আমাদের সিলেট ডটকম:
এবার বিএনপি থেকে বহিষ্কার হলেন সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীম। এর আগে অপর বিএনপি দলীয় প্রার্থী, সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহ জামাল নুরুল হুদাকে বহিষ্কার করা হলেও গত বুধবার তা প্রত্যাহার করা হয়।
একাধিক নির্ভরশীল সূত্র দাবী করেছে, প্রভাবশালী এই দুই নেতার বহিষ্কার ও পাল্টা বহিষ্কার নিয়ে বড় অংকের আর্থিক লেনদেন হয়েছে বিএনপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ে। সর্বশেষ বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির সমন্বয় মুশফিকুল ফজল আনসারীর মধ্যস্থতায় ঢাকা ও লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির একাধিক নীতি নির্ধারকের পকেট ভারী করা হয়েছে বলে দাবী করেছে বিএনপি সূত্রগুলো।
এদিকে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি একবার শাহজামাল নুরুল হুদাকে ও এরপর আবার আবুল কাহের শামীমকে বহিষ্কার করায় সদর উপজেলায় বিএনপির প্রকৃত প্রার্থীকে তা নিয়ে বিভ্রান্তি দেখা দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীসহ সদর উপজেলার ভোটারদের মাঝে। কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারকদের পাল্টা পাল্টি বহিষ্কারের ঘটনায় চরম ক্ষুব্ধ এই এলাকায় বিএনপি তথা ১৯ দলের মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে,বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার নির্দেশে যুগ্ম মহাসচিব (দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত) অ্যাডভোকেট রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ শুক্রবার দুপুরে আবুল কাহের শামীমকে বহিষ্কারের নির্দেশ দেয়া হয়।দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত না মেনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় শুক্রবার সকালে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয় বলে ঐ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, সিলেট সদর উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবুল কাহের শামীমকে প্রথমে আনুষ্ঠানিক সমর্থন দেয়া হয়। আবুল কাহের শামীমকে দলের সমর্থন পেতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শমশের মুবিন চৌধুরী বীরবিক্রম। কিন্তু সিলেটের রাজনীতিতে শমশের মুবিনের ভূমিকাকে মেনে নিতে পারেননি বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সমন্বয়ক মুশফিকুল ফজল আনসারী। আনসারীর প্রচেষ্টায় যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হস্তক্ষেপে ঘটে যায় পট পরিবর্তন। বিএনপি চেয়ারপার্সনের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সমন্বয়ক মুশফিকুল ফজল আনসারীর পদৰেপে সাবেক সভাপতি শাহজামাল নূরুল হুদাকে সমর্থন দেয়ার পর কেন্দ্র থেকে আবুল কাহের শামীমকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ দেয়া হয়।স্থানীয় ১৯ দলীয় জোটের কিছু সংখ্যক নেতৃবৃন্দ তার বাসায় গিয়ে নূর্বল হুদাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে কাহের শামীমকে অনুরোধ করেন। কিন্তু কেন্দ্র ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশ এবং অনুরোধ উপেক্ষা করে কাহের শামীম নির্বাচনে অনঢ় থাকেন। আর এ পর্যায়ে মুশফিক আনসারীর মাধ্যমে সিলেট থেকে বড় অংকের আর্থিক চালান যায় লন্ডনে ও ঢাকায়। নগদ নারায়ণের কল্যাণে ঘুরে যায় মোড়। একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে বহিষ্কার করা হলো আবুল কাহের শামীমকে।
এ পরিস্থিতিকে সিলেট সদর উপজেলায় বিএনপি তথা ১৯ দলের মূল প্রার্থী কে- তা নিয়েই চলছেন সরব আলোচনা। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আচরণে ভোটারদের মধ্যে বিভ্রান্তির পাশাপাশি নেতাকর্মীদের মাঝে প্রচন্ড ক্ষোভ দানা বেধেছে।
এবার বিএনপি থেকে কাহের শামীম বহিষ্কার,কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বিপুল অর্থের লেনদেন;ক্ষুব্ধ ও বিভ্রান্ত সদরের ভোটার ও কর্মীরা
Friday, March 21, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment