যুক্তরাষ্ট্রের বাজার থেকে প্রাণের গুড়া হলুদ প্রত্যাহারের নির্দেশ

Friday, October 18, 2013

pran-recall-tumeric 18 Oct-13

এফডিএ কর্তৃক বিতরণকৃত প্রাণ গুড়া হলুদের নমুনা প্যাকেট



নিউইয়র্ক থেকে এনা : আমেরিকায় ঈদের মার্কেট থেকে বাংলাদেশের প্রাণের গুড়া হলুদ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ফুড এন্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে প্রাণের গুড়া হলুদের জার/প্যাকেট বাজার থেকে অবিলম্বে স্বেচ্ছায় প্রত্যাহারের নোটিশ জারী করা হয়েছে। যে সব ক্রেতা ইতিমধ্যেই তা ক্রয় করেছেন তাদেরকেও সংশ্লিষ্ট গ্রোসারীতে তা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। ফেরত প্রদানের পর সমুদয় অর্থ প্রদানের কথাও বলেছে এফডিএ। এফডিএ’র ৮ অক্টোবর জারিকৃত এ নির্দেশের কপি বার্তা সংস্থা এনার হাতে এসেছে ১৭ অক্টোবর। এরপর বাংলাদেশী তথা দক্ষিণ এশিয়ান বাণিজ্যিক কেন্দ্রে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ‘প্রাণের এই গুড়া হলুদ আমদানী করছে নিউইয়র্ক সিটির মেসপেথে অবস্থিত ‘এশিয়া ক্যাশ এন্ড ক্যারী ইনক’ নামক একটি প্রতিষ্টান। ২৫০ গ্রামের প্যাকেট/জার ভর্তি হলুদের গুড়া রসায়নাগারে পরীক্ষার পর প্রাথমিক দৃষ্টিতেই উদঘাটিত হয়েছে যে, তা নবজাতক এবং শিশু-কিশোর, গর্ভবর্তী মহিলার জন্যে খুবই ক্ষতিকর। প্রতি মিলিয়নে ২৮ পার্টস করে ‘লীড’ (সীসা) রয়েছে ঐ গুড়া হলুদে। এফডিএ আরো উল্লেখ করেছে, দীর্ঘদিনে প্রাণের গুড়া হলুদের এ লীড দেহে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে পারে। অত্যধিক ব্যবহারে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হতে পারে, শিশুর মানসিক ও দৈহিক গঠনপ্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে, এছাড়া শিক্ষা গ্রহণেও ঘাটতি দেখা দিতে পারে। গর্ভবর্তী মহিলা, নবজাতক এবং উঠতি বয়েসী তরুণ-তরুণীর উচিত হচ্ছে লীডের প্রভাব এড়িয়ে চলা। ইতিমধ্যেই যারা গুড়া হলুদ ব্যবহার করেছেন তারা অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে গিয়ে পরীক্ষা করবেন বলে এফডিএ আশা করছে ।

এফডিএ উল্লেখ করেছে, প্রাণের গুড়া হলুদ নিউইয়র্ক, পেনসিলভেনিয়া, ম্যাসেচুসেটস, ভার্জিনিয়া এবং ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের দক্ষিণ এশিয়ান দোকানে বিক্রি করা হচ্ছে।

এফডিএ বলেছে, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের এক ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ার পর বিষয়টি উদঘাটিত হয়। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য স্বাস্থ দফতর ঐ রোগীকে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছে প্রাণের গুড়া হলুদে অতিমাত্রায় লীড রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রীয় খাদ্য এবং ওষুধ প্রশাসন কর্তৃক প্রাণের গুড়া হলুদ বাজার থেকে প্রত্যাহারের নির্দেশ জারীর ঘটনায় বাংলাদেশ থেকে আমদানী করা অপরাপর মসলা জাতীয় পণ্য এবং খাদ্যশস্যের ব্যাপারেও মার্কিন প্রশাসনের সন্দেহের তীর প্রসারিত হবার আশংকা করা হচ্ছে। বিশেষ করে, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং ভারতীয় অনেক পণ্যের লেবেলে মেয়াদোত্তীর্ণের সঠিক তারিখ থাকে না বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, এসব পণ্য প্রক্রিয়াজাত করা নিয়েও অভিযোগ রয়েছে ক্রেতা সাধারণের। যুক্তরাষ্ট্রে আমদানীর পর অনেক পণ্যে মেয়াদ উত্তীর্ণ হবার তারিখ বসানো হয় বলে ইতিপূর্বে গ্রাহকরা এফডিএ বরাবরে অভিযোগ করেছিলেন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, প্রতি মাসে ১০ মিলিয়ন (৭৮ কোটি টাকা) ডলারের অধিক মূল্যের মসলা জাতীয় পণ্য বিক্রি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষিণ এশিয়ান মার্কেটে। প্রাণের মত দুয়েকটি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের কারণে অন্যসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা ঝুঁকিতে পড়–ক এটি কারো কাম্য নয়-মন্তব্য আমদানীকারকদের।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License