নিউইয়র্ক থেকে এনা : প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশারফ হোসেন নিউইয়র্কে সাপ্তাহিক ঠিকানাকে প্রদত্ত একান্ত সাক্ষাতকারে বলেছেন যে, সামনের নির্বাচনে গণরায় পেলে ঢাকায় শাহজালাল ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে প্রবাসীদের লাল গালিচা সংবর্ধনার স্থায়ী ব্যবস্থা অবলম্বন করা হবে। প্রবাসীদের সেবায় ৬০ জেলায় প্রবাসী ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। সে সব ডেস্ক আরো সক্রিয় করা হবে। জাতিসংঘে চলতি সাধারণ অধিবেশনে অভিবাসীদের মানবাধিকার নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সংলাপে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করতে ৩-৪ অক্টোবর নিউইয়র্কে ছিলেন প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী। সে সময় গ্রহণ করা হয় এ সাক্ষাতকার এবং তা চলতি সংখ্যা (শুক্রবার বাজারে আসা) ঠিকানায় ফলাও করে প্রকাশিত হয়েছে। প্রশ্নোত্তর আকারে এখানে তা উপস্থাপন করা হলো।
প্রশ্ন : গত ৫ বছরে প্রবাসীদের কল্যাণে আপনার উল্লেখযোগ্য কিছু কাজের বিবরণ জানতে চাই?
উত্তর : নিজের ঢোল তো নিজে পিটানো যায় না। আপনারা নিজেরাই অনুধাবনে সক্ষম হচ্ছেন আমাদের কী সাফল্য রয়েছে। আমরা যারা সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী, তারা সকলেই জানি যে, এ পৃথিবীর জন্মই হয়েছে অভিবাসনের মধ্য দিয়ে। অভিবাসন হচ্ছে আমাদের জন্মগত অধিকার। আদম (আ.) এবং বিবি হাওয়াকে আল্লাহ তা’লা নিষিদ্ধ ফল খেতে মানা করেছিলেন। আমাদের মা যদি ঐ ফল না খেতেন তাহলে তো এই পৃথিবীরই জন্ম হতো না। অর্থাৎ এ পৃথিবীর আবাদ হয়েছে অভিবাসনের মাধ্যমে। পরবর্তীতে রাষ্ট্রের বিবর্তনে অভিবাসন নিয়ে নানা নিয়ম-কানুন আর বিধি নিষেধ তৈরী হয়েছে। প্রকৃত অর্থে আমাদের অভিবাসন শুরু হয়েছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক দেশটি স্বাধীনতা লাভের পর। তার আগে অর্থাৎ পাকিস্তান আমলে অভিবাসন ঘটতো খুবই সীমিত আকারে। সিলেটের একটি নির্দিষ্ট জায়গা থেকে লন্ডনে বাঙালিরা যেতেন। তার পরিপ্রেক্ষিত ছিল আলাদা। ব্যাপক অভিবাসন শুরু হয়েছে স্বাধীনতার পর। তেহাত্তর সালে আমরা অফিসিয়ালি লোক পাঠানো শুরু করি ২০৭৬ জনের মাধ্যমে। এ সংখ্যা বাড়তে বাড়তে পর্যায়ক্রমে গত বছর সর্ববৃহৎ জনগোষ্ঠি বিদেশে পাঠাতে সক্ষম হয়েছি। ৬ লাখ ১০ হাজার বাংলাদেশী বিদেশে এসেছেন গত বছর বিভিন্ন দেশের শ্রমশক্তি হিসেবে। এটি সকলেই জানেন যে, গত বছর সারাবিশ্বে কী ধরনের অর্থনৈতিক বিপর্যয় ছিল। তা সত্বেও আমরা সর্বাধিকসংখ্যক অভিবাসনে সক্ষম হয়েছি। অর্থনৈতিক দুর্যোগ এখনও কেটে উঠেনি। অধিকন্তু কোন কোন ক্ষেত্রে আরো প্রবলভাবে আষ্টেপিষ্টে আকড়ে ধরেছে। জনসংখ্যার দিক দিয়ে আমরা ১৬ কোটি। ভারতের জনসংখ্যা ১১৭ কোটি। ভারতও গত বছর ৬ লাখ লোক বিদেশে পাঠিয়েছে শ্রমশক্তির আওতায়। বিএনপি-জামাতের নেতৃত্বাধীন সরকার ৫ বছরে ৭৭ দেশে পাঠিয়েছে বাংলাদেশীদের। আমরা সে সংখ্যা বৃদ্ধি করেছি ১৫৭-তে। মালয়েশিয়া, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরবে লোক পাঠানো বন্ধ ছিল। বিএনপির আমলে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান ও বাহরাইন-এই ৩ দেশেই লোক যাচ্ছিল। এখন পূর্ব ইউরোপসহ কম্যুনিস্ট দেশগুলোতেও বাংলাদেশীদের যাওয়া শুরু হয়েছে। ব্যাংককেও আমরা লোক পাঠাবো। ৪ দলীয় ঐক্যজোট সরকার ৫ বছরে পাঠিয়েছিল ২ লাখ ৮৬ হাজার বাংলাদেশী। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে তত্বাবধায়ক সরকারের আমলে সাড়ে ৭ লাখ লোক পাঠিয়েছে বিভিন্ন দেশে। এ দু’বছরে বিভিন্ন দেশে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লোক পাঠানোর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশের বিরাট একটি বদনাম হয়েছে। অনেক দেশ এখন বাংলাদেশ থেকে সহজে লোক নিতে চায় না। নানা বিধিনিষেধ আরোপের চেষ্টা করা হয়। যেখানে দরকার ছিল ১০ জন, সেখানে তারা পাঠিয়েছিলেন ১০০ জন। ১০০ জনের দরকার থাকলে পাঠানো হয়েছে এক হাজার জন। মন্ত্রণালয়ের কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে দুর্নীতিবাজ রিক্রটিং এজেন্ট বেআইনী এ পন্থায় অসংখ্য বাংলাদেশীকে মহাদুর্বিপাকে ফেলেছিল। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আমরা যখন রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণ করলাম, তার পরের মাসেই কয়েক হাজার লোক মালয়েশিয়ার ব্রীজের নিচে অবস্থান নিয়েছিলেন। এর ফলে বাংলাদেশকে আন্তর্জাতিকভাবে বিব্রতকর অবস্থায় নিপতিত করা হয়েছিল। সে অবস্থা থেকে পরিত্রাণের সুযোগ সৃষ্টি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি যখন যে দেশে গেছেন, সেখানেই জনশক্তি রপ্তানীর প্রসঙ্গে আলোচনা করেছেন। অনেক দেশকে তিনি কনভিন্স করতে সক্ষম হন যে, বাংলাদেশীরা কঠোর পরিশ্রমী এবং নিষ্ঠার সাথে তারা দায়িত্ব পালন করেন। এর ফলশ্র“িিততেই গত বছর থেকে আমরা অনেক বাধা অতিক্রমে সক্ষম হয়েছি। সৌদি আরবে আমাদের বাজার উন্মুক্ত হয়েছে। মালয়েশিয়ায় ইতিমধ্যেই লোক পাঠানো শুরু হয়েছে। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক পাঠানোর চাহিদা রয়েছে মালয়েশিয়ায়। একইসাথে কুয়েত-কাতারেও বাংলাদেশীদের প্রেরণের ব্যবস্থা চালু হবার পথে।
প্রশ্ন : দক্ষ-অদক্ষ সব ধরনের শ্রমিকের জন্যেই কী এসব দেশের দ্বার খুলে গেছে?
উত্তর : সব মিলিয়েই এসব দেশে আমাদের জন্যে লোক প্রেরণের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
প্রশ্ন : শ্রমশক্তি প্রেরণে অনেক ধরনের অনিয়ম চলছে, সেগুলো দূর করতে বিশেষ কোন পদক্ষেপ নিয়েছেন কি?
উত্তর : অবশ্যই, সবকিছুকে আমরা নিয়ম-নীতির মধ্যে এনেছি। এবং বাংলাদেশের সে সব পদক্ষেপের প্রশংসা উচ্চারিত হলো জাতিসংঘের মূল অনুষ্ঠান থেকে প্রায় সকল রাউন্ড-টেবিল ও সাইড টকে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, অভিবাসন ব্যয় সংকুচন, অভিবাসনে প্রতারকদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ এবং বিদেশে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশীর লাশ দেশে ফিরিয়ে নিয়ে স্বজনের কাছে পৌঁছে দেয়ার পর পরিবারকে ৩ লাখ টাকার অনুদান প্রদানের বিষয়টি জাতিসংঘ শীর্ষ সম্মেলনে বিপুলভাবে সমাদৃত হয়েছে এবং এ ব্যবস্থা অন্য দেশের জন্যে যাতে প্রযোজ্য হয় সে দাবিতে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের এসব কাজকে উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন মহাসচিব বান কি-মুন।
প্রশ্ন : বিদেশে লোক নিয়োগ ও প্রেরণে নানা অনিয়ম কিংবা প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে যে সব রিক্রটিং এজেন্টের বিরুদ্ধে, তাদের ব্যাপারে এখন পর্যন্ত শাস্তিমূলক কোন ব্যবস্থা হয়েছে কি?
উত্তর : অবশ্যই। প্রতারণা করেই তো একেকজনের কাছে থেকে অনেক টাকা হাতিয়ে নেয়া হয়। অন্তত: ৮৫ জনের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। ১২ কোটি টাকার সিকিউরিটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এখন আইন করা হচ্ছে জেল-জরিমানার। তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ সচরাচর পাওয়া যায় না। যখন কেউ মহাবপিদে পড়েন তখনই অভিযোগ করা হয়। তবে টাকা প্রদানের বিপরীতে কোর রশিদ দেখাতে না পারলে কারো বিরুদ্ধে এ্যাকশন নেয়া যায় না।
প্রশ্ন : রিক্রটিং এজেন্টরা এখন কী কিছু বলছে?
উত্তর : হ্যাঁ, তারা প্রচার করে বেড়াচ্ছে যে, আগের রীতি চালু থাকলে মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে লাখ লাখ লোক পাঠাতে পারতেন। তাদের এ দাবিকে আমি অগ্রাহ্য করতে চাই না। অবৈধভাবে তারা পাঠাতে পারতেন। তবে গন্তব্যে পৌঁছে সকলেই কাজ পাচ্ছেন কিনা সেটি তাদের দায়িত্বের মধ্যে থাকে না। কাজ করে ঠিকমত মজুরি না পেলেও তারা কিছু বলেননি। ৩২ হাজার টাকার স্থলে ৬/৭ লাখ টাকার বিনিময়ে একজন মানুষ বিদেশে গিয়ে যদি নতুন করে বিপদে পড়েন তাহলে এর চেয়ে দু:খের আর কী থাকতে পারে। এর আগে অনেকেই রাস্তা-ঘাটে দিনাতিপাত করেছেন কর্মহীনভাবে। ভিক্ষাবৃত্তিও করতে পারেননি ভাষাগত সমস্যার কারণে।
প্রশ্ন : কেয়ারটেকার সরকারের আমলে অপ্রয়োজনীয়ভাবে প্রেরিত লোকদের সমস্যার সমাধান করলেন কীভাবে?
উত্তর : মালয়েশিয়ায় অবৈধভাবে ছিলেন ৩ লাখ, সউদী আরবে রয়েছেন ৫ লাখের মত; আমাদের প্রধানমন্ত্রী নিজে ঐ দু’দেশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। অনুরোধ করেছিলেন যে, ঐসব বাংলাদেশীদের যেন ফেরৎ না দেয়া হয় কিংবা জেলে নেয়া না হয়। ঐ অনুরোধ তারা রক্ষা করেছেন। এ কৃতিত্ব প্রধানমন্ত্রীর। সউদী আরবে অবৈধভাবে বসবাসরত বাংলাদেশীরা ‘আকামা’ পাচ্ছেন।
প্রশ্ন : এই মুহূর্তে সারাবিশ্বে কি পরিমাণ বাংলাদেশী অভিবাসী রয়েছেন?
উত্তর : ৮৫ লাখ। সরকারের রেজিস্টার অনুযায়ী এ সংখ্যা। এর বাইরেও রয়েছেন ১০ লাখের মত-যারা অবৈধভাবে বিভিন্ন দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এছাড়া আরো ১৫/১৬ লাখ বাংলাদেশী রয়েছেন যারা আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, জার্মানী, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ইমিগ্র্যান্ট হয়েছেন।
প্রশ্ন : একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের বিচার বন্ধের জন্যে সউদী প্রশাসন বাংলাদেশকে চাপ দিচ্ছে এবং সে জন্যেই বাংলাদেশ থেকে নতুন করে কোন লোক তারা নিচ্ছে না বলে শোনা যায়। শুধু তাই নয়, যারা সউদীতে রয়েছেন তাদের আকামাও নবায়ন করা হচ্ছে না। এ ব্যাপারে আপনার কাছে কোন তথ্য রয়েছে কি?
উত্তর : একেবারেই বানোয়াট এবং অবান্তর। বরঞ্চ কয়েকজনের বিরুদ্ধে রায় প্রদানের পরই সউদী প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা (সরকারী প্রতিনিধি) ঢাকায় গিয়েছিলেন। তারা বাংলাদেশ থেকে নতুন করে লোক নিয়োগের ব্যাপারে কথা বলেছেন।
প্র্রশ্ন : এ মুহূর্তে কোন কোন দেশ বাংলাদেশের শ্রমিক (দক্ষ-অদক্ষ) নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করছে? কোন ধরনের শ্রমিকের চাহিদা এখন বাড়ছে?
উত্তর : থাইল্যান্ড জেলে (মৎস্যজীবী) নিতে চাচ্ছে অনেক বেশী সংখ্যায়। সার্ভিস সেক্টরের লোকও খুঁজছে তারা। যারা যাবেন তাদের বেতন-ভাতার ব্যাপারে আলোচনা চলছে। রুমানিয়া, এস্তোনিয়া, পূর্ব ইউরোপের বিভিন্ন দেশ, ইন্দোনেশিয়া, তিউনিশিয়া যোগাযোগ করছে লোক নেয়ার জন্যে।
প্র্রশ্ন : কৃষি শ্রমিকের চাহিদা পাচ্ছেন কিনা।
উত্তর : কানাডার সাথে এ নিয়ে আলোচনা চলছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় প্রায় দেড় লাখ লোক গেছেন। সকলেই নিজ দায়িত্বে সে দেশে গেছেন। আমি যাচ্ছি তাদের সমস্যা দূর করতে। এছাড়া আরো লোক পাঠানোর ব্যাপারেও কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো।
প্রশ্ন : যুক্তরাষ্ট্র প্রতি বছর মেক্সিকোসহ সেন্ট্রাল আমেরিকার বিভিন্ন দেশ থেকে বিপুলসংখ্যক কৃষি শ্রমিক আনে সিজনাল লেবার হিসেবে। বাংলাদেশী কৃষকদের এ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তাভাবনা আছে কি?
উত্তর : মেক্সিকো হচ্ছে আমেরিকার প্রতিবেশী। বাংলাদেশ অনেক দূর। তাই স্বল্প সময়ের জন্যে কোন বাংলাদেশী এসে যে আয় করবেন তার চেয়ে যাতায়াত খরচই বেশী হবে। সুতরাং এটি বাস্তবতার পরিপন্থি। তবে আমরা ইটালিতে সিজনাল লেবার পাঠিয়ে থাকি প্রতি বছরই ৭ মাসের জন্য। প্রায় ২০/২৫ হাজার বাংলাদেশী ইটালিতে আসা-যাওয়া করেন ঐ কর্মসূচিতে। সকলেই কৃষি শ্রমিক হিসেবে আসেন।
প্রশ্ন : সিলেট এবং চট্টগ্রাম এয়ারপোর্টে এখনও প্রবাসীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
উত্তর : আমাদের পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে যে, এয়ারপোর্টে কোন প্রবাসীকে অযথা যেন হয়রানি করা না হয়। সন্দেহজনক না হলে কাউকে চেক করা যাবে না। এ নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালিত হচ্ছে। তবে কেউ যদি বেআইনী দ্রব্য-সামগ্রি বহন করেন তবে তাকে তো জিজ্ঞাসাবাদের সম্মুখীন হতেই হবে। প্রবাসী হলেই কী বেআইনী দ্রব্য বহনের অধিকার দেয়া হবে? কখনোই না, আইন তার স্বাভাবিক গতিতে চলছে এয়ারপোর্টে। এতদসত্বেও অযথা কাউকে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে, এমন সুস্পষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে কার্পণ্য করি না। প্রবাসীরা আমাদের নানাভাবে সহায়তা করছেন। আইনের শাসন প্রয়োগেও আশাকরি তারা আন্তরিকতার সাথে সহায়তা দেবেন। কারণ, বেআইনীভাবে কোন দ্রব্য-সামগ্রি বাংলাদেশে নেয়া হলে তার ভিকটিম ঐ প্রবাসীর স্বজনেরাও হতে পারেন। সাম্প্রতিক সময়ে এয়ারপোর্টে তল্লাশীর পর কয়েকজনের কাছে ইয়াবাসহ নেশাজাতীয় দ্রব্য পাওয়া গেছে। তারাও প্রবাসী।
প্রশ্ন : অবকাশ যাপনে প্রবাসীরা স্থানীয় মাস্তান এবং কোন কোন সময় পুলিশ কর্তৃক হয়রানি হচ্ছেন। প্রবাসীদের সহায়-সম্পদ বেদখল করার অভিযোগও রয়েছে। এসব ব্যাপারে আপনার মন্ত্রণালয়ের অবস্থান কি?
উত্তর : ৬০ জেলা সদরে জেলা প্রশাসকের অফিসে প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক খোলা হয়েছে। সার্বক্ষণিক একজন অফিসারও রয়েছেন। প্রবাসীদের সকল সমস্যা নিয়ে তিনি কাজ করছেন। তার পক্ষে সমাধান করা সম্ভব না হলে মন্ত্রণালয়কে জরুরীভাবে অবহিত করার নির্দেশও রয়েছে। তবে কোন প্রবাসী যদি বাড়িতে অবস্থানকালে কোন কারণে কারো সাথে দুর্ব্যবহার করেন, তাহলে আইন তার স্বাভাবিক গতিতেই চলে। সে সময়েই আপত্তি উঠে। অভিযোগ করা হয়, প্রবাসীরা হয়রানি হবার। আমরা বিব্রতবোধ করি। প্রবাসী বলেই কী ৭ খুন মাফ হবে?
প্রশ্ন : নানাবিধ কারণে দ্বৈত-নাগরিকত্বের সার্টিফিকেট নিতে হচ্ছে সিটিজেনশিপ গ্রহণকারীদের। কিন্তু অনেক সময়েই এ কাজটি হতে অনেক সময় লাগছে।
উত্তর : বিলম্ব হবার কোন কারণ নেই। ক্যাবিনেট মিটিংয়ে আমি বিষয়টি উত্থাপন করবো। কারণ, এটি হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। এ ছাড়া এ ধরনের অভিযোগ আগে শুনিনি।
প্রশ্ন : নিউইয়র্ক অঞ্চলে ৩ লক্ষাধিক বাংলাদেশীর প্রাণের দাবি হচ্ছে ‘বাংলাদেশ ভবন’ প্রতিষ্ঠা। বাংলাদেশ কন্স্যুলেটের নিজস্ব ভবন হলেই এ দাবি পূরণ হতে পারে। বর্তমানে যে পরিমাণের ভাড়া লাগছে, নিজস্ব ভবন হলে সরকারের বিপুল অর্থ সাশ্রয় হবে। একইসাথে ঐ ভবনে সোনালী এক্সচেঞ্জ, বিমানসহ গুরুত্বপূর্ণ অফিস স্থাপিত হলে প্রবাসীদের সুবিধা হবে। ঐ ভবনে হতে পারে বড় একটি মিলনায়তন-যাকে কম্যুনিটি সেন্টার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।
উত্তর : এ কথাটি পররাষ্ট্র মন্ত্রীকে বলুন।
প্রশ্ন : যেহেতু আপনি প্রবাসীদের মন্ত্রী, সেজন্যে আপনার কাছে পেশ তাকে বলা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সামনে। কিন্তু এখন পর্যন্ত প্রবাসীদের আবেদনটি বাস্তবায়িত হয়নি। ইতিমধ্যেই জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের জন্যে নিজস্ব এপার্টমেন্ট এবং স্থায়ী প্রতিনিধির জন্যে নিজস্ব আবাসও ক্রয় করা হয়েছে।
উত্তর : ক্যাবিনেট মিটিংয়ে এ বিষয়ে আমি কথা বলবো। কারণ, এটিও প্রকৃত অর্থে অর্থ ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাজ। ক্যাবিনেটে বিবিধ এজেন্ডায় রাখবো এটি। আমার মন্ত্রণালয় হলে সাথে সাথে আমি এ্যাকশন নিতে পারতাম। তবে সুখের কথা হচ্ছে যে, ঢাকা এয়ারপোর্টে এখন আর প্রবাসীরা হয়রানি হন না। জামাই আদরে তাদের স্বাগত জানানো হচ্ছে। ভিআইপি ট্রিটমেন্ট দেয়া হচ্ছে। সামনের নির্বাচনে আমরা যদি আবার জনতার রায় পাই তাহলে এয়াারপোর্টে লাল গালিচা অভ্যর্থনার ব্যবস্থা হবে। লাল কার্পেট দিয়ে হেঁটে যাবেন প্রবাসীরা। তবে কেউ যেন অবৈধ পণ্য-সামগ্রি না নেন।
প্রশ্ন : পুনরায় যদি নির্বাচিত হতে পারেন তাহলে প্রবাসীদের জন্যে আপনার বিশেষ কোন পরিকল্পনা রয়েছে কি?
উত্তর : প্রবাসীদের জন্যে আমরা যা করেছি, বিশ্বের কোন দেশ তা করতে পারেনি। প্রত্যেক জেলায় প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক করেছি। প্রবাসী কল্যাণ ফান্ড করা হয়েছে। অনেকে বিদেশে কর্মরত অবস্থায় মারা গেলে তার লাশ পর্যন্ত ফিরিয়ে আনা পরিবারের পক্ষে সম্ভব হয় না। সে ধরনের লাশ সরকারী খরচে পরিবহন করা হচ্ছে। ঐ মৃত ব্যক্তির স্বজনকে আগে ৫০ হাজার টাকা করে দেয়া হতো। আমরা তা বাড়িয়ে এক লাখ টাকা করেছিলাম। সেটিও বেমানান মনে হওয়ায় দুলাখ করেছিলাম। সর্বশেষ গত জুন থেকে ৩ লাখ টাকা করা হয়েছে। ৩ লাখ ফিক্সড ডিপজিট করা হলে মাসে ৩ হাজার টাকা পাবেন পরিবারটি। গ্রামে নিজ বাড়িতে থেকে ৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি পরিবার কোনভাবে চলতে পারবেন।
প্রশ্ন : অভিবাসন ব্যয় নিয়ে বহু অভিযোগ রয়েছে। প্রতারণার শিকারও হচ্ছেন অনেকে।
উত্তর : মালয়েশিয়ায় যেতে আগে কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা লাগতো। এখন সেটি ৩২ হাজার টাকায় নামিয়ে এনেছি। কমপক্ষে ৫ লাখ টাকা লাগে মধ্যপ্রাচ্যের যে কোন দেশে যেতে। সেটি ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকায় নামিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছি। মধ্যপ্রাচ্যে কোন শ্রমিক নেয়া হলে সেই শ্রমিকের যাতায়াত ভাড়া সংশ্লিষ্ট কোম্পানী বহন করতে বাধ্য। এ অবস্থায় মধ্যপ্রাচ্যে অভিবাসন করতে ২৫ হাজার টাকার বেশী লাগার কথা নয়। নির্বাচনের আগেই এ ব্যাপারে সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। আমি মনে করি, এটি হবে আমার মন্ত্রণালয়ের সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব। আরেকটি কথা না বললেই নয় যে, মালয়েশিয়ায় লোক প্রেরণের জন্যে ব্যয়ের পরিমান ৩২ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকায় নামিয়ে আনার কর্মকৌশল চলছে। বিশ্বের সকল অংশে অভিবাসন ব্যয় আমরা ৫০ হাজার টাকার মধ্যে সীমিত রাখার চেষ্টা করছি। এর ফলে যে লোকটি কাজের জন্যে বিদেশে গেলেন, তিনি প্রথম দু’মাসের বেতনেই এই খরচ উঠিয়ে নিতে সক্ষম হবেন। চুক্তি অনুযায়ী, অবশিষ্ট ৩ বছর যা আয় করবে তার পুরোটা সঞ্চয় হবে।
প্রশ্ন : অভিবাসনে ঋণ প্রদানের কার্যক্রম কীভাবে চলছে?
উত্তর : বিদেশে চাকরি পেয়েছেন তার ডক্যুমেন্ট দেখাতে পারলেই প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ঋণ মঞ্জুর করছে। ৩ দিনের মধ্যেই ঋণ মঞ্জুর করা হয়।
প্রশ্ন : এ ঋণ পরিশোধিত হচ্ছে কীভাবে?
উত্তর : গ্রহিতার ইচ্ছা অনুযায়ী পরিশোধ হচ্ছে। অনেকে ৬ মাসের মধ্যেই শোধ করে দিচ্ছেন। এ ঋণ মঞ্জুর করা হয় প্রয়োজনের ভিত্তিতে। এভাবে পুরো অভিবাসন প্রক্রিয়াকে নিয়ম-শৃঙ্খলার মধ্যে এনেছি।
প্রশ্ন : অভিবাসনে প্রতারণাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনের কথা শোনা যাচ্ছিল।
উত্তর : খুবই সত্য, ৭ বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদন্ডের বিধি করা হচ্ছে। একইসাথে ৫ লাখ টাকার জরিমানাও হবে। এ ধরনের আইন পাশ হবে আমি দেশে ফিরে গেলেই।
প্রশ্ন : প্রবাসীদের উদ্দেশে কিছু বলবেন কি?
উত্তর : আমার একটি আবেদন থাকবে যে, আন্তর্জাতিক সকল ফোরামে বাঙালির স্বত্তা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে। প্রবাসীদের কাজকর্মে সারাবিশ্ব মুগ্ধ এবং অভিভূত। এমন কোন কাজে জড়িয়ে পড়বেন না, যাতে জাতি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। একজন প্রবাসীর যে কোন একটি অন্যায়-অপকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত করে লাখ লাখ লোককে। এখন পর্যন্ত বাঙালিরা যে যেখানেই আছেন, অত্যন্ত সুনামের সাথেই রয়েছেন। আমি যে দেশেই যাই না কেন, সে সব দেশের মূলধারার লোকজনের কাছে প্রবাসীদের প্রশংসাই জানতে পারি। সকলেই উল্লেখ করেন যে, বাঙালিরা অত্যন্ত ভদ্র, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল, স্ব স্ব দায়িত্বের প্রতি অত্যন্ত নিষ্ঠাবান। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, জীবিকার স্বার্থে তারা সবার আগে সবকিছু অনুধাবনে সক্ষম হন। ভাষা শেখার ক্ষেত্রেও তারা এগিয়ে থাকেন। এটি একজন বাঙালি হিসেবে আমাকেও উৎসাহ দেয়। বাঙালিদের এই যে সুনাম তা যেন কোনভাবেই ক্ষুন্ন না হয়। এটা সকলেই উপলব্ধি করি যে, একেকজন প্রবাসী হলেন বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত। আমেরিকা, কানাডা, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, জার্মানীসহ বিভিন্ন দেশে যারা স্থায়ী বসতি গড়েছেন তাদের আচার-আচরণের ওপর বাংলাদেশের প্রতি ঐসব দেশের সহায়তা নির্ভর করে থাকে অনেকাংশেই।
প্রশ্ন : একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্তদের ব্যাপারে বাংলাদেশে চলমান বিচার সম্পর্কে বহির্বিশ্বের মনোভাব সম্পর্কে কিছু বলবেন কি?
উত্তর : বহুদেশ ভ্রমণ করেছি র্এইমাঝে। কখনোই আমার কানে কিংবা নজরে আসেনি যে, কোন দেশ এই বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠিয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ কোন প্রশ্নের অবতারণা করেনি। এ্যামনেস্টি ইন্টারনাশনাল নামক একটি সংস্থা কদিন আগে মৃত্যুদন্ডের বিরদ্ধে কথা বলেছে। তারা বলেছে যে, ফাঁসির রায় কার্যকর করা চলবে না। কারণ, এই সংস্থাটি ক্যাপিটল পানিশমেন্টের বিপক্ষে কাজ করছে। তারা কিন্তু বলেনি যে, বিচার সঠিকভাবে হয়নি। বিচার প্রক্রিয়ায় কোন সন্দিহানের কথা তারা বলেনি। তারা যাবজ্জীবন কারাদন্ডের মধ্যে রায় সীমিত রাখতে চায়।
প্রশ্ন : বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায়ে ফাঁসির আসামী এবং একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে লিপ্ত হিসেবে চিহ্নিত কয়েকজন আমেরিকা, কানাডা এবং যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। এদের ফিরিয়ে নিতে কী ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে?
উত্তর : এসব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এবং বিচার মন্ত্রণালয়ে সবকিছু জানানো হয়েছে। কানাডা, আমেরিকা এবং যুক্তরজ্য কখনোই চাইবে না, হত্যাযজ্ঞে লিপ্ত কাউকে আশ্রয় দিতে। তারা যখন আশ্রয় নিয়েছেন সে সময় নিশ্চয়ই একাত্তরে কিংবা পঁচাত্তরের জঘন্য অপকর্মে লিপ্ত থাকার তথ্য উল্লেখ করেননি। এতবড় একটি বিষয় গোপন করাটা এসব দেশে আইনত: দন্ডনীয় অপরাধ। মিথ্যা বলে আশ্রয় নিয়ে থাকলে এখন তাদের আইন অনুযায়ী সিটিজেনশিপ বাতিল করতে হবে। সে পথেই আমরা রয়েছি। প্রয়োজনে আমরা এসব দেশের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তি সাক্ষরেও তৈরী রয়েছি। আদালতে দন্ডপ্রাপ্তদের বাংলাদেশে ফিরিয়ে নিতে সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। একটি বিষয় স্মরণ রাখা দরতার যে, দেশে খুন-হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে এসে কোন দেশে রাজনৈতিক আশ্রয় চাওয়া যায় না। কোন দেশই খুনীকে ঠাঁই দিতে পারে না।
প্রশ্ন : বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়া এ শ্রেণীর ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে কিনা।
উত্তর : যুক্তরাষ্ট্র বিচার বিভাগকে সবকিছু জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিটি সরকারকে অবহিত করেছি। দন্ডপ্রাপ্ত এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগে অভিযুক্তদের বাংলাদেশ সরকার ফেরৎ চেয়েছে। কানাডা থেকে বঙ্গবন্ধুর পলাতক ঘাতককে ফিরিয়ে নিতে মামলা করা হয়েছে। দেশে ফিরে গেলেই ফাঁসিতে ঝুলতে হবে-এমন কাউকে কানাডা ফিরিয়ে দিতে চায় না-এটি তাদের দেশের নীতি। এজন্যে আমরা মামলা করেছি। কারণ, সে আমাদের দেশের আইনে খুনি, তার বিচার বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী হবে। সে রায় তাকে মোকাবেলা করতে হবে। ইচ্ছা করলে দেশে গিয়ে সে আপিলও করতে পারবে।
প্রশ্ন : সামনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কি সরকার গঠনের মত আসনে জয়ী হবে?
উত্তর : আমরা গত পৌণে ৫ বছরে যে কাজ করেছি, তার পুরস্কার হিসেবে অবশ্যই বড় রকমের মেজরিটি নিয়েই আসবো বলে আশা করছি। কারণ, বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়নে বিশ্বাসী। জঙ্গিবাদের অভয়ারন্যে পরিণত হউক বাংলাদেশ,সেটি কেউ চায় না।
প্রশ্ন : সাম্প্রতিক সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভরাডুবি ঘটেছে।
উত্তর : এটি সকলেই জানি যে, স্থানীয় নির্বাচনের সাথে জাতীয় নির্বাচনের কোন সম্পর্ক থাকে না। জাতীয় নির্বাচনে যে দল ক্ষমতায় যায়, পরবর্তীতে স্থানীয় নির্বাচনে সে দলের প্রার্থীদের সচরাচর জনগণ ভোট দেন না। বাংলাদেশ তার ব্যতিক্রম নয়। তাই সিটি কর্পোরেশনের রেজাল্ট জাতীয় নির্বাচনে কোন প্রভাব ফেলবে বলে আমি মনে করি না। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান মহাজোট সরকার কল্যাণমূলক অনেক কাজ করেছে। তার সুফল অবশ্যই আসবে ইনশাআল্লাহ।
প্রশ্ন : কানাডায় পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে কোন ধারণা আছে কি?
উত্তর : দুর্নীতির কথা হয়তো হতে পারে, দুর্নীতির ষড়যন্ত্র নিয়ে কথা হতে পারে, হয়তো কথাবার্তা হয়েছে যে ঐ কাজের জন্যে অমুককে টাকা দিতে হবে, কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে, ঐ প্রকল্পের কাজের জন্য কোন ধরনের চুক্তিপত্রই সম্পাদিত হয়নি। তাই, অপরাধ সংঘটিত না হলে বিচার চলবে কী করে? কানাডার আইনে কীভাবে কীসের বিচার হচ্ছে সে ব্যাপারে আমার বিস্তারিত জানা নেই। তবে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে খোঁজ-খবর রাখা হচ্ছে।
No comments:
Post a Comment