বাংলাদেশের আটটি স্থান কক্সবাজার, চট্টগ্রাম (পতেঙ্গা), ঢাকা (শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও ক্যান্টনমেন্ট বিমানবন্দর), সিলেট, রাজশাহী, নীলফামারী (সৈয়দপুর) ও যশোরে অবতরণ করতে পারে বিমানটি।
নয়দিন ধরে নিখোঁজ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ ৩৭০ উড়োজাহাজটি ‘ছিনতাই’ হওয়ার আশঙ্কা করছে মালয়েশিয়া। তাদের সন্দেহের চোখে উড়োজাহাজের পাইলট, ক্রু ও যাত্রীরা রয়েছেন। ছিনতাইয়ের দিকে চোখ দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তদন্তকারীরা চোখ দিচ্ছেন উড়োজাহাজটির সম্ভাব্য অবতরণ স্থানের ওপরও।
বৃটেনের সংবাদমাধ্যম মিরর জানায়, পাকিস্তান থেকে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে উড়ে যাওয়ার পর্যাপ্ত জ্বালানি ছিল উড়োজাহাজটিতে।
নিখোঁজ বোয়িং ৭৭৭ উড়োজাহাজটি বিশ্বের ৬৩৪টি রানওয়েতে অবতরণ করতে পারে বলে জানানো হয়েছে মিররের প্রতিবেদনে।
আমেরিকার নিউইয়র্ক সিটিভিত্তিক অলাভজনক ওয়েবসাইট ও অবাণিজ্যিক, সরকারি রেডিও ডব্লিউএনওয়াইসি (WNYC) এর একটি মানচিত্রের বরাত দিয়ে এ দাবি করা হয়েছে।
ডব্লিউএনওয়াইস এর মতে, ২৬টি দেশের ৬৩৪টি রানওয়েতে নিখোঁজ উড়োজাহাজটি অবতরণ করতে পারে। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল, ভূটান, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, মঙ্গোলিয়া, লাওস, থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ ২৬টি দেশের ৬৩৪টি স্থান অবতরণের সম্ভাব্য স্থান হিসেবে দেখছে ডব্লিউএনওয়াইসি।
ওই মানচিত্রে দেখা গেছে, বাংলাদেশের উল্লেখিত নয়টি স্থানে উড়োজাহাজটি অবতরণ করতে পারে।
ডব্লিউএনওয়াইসি জানিয়েছে, সম্প্রতি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল সূত্রের বরাত দিয়ে প্রকাশ করে, উড়োজাহাজটি সবশেষ জ্ঞাত অবস্থান থেকে দুই হাজার ২০০ নটিক্যাল মাইল উড়তে পারে।
৮ মার্চ প্রথম প্রহরে দিনগত রাতে ২২৯ যাত্রী ও ১২ ক্রুবাহী মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ ৩৭০ ফ্লাইটি কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিংয়ের উদ্দেশে রওনা দেয়। এর ঘণ্টা খানেকের মধ্যে মালয়েশীয় উড়োজাহাজ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয় উড়োজাহাজটির। বর্তমানে উধাও উড়োজাহাজটির খোঁজে ২৫টি দেশ অভিযানে অংশ নিয়েছে। সূত্র: ওয়েবসাইট।
No comments:
Post a Comment