সিলেট-২ আসনে মুহিবুর রহমানের প্রার্থীতা ঘোষণা

Thursday, October 24, 2013

বিশ্বনাথ প্রতিনিধি

‘অতীতে স্বৈরতন্ত্রের পতন ঘটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা হলেও বর্তমানে দেশে গণতন্ত্রে¿র নামে স্বৈরতন্ত্র চলছে। জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদেরকে যখন জনগণ জবাবদিহিতা করতে পারবে তখনই সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। পাঁচ বছর পর পর নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে, তাতে ক্ষমতার পালা বদল হলেও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে। বর্তমানে ঘুষ-দুর্নীতি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ লাভ করেছে। মাছ বাজারের মতো সবকিছুতেই এখন দর কষাকষি করতে হয় জনগণকে।’




কথাগুলো বিশ্বনাথ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহিবুর রহমানের। তিনি গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁর নিজ বাসভবনে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথাগুলো বলেন। এসময় তিনি (মুহিবুর) আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিলেট-২ আসনে (বিশ্বনাথ-বালাগঞ্জ-ওসমানীনগর) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার ঘোষণা দেন।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সবধরনের কাজে ‘সাংসদ ও ইউএনও’র হস্তক্ষেপের কারণে অকার্যকর হয়ে পড়েছে উপজেলা পরিষদ। দুই ভাইস চেয়ারম্যানেরও কোন দায়িত্ব নেই। উপজেলা পদ্ধতি বর্তমান সরকারের আমলে বাতিল করার চেষ্টা করা হয়ে ছিল। কিন্তু তা আর কখনও করা জাবেনা। ভবিষ্যতেও এর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। মিথ্যার রাজনীতি করিনা ও কোন দলের বা ব্যক্তির ধার ধারিনা বলেই আমার স্থান কোথাও হয়না।

তিনি বলেন, বিশ্বনাথে আট সাংসদ (এমপি)’র চেয়ে ইলিয়াস আলী উন্নয়ন করেছেন বেশি। ইলিয়াসের সন্ধান দাবির আন্দোলনকে কেন্দ্র করে আট হাজার মানুষকে আসামি করে মামলা দায়ের কার স্বার্থে তিনি এমন প্রশ্ন তুলেন। উত্তরে তিনি বলেন, সাংসদের নিকটত কিছু নেতাকর্মী দালালী করে টাকায় রোজগার করার জন্যই এমনটি হয়েছে। ঘরের ভিতরে ঢুকে তাহির আলীকে হত্যার বিচার আজো না হওয়ার পেছনেও রয়েছে দলীয় রাজনীতি।

মুহিবুর রহমান বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী গত বছর বিশ্বনাথে আসলে তিনি উন্নয়নের ৩৮০ কোটি টাকার বরাদ্দ করেন। প্রত্যেক সাংসদরা ১৫ কোটি টাকা করে পেয়ে ছিলেন। একজন উপজেলা চেয়ারম্যান হয়ে আমি জানিনা এসব টাকার উন্নয়ন কাজ কোথায় হয়েছে। বিদ্যুৎ সংযোগের নামে সাংসদের পক্ষের লোকজন লুটপাট করে খাচ্ছেন। বিশ্বনাথে আইনের শাসন নেই বললেই চলে বলে তিনি দাবি করেন বলেন, ২০১০ সালের ২ মার্চে তার উপর আ’লীগ নেতাকর্মীদের হামলার ঘটনায় আজো থানায় মামলা দায়ের করতে পারেননি এবং আদালতে মামলা দায়েরের পরও বার বার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হচ্ছে।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License