ছাতক প্রতিনিধি
বাংলাদেশ রেলওয়ের মালিকানাধীন ছাতক-ভোলাগঞ্জ রোপওয়েতে ব্যাপক দুর্নীতি লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঐতিহ্যবাহী ও সরকারি লাভজনক এ প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে ভারতীয় সীমান্তবর্তী ভোলাগঞ্জ থেকে রেলওয়ের প্রয়োজনীয় পাথর সরবরাহ করে সারা দেশের রেললাইনের ¯ি¬াপারের নিচে ঐ পাখর ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। বৃহত্তর সিলেটে ভোলাগঞ্জ পাথর
কোয়ারী এলাকার পাথরের সুনাম রয়েছে দেশ জুড়ে। ভোলাগঞ্জ কোয়ারী থেকে সারা বছরই তুলনামূলক কম খরচে রোপওয়ের মাধ্যমে পাথর পরিবহন করে ছাতক পাথর রোপওয়ে স্টেশনে পাথর ডাম্পিং করা হয়।
জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে রোপওয়েতে চলছে ব্যাপক অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাট। কোয়ারীতে বোমা মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সুযোগ প্রদান করে প্রতিমাসে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। বোমা মেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তোলনের ফলে ইতিমধ্যেই রোপওয়ের ১১নং ট্রেসেলটি মাটির নিচে চাপা পড়ে প্রতিষ্ঠানের ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১ কোটি টাকা। ছাতক-ভোলাগঞ্জ রোপওয়েতে লাইন পাহারা দেয়ার জন্য প্রতিমাসে জনপ্রতি ৪হাজার ৫শ’ টাকা বেতনে ১৮ জন টিএলআর (চৌকিদার) এর পদ থাকলেও বাস্তবে কর্মরত আছেন ৬জন। বাকি ১২জন টিএলআরের বেতন উত্তোলন করে পকেটে ভারী করছেন স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও রেলওয়ে সাথে সংশি¬ষ্ট এক শ্রেণির অসাধু পাথর ব্যবসায়ী ও ঠিকাদারের সাথে আঁতাত করে পাথরের স্টকে মাটি মিশিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হচ্ছে। রেলওয়ে ওয়াগনে পাথর লোডিং ও আনলোডিং এর নামেও চলছে লুটাপাট।
সম্প্রতি লেওয়ে এলাকা থেকে গভীর রাতে মূল্যবান জিআই পাইপ, পিতলের গেইট ভাল্বসহ কোটি টাকার লেওয়ের মালামাল ট্রাক যোগে ঢাকায় পাঠানোর সময় রেলওয়ের কর্মচারীর হাতে ধরা পড়ে গেলে মাত্র ৪০ হাজার টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ঢাকায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। বর্তমানে রেলওয়ের আবাসিক এলাকার সরকারি বাসভবনগুলো ভাড়া দিয়ে চলছে বাণিজ্য। এসব সরকারি কোয়াটারে কিছু বাসায় মদ ও নারী ব্যবসাসহ বিভিন্ন অনৈতিক কাজ চলছে বলেই অভিযোগ রয়েছে। এসব অপকর্মের মূলহোতা ছাতক রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফারুক হোসেনকে দায়ী করে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবরে সম্প্রতি একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এ ব্যাপারে উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফারুক হোসেন বলেন, এসব অভিযোগ ভিত্তিহীন। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে একটি পক্ষ অপপ্রচার চালাচ্ছে।
No comments:
Post a Comment