আমাদের সিলেট ডটকম:
কানাইঘাটে সেটেলমেন্ট অফিসার কর্তৃক রায় প্রদানের অভিযোগকে অস্বীকার করে বিষয়টি মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উল্লেখ করেছেন ডালাইচর এলাকার যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সিরাজুল হক গংদের ফুফাতো ভাই রফিকুল হক। মঙ্গলবার সিলেট প্রেসক্লাবে পাল্টা সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, সিরাজুল হক গংদের যাবতীয় দলিলাদি ও স্বাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে যাচাইবাছাই করে সেটেলমেন্ট অফিসার ৩১ ধারার রায় প্রদান করেছেন।
তিনি বলেন, গত ২০ সেপ্টেম্বর সংবাদ সম্মেলন জনৈক ফরিদ আহমদের স্ত্রী রহিমা বেগম ব্যক্তি স্বার্থী হাসিলের উদ্দেশ্যে সম্পত্তি আত্মসাত করার লক্ষ্যে মিথ্যা অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। ডালাইচর মৌজার জেএলনং-২৪. ৭০৮ নং দাগের এসএ মালিক হরমুজ আলীর ১১জন ওয়ারিশ ও তার দুই স্ত্রীসহ মোট ১৩ জনের মধ্যে ১২জন মালিক ১২ শতক ভূমি ১৯৮০ সালে জৈন্তাপুর রাধানগর গ্রামের মুহিবুর রহমানের কাছে বিক্রি করেন। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালে মুহিবুর রহমান উক্ত ভূমি সিরাজুল হকদের নিকট বিক্রি করেন। যার দলিল নং ৪৮১/১৯৮১ ইং, নামজারী স্মারক নং-৯০৫/৮০-৮১। সিরাজুল হক ভূমি ক্রয় করার পর থেকে ভোগ দখল করে আসছেন এবং নিয়মিত সরকারি খাজনা পরিশোধ করছেন। বিগত তশদিকে সিরাজুল হক গংদের নাম ছিল। কিন’ কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই ৩০ ধারায় তশদিক থেকে রহস্যজনকভাবে সিরাজুল হক গংদের নাম কর্তন করে ফরিদ আহমদ গংদের নাম অন্তভুক্ত করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে রফিকুল হক আরো বলেন, সিরাজুল হক গংরা ৩১ ধারায় কানাইঘাট সেটেলমেন্ট অফিসে আপীল করলে সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুর রহমান বিষয়টি পর্যালোচনার জন্য উভয় পক্ষকে নোটিশ দেন। দুপক্ষের উপসি’তিতে কাগজপত্র পর্যালোচনা করে ফরিদ গংরা সরেজমিন তদন্তের আবেদন জানালে সেটেলমেন্ট অফিসার বিষয়টি তদন্তের জন্য সার্ভেয়ার রাখাল বাবুকে নির্দেশ দেন। রাখাল বাবু গত ৭ আগস্ট সরেজমিন তদন্তে গেলে ওইদিন ভোর হওয়ার আগেই গভীর রাতে ফরিদ গংদের পক্ষে খলিলুর রহমান তার দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটায় সজ্জিত হয়ে জোরপূর্বক জায়গাটি দখলের চেষ্টা করে। পরিসি’তি উত্তুপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ সেখানে অবস’ান নেয়। এ সময় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে পুলিশ ফরিদ গংদের পক্ষের গোলজার হোসেন ও দিলদার হোসেনসহ ১৯ জনকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করে কানাইঘাট নিয়ে আসে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করে। পরবর্তীতে সার্ভেয়ার রাখাল বাবুর তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপসি’তিতে সেটেলমেন্ট অফিসার আব্দুর রহমান আমাদের পক্ষে রায় প্রদান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে খলিলুর রহমান আমাকে বিভিন্নভাবে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছেন। এ ব্যাপারে আমি কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি।
রফিকুল হক সংবাদ সম্মেলনে ফরিদ গংদের মিথ্যা প্রচারণায় বিভ্রান্ত না হতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এবং এ বিষয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আইনী সহায়তা কামনা করেছেন।
সিলেটে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন কানাইঘাটের সেটেলমেন্ট অফিসারের রায় যথার্থ
Tuesday, September 23, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment