বিশ্বনাথের পল্লীতে কটুক্তির জের ধরে দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকেলে উপজেলার ধলীপাড়া (আমতৈল) গ্রামের আব্দুল গাফফার গং ও আলী হোসেন গংদের মধ্যে। এতে সালিশী ব্যক্তিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
সংঘর্ষে আহতরা হলেন- সালিশী দুদু মিয়া, আলী হোসেন গংদের পক্ষের সাইদুর রহমান, কামরুল ইসলাম, আব্দুল গাফফার গংদের পক্ষের ফয়সল আহমদ, শাহীন আহমদ, জিলৱুর রহমান, আঙ্গুর মিয়া, কাওছার আহমদ, আব্দুর রহিম, ছইফুল হক, আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেল প্রমুখ। এদে মধ্যে সাইদুর রহমান ও আবু বক্কর সিদ্দিক রাসেলকে গুরুতর আহত অবস’ায় চিকিৎসাধিন রয়েছেন। বাকি আহতদের নাম জানা যায়নি। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও সিলেট থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এদিকে, প্রায় ২ ঘন্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় দোকানপাঠ-বাড়িঘর ভাংচুর করা হয়েছে। নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটপাঠের অভিযোগ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আলী হোসেনর পুত্র দিলৱুর রহমানের দোকানে গত বৃহস্পতিবার রাতে কে বা কারা আব্দুল গাফফারের পুত্র আবু বক্কর সিদ্দিকী রাসেলের সদ্য বিবাহিত স্ত্রী’কে নিয়ে কটুক্তি (আরেক জনের বিয়ে করা বউকে টাকার লোভে রাসেল বিয়ে করেছ) করে। বিষয়টি গাফফার গংদের লোকজন শুনতে পেরে প্রতিপক্ষের লোকজনকে জিজ্ঞাসা করতে যায়।
এ নিয়ে রাসেল ও দিল্লুরের মধ্যে কথাকাটাটি হয়। এক পর্যায়ে দিল্লুরসহ তাঁর সাতের লোকজন রাসেলের উপর হামলা করেন। এতে রাসেল গুরুতর আহত হয়। বিষয়টি নিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি হলে স্থানীয় মুরব্বীরা বিষয়টিকে আপোষ-মিমাংশার মাধ্যমে শেষ করেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে আলী হোসেন গংদের পক্ষের ‘আজির উদ্দিন’ স’ানীয় আমতৈল বাজারে যাওয়ার পথে তাঁর পথরোধ করেন রাসেল’র মামা নজরুল ইসলাম লিলু। এখবরটি আজিরের আত্মীয়-স্বজন জানতে পেরে উভয় পক্ষ পুনরায় সংঘর্ষে লিপ্ত হয়ে পড়েন।
এ ব্যাপারে আলী হোসেন বলেন, আব্দুল গাফফারের পুত্র আবু বক্কর সিদ্দিকী রাসেলের টাকার লোভে আরেক জনের বিয়ে করা (প্রেমের বিয়ে) বউকে পূর্বের স্বামী (প্রেমিক)’র তালাক ছাড়াই বিয়ে করে। বিষয়টি এলাকার লোকজনের মধ্যে ছড়িলে পড়লে এনিয়ে নানান সময় নানান রকমের বক্তব্য লোকমুখে ছড়িয়ে আছে। গত বৃহস্পতিবার রাতেও আমার ছেলে দিল্লুরের দোকানে আসা ক্রেতাদের মধ্যে কে বা কাহারা এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা করে। রাসেল পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে আমার পুত্রের দোকানে হামলা করতে যায়। বিষয়টি রাতে মিমাংশাও হয়। আজ (শুক্রবার) বিকেলে আমাদের পক্ষের আজির উদ্দিন বাজারে যাওয়ার পথে তারা (গাফফার গং) তাঁর (আজির) উপর হামলা করে। এক পর্যায়ে তারা আমাদের বাড়িঘর-দোকানপাঠে হামলা করে এবং নগদটাকা-স্বর্ণালক্ষার লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আব্দুল গাফফার গংদের পক্ষের শিহাব উদ্দিন বলেন, রাসেল বা তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে করা কটুক্তি সত্য নয়। তারা আমাদেরকে সামাজিকভাবে হ্যায় প্রতিপন্ন করার জন্য আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার চালাচ্ছে। তারাই প্রথম রাসেলের উপর হামলা করে তাঁকে গুরুত্বর আহত করেছে। হামলা নয়, সংঘর্ষ এড়ানোর জন্য আজিরকে বাজারে না গিয়ে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কথা বলার জন্যই রাসেলের মামা (নজরুল ইসলাম লিলু) তাঁর পথ রোধ করে ছিলেন। এ নিয়ে তারা (আলী হোসেন গং) আমাদের উপর পুনরায় হামলা করে আমাদের লোকজনকে আহত করেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলার রামাপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার খান বলেন, বিষয়টি আপোষ মীমাংশায় শেষ করার চেষ্টা চলছে। আগামী মঙ্গলবার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে দাবি করে বিশ্বনাথ থানার এসআই আবু-সাঈদ বলেন, এলাকার মুরব্বীদের হস-ক্ষেপে বিষয়টি আপোষ-মিমাংশায় শেষ করার চেষ্ঠা চলছে।
বিশ্বনাথের পল্লীতে কটুক্তির জের ধরে দফায় দফায় সংঘর্ষ আহত ২০ ॥ দোকান-বাড়ি ভাংচুর,লুটপাঠের অভিযোগ
Friday, October 18, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment