‘লালমোহন রায়দের জন্ম না হলে পরাধীনতার শৃংখল থেকে আজও আমরা মুক্ত হতে পারতাম না। তার মতো সাহসী সৈনিকদের কারণেই ব্রিটিশ দুঃশাসনের ইতি ঘটে। আসে বহু কাক্সিক্ষত স্বাধীনতা। শুধু ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনেই নেতৃত্ব দেননি তিনি, স্বাধীকার আন্দোলনসহ বাঙালির
অধিকার আদায়ের প্রায় প্রতিটি আন্দোলনেই ছিলেন অগ্রভাগে। নানকার বিদ্রোহ এবং দাসের বাজার কৃষক আন্দোলনে পালন করেন সংগঠকের ভূমিকা। শোষণহীন, সাম্যের সমাজ বিনির্মাণের জন্যই তিনি লড়াই করেছেন আজীবন। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন আজও বাস্তবায়িত হয়নি।’ বিশ্ব প্রবীণ দিবস উপলক্ষে আনোয়ারা বাসিত ফাউন্ডেশন কর্তৃক অগ্নিযুগের বিপ্লবী লালমোহন রায়কে সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল বিকেলে সুনামগঞ্জের মধ্যনগরে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শতবর্ষী এই মুক্তিসেনাকে সম্মাননা জানানো হয়। ‘হাওরপাড়ের ধামাইল’ সংগঠন অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ড.সেলু বাসিত। বিশেষ অতিথি ছিলেন দৈনিক যুগভেরী পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক অপূর্ব শর্মা ও ডা. বিধান রায় পোদ্দার। সাবেক শিক্ষক সুরঞ্জন সরকারের সভাপতিত্বে এবং বিদুৎ কান্তি সরকার ও বিধান সরকারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন বংশীকূণ্ডা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ, কমিউনিষ্ট পার্টির নেতা মৌজালী, প্রভাষক পূর্ণিমা রায়, হাওরপাড়ের ধামাইল সংগঠনের সম্পাদক বিমান তালুকদার, ফনীন্দ্র সরকার, গোপেশ চন্দ্র তালুকদার, বিকাশ রায় টিটু প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে আনোয়ারা বাসিত ফাউন্ডেশনের পক্ষে প্রধান অতিথি সেলু বাসিত এবং হাওরপারের ধামাইল সংগঠনের পক্ষে সংগঠনের সভাপতি সজল কান্তি সরকার বিপ্লবী লালমোহন রায়ের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন। অনুষ্ঠানে মানপত্র পাঠ করেন প্রজ্ঞা পারমিতা রায় পোদ্দার। এছাড়াও অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে চলচ্চিত্র নির্মাতা বিভেশ রায়, লেখক বেনু ভূষণ দাশ এবং সাংবাদিক অভি মহিউদ্দীন উপস্থিত ছিলেন। বিজ্ঞপ্তি
No comments:
Post a Comment