মো. ওলিউর রহমান
জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্য ও দা-কুড়াল নিয়ে প্রস্তুত থাকার হুমকি প্রদানের প্রতিবাদে গতকাল সিলেট নগরীতে বিশাল শোডাউন করেছে আওয়ামী লীগ। কোর্ট পয়েন্টে শোডাউন পূর্ববর্তী সমাবেশ শেষে বিশাল একটি মিছিল নগরীর জিন্দাবাজার চৌহাট্টা হয়ে আম্বরখানায় গিয়ে শেষ হয়।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান চৌধুরীর পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন- আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের প্রশাসক আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, সিলেট-৩ সংসদীয় আসনের সদস্য মাহমুদ-উস-সামাদ চৌধুরী কয়েস, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন- আমার শুনেছি আগামীকাল (আজ) বিএনপি ও জামায়াতের কর্মসূচি রয়েছে। গণতান্ত্রিক কোনো কর্মসূচিতে আমরা বাধা দেব না। কিন্তু কর্মসূচির নামে কোনো ধরনের নৈরাজ্য হলে আমরা ঘরে বসে থাকব না। নেতৃবৃন্দ বলেন, খালেদা জিয়া ভোটের রাজনীতি বিশ্বাস করেন না। তিনি বুলেটের রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাই তিনি স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত অপশক্তিকে নিয়ে নানা অপকৌশল করে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতায় যেতে চান।
বক্তারা আরো বলেন- সিলেটের রাজনীতিতে একটা সম্প্রীতি রয়েছে। কিন্তু মিছিল সমাবেশের নামে সিলেটের সাধারণ মানুষকে জিম্মি করার চেষ্টা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে। এ জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
এদিকে, আম্বরখানা পয়েন্টে গিয়ে মিছিল শেষে সিলেট জেলা-মহানগর যুবলীগ, জেলা-মহানগর ছাত্রলীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ আজ শুক্রবার বাদ জুমআ নগরীর কোর্ট পয়েন্টে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
গতকাল দুপুর আড়্টাার পর থেকে মহানগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড, সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ, দক্ষিণ সুরমা আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনগুলো মিছিল নিয়ে কোর্ট পয়েন্টে সমবেত হয়। পরে বিকাল পৌনে ৪টার দিকে কোর্ট পয়েন্ট থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে আম্বরখানায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে উপরোক্ত নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন- মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক অধ্যক্ষ সুজাত আলী রফিক, নাসির উদ্দিন খান, অ্যাডভোকেট নিজাম উদ্দিন, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা আজাদুর রহমান আজাদ, অ্যাডভোকেট রনজিৎ সরকার, জেলা যুবলীগ সভাপতি শামীম আহমদ, মহানগর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুদীপ দে, সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদার, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত তরফদার, সাধারণ সম্পাদক এমরুল হাসান প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment