আমাদের সিলেট ডটকম:
বিশ্বনাথে মুক্তিপণ আদায় করতে দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের শৌচাগারে (বাথরুমে) আটকে রাখার চেষ্ঠার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার উপজেলা সদরের পুরান বাজারস্থ জগন্নাথপুর রোডে অবস্থিত গ্রীণবার্ড একাডেমীতে। ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে বুধবার গভীর রাতে একাডেমীর প্রিন্সিপাল শাহ গিলমান আহমদ (৩৫) কে তার বর্তমান বাসস্থান উপজেলার পুরান বাজারস্থ ইন্তাজ আলী ভবন থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সে সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার শিমুলতলা গ্রামের মৃত আব্দুল কুদ্দুছের পুত্র।
এদিকে, এঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে গতকাল বিশ্বনাথ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ শংষোধীত/০৩ এর ৮/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ১৪ (তাং ২৪/১০/১৩ইং)। মামলায় শাহ গিলমান আহমদকে প্রধান আসামী ও তার সহযোগী একাডেমীর প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুস শহিদ’সহ আরো ১/২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়েছে।
ঘটনার স্বীকার হওয়া ২য় শ্রেণীর ছাত্রী আবিদা বেগম (৮) বলে, শিক্ষক গিলমান ও শহিদ তার (আবিদা) হাত-পা বেঁধে ও মুখে ব্ল্যাক টেপ লাগিয়ে একাডেমীর দো-তলাস্থ বাথরুমে (শৌচাগারে) আটকে রাখে। পিছনে বোমা লাগানোরয়েছে বলে আসামীরা তাকে (আবিদা) নড়াচড়া করতে বারণ করে। নড়াচড়া করলে বোমা ফাটার ভয় দেখায়। এ সময় গিলমান-শহিদ অজ্ঞান করার জন্য কৌসলে আবেদাকে জুসের সাথে চেতনা নাশক ঔষধ খাওয়ানোর চেষ্টা করে ছিল বলেও জানায় আবেদা। এক পর্যায়ে আবিদা বাথরুমে পানির টেপের সাথে তার মুখ ঘষে মুখের ব্ল্যাক টেপ খুলে ফেলতে সক্ষম হায় এবং হাত-পায়ের বাঁধন ছুটায়। এরপর সে বাথরুমের দরজার নিচের ফাঁক দিয়ে বের হয়ে আসে।
আবিদার মা লাইলী রহমান বলেন, আলাহর রহমতে আমার মেয়ে কৌশলে তাদের বন্দী দশা থেকে মুক্ত হয়ে আমার কাছে ফিরে এসেছে। গত বুধবার দুপুর ১টায় আবিদা বাসায় না আসায় আমি প্রিন্সিপাল (গিলমান)’র সাথে সেল ফোনের মাধ্যমে যোগযোগ করি। তিনি জানান, বিকেল ৩টা পর্যন্ত তাদের কোচিং ক্লাস হবে। ৩.৪৫ ঘটিকায় যোগাযোগ করলে তিনি আবারও জানান ফিরবে। এরপর ৪ টায় বাসায় ফিরে আমার মেয়ে আমাকে সব কিছু বলে। আমি সাথে সাথে বিষয়টি স্থানীয় ইউপি সদস্য ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে অবহিত করি। তাঁদের সহযোগিতায় পরবর্তিতে বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়।
গিলমান এক লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করতে নিজের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২য় শ্রেণীর ছাত্রী আবিদাকে ওই প্রতিষ্ঠানের বাথরুমে হাত-পা-মুখ বেঁধে আটকে রাখার সত্যতা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে দাবি করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম আজাদ বলেন, অপর আসামীকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বিশ্বনাথে মুক্তিপণ আদায় করতে স্কুল ছাত্রীকে শৌচাগারে আটকে রাখার চেষ্টা গ্রীনবার্ড একাডেমীর প্রিন্সিপাল আটক: মামলা দায়ের
Thursday, October 24, 2013
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment