নিউইয়র্কে শেখ হাসিনার বিরূদ্ধে আ’লীগের ষড়যন্ত্র

Friday, October 18, 2013

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত প্রীতির অভিযোগ উপস্থাপন করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া চৌধুরী। ছবি-এনা।

যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত প্রীতির অভিযোগ উপস্থাপন করছেন আওয়ামী লীগ নেতা জাকারিয়া চৌধুরী। ছবি-এনা।



নিউইয়র্ক থেকে এনা : যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে যে, গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নিউইয়র্কে হিল্টন হোটেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রবেশ পথের হদিস বিএনপি-জামায়াত জোটকে জানিয়েছিলেন তিনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রীকে বিব্রত পরিস্থিতির মুখে পড়তে হয়েছিল। আরো অভিযোগ করা হয়েছে যে, ২৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘে ভাষণের সময় বাইরে বেলা একটা থেকে ৫টা পর্যন্ত স্বাগত সমাবেশ করবেন আওয়ামী পরিবারের লোকজন। সে জন্যে কর্তৃপক্ষের অনুমতিও নেয়া হয়। কিন্তু বেলা আড়াইটার সময় সকলকে ঐ স্থান ত্যাগের নির্দেশ দেন ড. সিদ্দিকুর রহমান। এর আধ ঘন্টা পর বিএনপি-জামায়াত-হেফাজতের লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে ‘হৈ হৈ রৈ রৈ আওয়ামী লীগ গেল কই’, ‘হৈ হে রৈ রৈ-যুবলীগ গেল কই’ শ্লোগান দেয়। বিকেল ৫টা নাগাদ তারা ঐ স্থানে একনাগারে শেখ হাসিনা ও তার সরকারের বিরুদ্ধে সমাবেশ করেন। আরো অভিযোগ উঠেছে যে, জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত ড. এ কে মোমেনকে প্রধানমন্ত্রীর কাছে থেকে দূরে সরানোর অভিপ্রায়ে ‘সাউথ সাউথ কো-অপারেশন এওয়ার্ড’র বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত মিডিয়ায় অপপ্রচারের ইন্ধন দিচ্ছেন ড. সিদ্দিকুর রহমান। ১৩ অক্টোবর রোববার সন্ধ্যায় (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকালে) নিউইয়র্ক সিটির জ্যাকসন হাইটসে পালকি চায়নিজ সেন্টারে নিউইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের এক সমাবেশের বক্তারা আরো অভিযোগ করেন যে, দু’বছর আগে সভানেত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদিত কমিটির তালিকা নিজ ইচ্ছা অনুযায়ী পাল্টিয়েছেন এবং এখন পর্যন্ত কার্যকরী কমিটির সভা আহবান করেননি। সম্পূর্ণ অসাংগঠনিকভাবে দলীয় কাজকর্ম নিজের ইচ্ছায় করছেন বলেও গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সিংহভাগ নেতা-কর্মীই এ সমাবেশে অংশ নেন। বক্তারা এক মাসের মধ্যে কার্যকরী কমিটির সভা না ডাকলে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাধারণ সদস্যরা তলবী সভার মাধ্যমে সংগঠনের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং সেক্রেটারী সাজ্জাদুর রহমান সাজ্জাদকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেবেন বলেও হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন। ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মহাজোটকে পুননির্বাচিত করার লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা’য় এ হুমকি প্রদান করা হয়। এ সময় ড. সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত প্রীতির অভিযোগ উত্থাপন করে এ সংগঠনের উপদেষ্টা ডা. মাসুদুল হাসান বলেন, ‘হিল্টন হোটেলের কোন পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবেশ করবেন তা জানতো কেবল ডিজি-এসএসএফ এবং ড. সিদ্দিকুর রহমান। তাহলে বিএনপি-জামাত-হেফাজতীরা জানলো কীভাবে?’ এভাবে নেত্রীর নিরাপত্তা হুমকির মুখে যিনি ঠেলে দিতে পারেন তেমন ব্যক্তির কোনই প্রয়োজন নেই আওয়ামী লীগে-এমন ক্ষোভ প্রকাশ করে মাসুদুল হাসান বলেন, ‘অবিলম্বে ড. সিদ্দিকুর রহমানকে বহিষ্কার করতে হবে।’ মহানগর আ’লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী অভিযোগ করেন, ‘ জাতিসংঘে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোমেনকে সভানেত্রী শেখ হাসিনার কাছে ছোট করার জন্যে ‘সাউথ সাউথ কো-অপারেশন এওয়ার্ড’ সম্পর্কে বিএনপি-জামায়াতের লোক দিয়ে জঘন্য অপপ্রচার চালাচ্ছেন ড. সিদ্দিকুর রহমান। তারই অংশ হিসেবে ১৩ অক্টোবর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর অনুষ্ঠিত কথিত এক টক শো’তে বিএনপি-জামাতের দুই নেতার সাথে অংশগ্রহণের সময় ড. সিদ্দিক মন্তব্য করেন যে, বেগম জিয়া কম কথা বলেন বলেই তিনি অধিক জনপ্রিয়।’ জাকারিয়া বলেন, ‘এখন সময় হচ্ছে মুখোশ উন্মোচনের। প্রধানমন্ত্রী ও সভানেত্রীর জাতিসংঘ সফর প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে বলে আমরা এমন স্বেচ্ছাচারি কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আগে মুখ খুলিনি।’ এ সময় যুক্তরাষ্ট্র আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাসিব মামুন বলেন, ‘সংগঠনে চরম স্বৈরাচারি আচরণ করছেন সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান। পদ-পদবি বিক্রি করা হচ্ছে নগদ অর্থের বিনিময়ে। সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনার নামে তিনি যে তামাশা করেছেন তা আর কারো অজানা নেই। এহেন কর্মকান্ডের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে আওয়ামী পরিবার সম্পর্কে বাজে ধারণা তৈরী হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে সংগঠনকে রক্ষার জন্যে তলবী সভার বিকল্প নেই। এজন্যেই ড. সিদ্দিকুর রহমানকে এক মাসের সময় দেয়া হলো।’ নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আজমল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনামঞ্চে চেয়ার সংরক্ষিত থাকা সত্বেও মহাজোটের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন নেতাকে প্রচলিত নিয়মে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এর ফলে তোফায়েল আহমেদ, আমির হুসেন আমু, রাশেদ খান মেনন, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদসহ জাতীয় নেতৃবৃন্দ যুক্তরাষ্ট্র আ’লীগের কর্মকান্ডে বিরুপ অভিজ্ঞতা নিয়ে গেলেন।’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘এত বড় একটি অনুষ্ঠান হলো কিন্তু সংগঠনের ত্যাগী নেতা-কর্মীদের পরিচয় পর্যন্ত করিয়ে দেয়া হয়নি। অধিকন্তু সভাপতি দু’ধরনের ব্যাজ তৈরী করেছিলেন। একটি ছিল তার পছন্দের লোকদের, অপরটি অপছন্দের। এভাবে নেতা-কর্মীর সাথে বৈরী আচরণ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দলীয় পদবি ব্যবহার করে ব্যবসা করা চলবে না। ব্যবসা করতে চাইলে পদবী ছেড়ে দিন।’

জনসংযোগ সম্পাদক কাজী কয়েস বলেন, ‘পরীক্ষিত নেতা-কর্মীরা আজ উপেক্ষিত। চামচা আর ধ্বজাধারীরা সব সুযোগ পাচ্ছে। বিএনপি-জামায়াতের পারপাস সার্ভ করা হচ্ছে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত থেকে। এভাবে আওয়ামী লীগের কর্মকান্ড চলতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘সংগঠনের নামে চাঁদাবাজি করা হচ্ছে কেন?’

উপদেষ্টা সাইফুল ইসলাম রহিম বলেন, ‘জাতিসংঘে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণের সময় বাইরে আওয়ামী পরিবারের স্বাগত সমাবেশ হবার কথা বেলা একটা থেকে অপরাহ্ন ৫টা পর্যন্ত। আমরা সকলে সেখানে জড়ো হয়েছিলাম। কিন্তু আড়াইটার সময় আমাদেরকে ড. সিদ্দিকুর রহমান নির্দেশ দেন ঐ স্থান ত্যাগের জন্য। বিকেল ৩টায় বিএনপি-জামায়াত আর হেফাজতের লোকজন সেখানে এসে শ্লোগান দেয়, ‘হৈ হৈ রৈ রৈ আওয়ামী লীগ গেল কই’ ইত্যাদি। এর অর্থ কি? জবাব চাই সিদ্দিকুর রহমানের কাছে?’ জনাব রহিম আরো অভিযোগ করেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনা সমাবেশের জন্যে দু’ধরনের আইডি তৈরীর কারণ কি?’ তিনি অভিযোগ করেন, ‘সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান দলে অনুপ্রবেশকারী এবং গোপনে বিরোধী দলের এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করছেন। তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা জরুরি।’

নির্বাহী সদস্য শরিফ কামরুল হীরা বলেন, ‘২৭ বছরের অধিক সময় যাবত প্রবাসে এ সংগঠনের সাথে কাজ করছি। আমরা সকল কর্মসূচিতে অংশ নেই সপরিবারে। এতদসত্বেও ড. সিদ্দিকুর রহমান আমার মত কর্মীকে মূল্যায়ন করতে চান না। প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনায় আমাকে একটি আইডি কার্ডও দেয়া হয়নি। এরফলে সাধারণ প্রবাসীর মতই বসতে হয় মিলনায়তনে। এভাবে সংগঠনকে ট্রেড ইউনিয়নে পরিণত করার ষড়যন্ত্র রুখতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে।’

মহানগর আ’লীগের সভাপতি নূরনবী কমান্ডার প্রচন্ড ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীকে সংবর্ধনার অর্থ কোত্থেকে কীভাবে এসেছে সেটি আমরা জানি। এরপরও কেন চাঁদাবাজি করা হয়েছে? এ অর্থের হিসাব দিতেই হবে। দলের নাম ভাঙ্গিয়ে একদিকে ব্যবসা, অপরদিকে চাঁদাবাজি করা চলবে না। আমাদের অনেক শাখা ও সহযোগী সংগঠন রয়েছে, তাদের অর্থেই সংগঠন অনেক ভালভাবে চলবে।’ নূরনবী কমান্ডার বলেন, ‘সংগঠনের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের চাকর-বাকর মনে করেন। এ ধরনের মানসিকতাসম্পন্ন নেতৃত্ব আমরা চাই না।’

ব্র“কলীন আ’লীগের সহসভাপতি জামালউদ্দিন বলেন, ‘সংগঠনের নীতি-নির্দ্ধারকরা যদি অন্য দলের এজেন্ট হিসেবে কাজ করেন তাহলে সামনের নির্বাচনে মহাজোটের বিজয় আসবে কীভাবে?’ চার্চ-ম্যাকডোনাল্ড ইউনিট আ’লীগের সভাপতি ইসমত হক খোকন বলেন, ‘সামনের নির্বাচনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিজয় অর্জনের জন্যে দলকে ভেজাল ও আবর্জনামুক্ত করতে হবে। ঘরের শত্র“ বিভিষণ-এটি ভুলে গেলে চলবে না।’

নিউইয়র্ক যুব নাগরিক কমিটির সভাপতি মো. আলাউদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগের উচ্চপদে থেকে যারা অন্যায় করে যাচ্ছেন, তাদের প্রতিহত করতে হবে সাংগঠনিক বিধি অনুযায়ী।’ নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য যুবলীগের সভাপতি জামাল হুসেন বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ নিয়ে যে নাটক করা হচ্ছে তা এখন অনেকের মুখোশ উন্মোচন করে দেবে। যুক্তরাষ্ট্র যুবলীগ হচ্ছে প্রবাসে মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী তৎপরতা দমনে সবচেয়ে সোচ্চার ও সুসংগঠিত সংগঠন। অথচ ড. সিদ্দিকুর রহমান যুবলীগের সেই নেতৃত্বকে নির্মূলের ষড়যন্ত্র করেছেন।’ আওয়ামী ওলেমা লীগের সভাপতি মাওলানা সাইফুল আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘ড. সিদ্দিকুর রহমান দলের নাম ভাঙ্গিয়ে অর্থ বানাচ্ছেন। অথচ সভানেত্রীর সংবর্ধনা হলের ভাড়া পরিশোধের চেক বাউন্স করেন তিনি কোন মতলবে? সেই ২০ হাজার ডলার পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের কান্ডারি নিজাম চৌধুরীকে পরিশোধ করে সংগঠনের মান বাঁচাতে হয়েছে। আমরা আওয়ামী লীগের এমন কাউকে দেখতে চাই না, যিনি বঙ্গবন্ধু কন্যার মান-সম্মান নিয়ে খেলা করেন, যিনি বিএনপি-জামায়াতের পারপাস সার্ভ করেন।’

এ সভা চলাকালে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের কার্যকরী কমিটির তালিকা বিতরণ করা হয়। সেটির অনুমোদন দিয়েছেন শেখ হাসিনা ২০১১ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর। গত দু’বছরে এই তালিকায় অনেক পরিবর্তন এনেছেন ড. সিদ্দিকুর রহমান। অভিযোগ করা হয় যে, ‘সভানেত্রী এবং তার পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে গত দু’বছরে অসাংগঠনিক অনেক পদক্ষেপ নিয়েছেন ড. সিদ্দিকুর রহমান। এখন সে সবের হিসাব নেয়ার পালা।’ মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ শরিফ রাসেলের সঞ্চালনে এ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন দেওয়ান, শিক্ষা সম্পাদক এম এ করিম জাহাঙ্গির, নির্বাহী সদস্য আজিজুর রহমান সাবু, নূরল আবসার সেন্টু, আমিনুল ইসলাম কলিন্স, আলী হুসেন গজনবী, হাজী নিজামউদ্দিন, হাজী মফিজুর রহমান, মনির হোসেন, রশীদ বখত নজরুল প্রমুখ।

তারা বলছেন, দলের ভেতরে অনুপ্রবেশকারীদের এখনই দল থেকে বহিষ্কার করা না হলে আগামীতে শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগকে অনেক বড় খেসারত দিতে হবে।

উপরোক্ত অভিযোগ প্রসঙ্গে ড. সিদ্দিকুর রহমান বার্তা সংস্থা এনাকে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ও সভানেত্রী শেখ হাসিনা কোন দরজা দিয়ে হোটেল হিল্টনের সংবর্ধনাস্থলে ঢুকবেন এটি ছিল টপ সিক্রেট। ঐ টপ সিক্রেট আমারও জানা আছে এটি ডা. মাসুদুল হাসান জানলেন কী করে?’ ড. সিদ্দিক বলেন, ‘জামায়াত-শিবিরের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রাখেন ডা. মাসুদুল হাসান এবং সে ধরনের সুনির্দিষ্ট অভিযোগেই সম্প্রতি তাকে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সে কারণেই তিনি আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন।’ জাতিসংঘের সামনে স্বাগত সমাবেশ অপরাহ্ন ৩টার মধ্যেই সমাপ্ত করা প্রসঙ্গে ড. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত ড. মোমেন আমাকে জানিয়েছিলেন যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষণ হবে বিকেল ৩টার মধ্যে। তার ভাষণ শেষ হয়েছে মনে করেই আমরা কর্মসূচি সমাপ্ত করেছি। এছাড়াও আরেকটি বিষয় আমাকে বাধ্য করেছে দ্রুত সমাপ্তির জন্য। যুক্তরাষ্ট্্র যুবলীগের বিবদমান গ্র“পের সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে পরস্পরের নিকটে আসছিলেন। সংঘাতের আশংকা সৃষ্টি হয়েছিল।’ ড সিদ্দিক উল্লেখ করেন, আওয়ামী পরিবারের ঐক্যে ফাটল ধরানোর অভিপ্রায়ে বিএনপি-জামায়াত জোট অপচেষ্টা চালাচ্ছে, এটি তারই একটি অংশ।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License