আমাদের সিলেট ডটকম: ছাত্রী ধর্ষণের মামলায় পরিমল জয়ধরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে এসে তার পক্ষে বলার কারণে ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের এক শিক্ষককে বৈরী ঘোষণা করা হয়েছে।
রাজধানীর এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামাজিক বিজ্ঞানের শিক্ষক বাবুল কুমার কর্মকার গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার ৪ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে উপস্থিত হন।
মামলার আসামি ভিকারুননিসা নূন স্কুল ও কলেজের বসুন্ধরা শাখার বাংলা বিভাগের চাকরিচ্যুত শিক্ষক পরিমলকেও এদিন কারাগার থেকে আদালতে আনা হয়।
বাবুল কুমারের সাক্ষ্য তার সহকর্মী পরিমলের পক্ষে যাওয়ায় তাকে বৈরী ঘোষণা করে উল্টো জেরা করেন রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ফোরকান মিয়া। স্বাভাবিকভাবে এই সাক্ষীকে আসামি পক্ষের জেরা করার কথা ছিল।
শিক্ষক বাবুল অভিযোগকারীর পক্ষে সাক্ষ্য দিতে এসে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে বলেন, ২০০১ সালের জুনের শেষ দিকে সম্ভবত দশম শ্রেণির ওই ছাত্রী প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানের কাছে একটি অভিযোগ আনে, যাতে না কি কুরুচিপূর্ণ আচরণের অভিযোগ ছিল।
ধর্ষণের অভিযোগকে নমনীয় করে জবানবন্দি দেয়ায় বাবুল কর্মকারকে বৈরী ঘোষণা করা হয় বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন।
ট্রাইবুনালের পেশকার মো. ফোরকান মিয়া জানান, মঙ্গলবার ভিকারুননিসার গণিতের শিক্ষক জগদীশ চন্দ্র পাল ও শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক জান্নাতুল নেসা রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য দেন।
এ দুই শিক্ষক জবানবন্দি দেয়ার পর তাদের জেরা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবী মাহফুজ মিয়া।
এ নিয়ে এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হল। বিচারক মো. আরিফুর রহমান আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন রেখেছেন বলে পেশকার ফোরকান মিয়া জানিয়েছেন।
ভিকারুননিসার বসুন্ধরা ক্যাম্পাসের বাংলার শিক্ষক পরিমলের বিরুদ্ধে ২০১১ সালে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা।
পরিমলকে রক্ষার অভিযোগ তুলে তৎকালীন অধ্যক্ষ হোসনে আরাকে অপসারণের দাবিও তোলে তারা।
২০১১ সালের ৫ জুলাই ওই ছাত্রীর বাবা বাদি হয়ে বাড্ডা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে পরিমল জয়ধর, অধ্যক্ষ হোসনে আরা এবং স্কুলের বসুন্ধরা শাখার প্রধান লুৎফর রহমানকে আসামি করে মামলা করেন।
ওই বছরের ১৪ অগাস্ট পুলিশ অভিযোগপত্র দাখিল করে। ২০১২ সালের ৭ মার্চ আদালত পরিমলকে রেখে অন্য দুই আসামিকে বাদ দিয়ে অভিযোগ গঠন করে।
২০১১ সালে মামলা দায়েরের দুদিন পর কেরানীগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে পরিমলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই বছরের ১১ জুলাই তিনি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পরিমলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে এসে পক্ষে বললেন সহকর্মী
Tuesday, August 12, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment