ও আরববাসীদের নিয়ে কটুক্তি করে চারটি মৌলিক অপরাধ করে ইসলাম ধর্ম থেকে খারিজ হয়েগেছে। সে মুরতাদ। ইসলামে মুরতাদের শাসি- মৃত্যুদন্ড। কোন মুরতাদ ধর্মদ্রোহী তৌহিদী জনতা বাংলাদেশের মন্ত্রী সভায় থাকতে পারবে না। তাকে মন্ত্রীসভা থেকে অপসারণ করতে হবে।
আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী বলেন, এখনো বাংলাদেশে রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। সংবিধানে বিস্মিল্লাহ রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপ্রতি, মন্ত্রী পরিষদ সদস্য, এবং সংসদ সদস্যরাও হজ্ব পালন করেন। হজ্বীদের নিয়ে বিরুপ মন্তব্য কোন বিধর্মীরাও করেনি। লতিফ সিদ্দিকী মুসলিম উম্মাহর হৃদয়ে আঘাত করেছে। তাকে ক্ষমা করা যায় না। তিনি বলেন, বাংলাদেশে যে হারে নাস্তিক ও ধর্মদ্রোহীদের আস্ফালন শুরু হয়েছে তাতে মনে হয় দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের সাথে তারা যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। হেফাজতে ইসলাম যে তের দফা দাবী পেশ করেছিল তা যদি সরকার বাস্তবায়ন করত: লতিফ সিদ্দীকি এতবড় দৃষ্টতা দেখানোর সাহস পেত না। তিনি বলেন, আমরা অনেক ধৈার্য্য ধারণ করেছি। মুসলমানদের ধৈর্য্যের সীমা শেষ হয়ে গেছে। আমাদেরকে রাজপথে নামতে বাধ্য করবেন না। তিনি সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, মহানবী সা. ও ধর্মঅবমাননার সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে আইন পাশ করুন। না হয় জনগণ ক্ষোভে ফুসে উঠলে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।
আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী বলেন, আমরা হুশিয়ারি উচ্চারণ করছি, সরকার ও প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি তার বিরুদ্ধে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে তাকে সালমান রুশদী ও তাসলিমা নাসরিনের পরিণতি ভোগ করতে হবে। আল্লাহর জমিন বাংলাদেশের মাটিতে তাকে চলতে দেয়া হবে না; সেই সাথে সংখ্যারিষ্ঠ নবীপ্রেমিক জনতা সরকারের হঠকারিতারও উপযুক্ত জবাব দেবে। তিনি হেফাজতে ইসলামের পক্ষ থেকে যে কর্মসূচী ঘোষণা করা হয় তা অতিতের মতো সর্বাত্বকভাবে পালন করার জন্য সর্বস্তরের আলেম ওলামা পীর মশায়েখ ও তৌহিদী জনতার প্রতি আহবান জানান।
লতিফ সিদ্দিকী মুরতাদ; তাকে মন্ত্রী পরিষদ থেকে বহিষ্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া হবে -আল্লামা শাহ্ আহমদ শফী
Tuesday, September 30, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment