আমাদের সিলেট ডটকম:
এতো উপেৰিত কেন সিলেট সিটি মেয়র? এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নগরবাসী ও সংস্লিষ্টদের মনে। সরকারি অনুষ্ঠানসমূহে বার বার উপেক্ষিত বার বার উপেক্ষিত হওয়ার অভিযোগ করছেন মেয়র নিজেই।এ বিষয়ে শনিবার বিকেল ৪ টায় সিলেট নগরীর হোটেল রোজ ভিউ-এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে তার বক্তব্য পেশ করে সাংবাদিক ও সংস্লিষ্ট মহলের কৌতুহল দমন করবেন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, সরকার গঠনের পর অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলেন মেয়র। চলমান রাজনীতির ঊর্দ্ধে উঠে অর্থমন্ত্রীও মেয়রকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দেন। বিভিন্ন অনুষ্টানেও অংশ নিয়েছেন অর্থমন্ত্রী ও মেয়র। বিষয়টিকে সহজভাবে নেননি আওয়ামীলীগ ও বিএনপি নেতারা।
সিলেট সিটি করর্পোরেশনের উদ্যোগে অন্যান্য বছরের মতো এবারও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে ।
গতকাল শুক্রবার দিবসটি উপলক্ষে সিটি কর্পোরেশনের উদ্যেগে শিশুদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। শোক দিবসের আলোচনা সভায় সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এবং বিএনপি ও জামায়াত সমর্থক কাউন্সিলরদের কেউই অংশ নেননি। এ নিয়ে উপস্থিত কাউন্সিলর ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মাঝে দেখা দিযেছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া।
সিটি করর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এনামুল হাবীবের সভাপতিত্বে ও চন্দন দাশের পরিচালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন সিটি কাউন্সিলর আজাদুর রহমান আজাদ, তৌফিক বক্স লিপন, ইলিয়াছুর রহমান ইলিয়াছ, রেবেকা বেগম, জাহানারা খানম মিলন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট শরীফুজ্জামান, ডা, সুধাময় মজুমদার, সিটি কর্মচারী সংসদের সেক্রেটারি আখতার সিদ্দিকী বাবলু প্রমুখ। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৩৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাদ আছর হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহ জামে মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতেও অনুপস্থিত ছিলেন মেয়র আরিফুল হক। অবশ্য শোক দিবসের আলোচনা সভার আগে সিটি করর্পোরেশনের উদ্যোগে আয়োজিত চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার উদ্বোধন করেন মেয়র ।
এর আগের দিন বৃহস্পতিবার সিলেট বিভাগীয় বৃক্ষমেলায়ও মেয়রকে যথাযথভাবে আমন্ত্রণ করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
তবে একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, ‘মেয়রকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল ঠিকই, তবে ব্যানারে প্রধান অতিথি হিসাবে অর্থমন্ত্রীর নাম ছিল। ব্যানারে অতিথি হিসাবে অন্য কারো নাম ছিল না।’ বৃহস্পতিবার থেকে নগরীর কীনব্রীজ এলাকায় শুরু হয়েছে বৃক্ষরোপন অভিযান ও বিভাগীয় বৃক্ষ মেলা। এ মেলা চলবে ২০ দিন। এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন-জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে মঞ্চে ছিলেন -সিলেট সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদ ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন ভূঁইয়া, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা দেলওয়ার হোসেন ও কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খায়রুল বাশার। অনুষ্ঠানের আমন্ত্রনপত্রে আয়োজক হিসেবে সিলেট জেলা ও পুলিশ প্রশাসন, বন বিভাগ এবং কৃষি সমপ্রসারণ অধিদপ্তরের পাশাপাশি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নামও উল্লেখ ছিল। কিন্তু, মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ করা হয়নি।এর আগেও সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ ও জেলা পুলিশের অনুষ্ঠানেও মেয়রকে যথাযথ মূল্যায়ণ না করার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, আগামী ১৭ আগস্ট অনুষ্ঠেয় সপ্তম বিভাগীয় বাংলা লিংক নৌকাবাইচ প্রতিযোগিতায়ও মেয়রকে দায়সারা আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
উপেৰিত কেন সিলেট সিটি মেয়র? আরিফুল হকের সংবাদ সম্মেলন শনিবার
Saturday, August 16, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment