সরকারী খাস জমি দখল করে পরিবেশ দূষণকারী পোল্ট্রি হ্যাচারী নির্মাণ

Wednesday, October 23, 2013

Komolgonj-Poltty-1কমলগঞ্জ প্রতিনিধিঃ কমলগঞ্জ উপজেলার রহিমপুর ইউনিয়নের চৈত্রঘাট ধলাই নদীর পারে সরকারী খাস জমি দখল করে পরিবেশ দূষণকারী পোল্ট্রি হ্যাচারী নির্মাণের কাজ চলছে। পোল্ট্রি হ্যাচারী নির্মাণ করা হলে বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণ হয়ে ধলাই নদীর তীরে বসবাসকারীরা মারাত্মকভাবে তির সম্মুখীন হবেন। এ ব্যাপারে চৈত্রঘাট ও প্রতাপী গ্রামবাসী মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। যার অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী সহ বিভিন্ন দপ্তরে প্রদান করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন পরিবেশের কোন দূষণ হবে না। বরং পোল্ট্রি হ্যাচারী ফলে অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে এবং থাইল্যান্ড এর একটি কোম্পানী সেটি পরিচালিত করবে।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ সরকারের শাসনামলে নির্মিত মৌলভীবাজার-শমশেরনগর সড়ক, যা পাকিস্তান আমলেও যানবাহন চলাচল করেছে। চৈত্রঘাট মৌজা এলাকায় নদী ভাঙনের ফলে সড়কটির আংশিক জায়গা নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার আশংকায় সড়কটি গতিপথ কিছুটা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তীতে আবার চর ভরাট দেয়। ১৮ থেকে ২৫ ফুট প্রস্থ রাস্তা সহ সরকারী খাস ভূমি দখল করে একটি পোল্ট্রি হ্যাচারী করার ল্েয বাউন্ডারী দেয়াল তৈরি কাজ চলছে। প্রায় ৪ একর ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমি ক্রয় করে প্রায় ৫ থেকে ৮ একর জনসাধারণের চলাচলের রাস্তা ও নদীর তীরবর্তী খাস ভূমি দখল করে এই পোল্ট্রি হ্যাচারী করা হচ্ছে। যে স্থানে পোল্ট্রি হ্যাচারীর কাজ শুরু হয়েছে সে স্থানে পূর্বে ব্রিক ফিল্ড করা হয়েছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রতিবাদের মুখে পরবর্তীতে প্রায় ৩ বছর ব্রিক ফিল্ড বন্ধ ছিল।

এলাকাবাসী জানান, পোল্ট্রি হ্যাচারী নির্মাণ করা হলে বায়ু দূষণ, শব্দ দূষণসহ নানা সমস্যার সম্মুখীন হবেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ধলাই নদীর তীরে শত শত বসবাসকারী জনসাধারণ নদীর পানি ব্যবহার করে থাকেন। পোল্ট্রি হ্যাচারীর ময়লায় জানমালের মারাত্মক তি সাধন হবে।

সরকারের খাস খতিয়ানের ভুমি প্রতাপী ও চৈত্রঘাট গ্রামের ভুমিহীনদেরকে স্থায়ী বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য দাবি জানিয়েছেন এলাকার ভূমিহীনরা। এলাকার শতাধিক ব্যক্তি সরকারী রাস্তা, খাস ভুমি দখল করে জনবসতি এলাকায় পরিবেশ দূষণকারী পোল্ট্রি হ্যাচারী স্থাপন বন্ধ করার দাবি জানিয়ে সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের বরাবরে আবেদনপত্র পাঠিয়েছেন। এর অনুলিপি প্রধানমন্ত্রী, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রী, যোগাযোগ মন্ত্রী, মন্ত্রী, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী পানি সম্পদ মন্ত্রী, ভুমি মন্ত্রী, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ, প্রশাসক, জেলা পরিষদ, বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট বিভাগ, পুলিশ সুপার, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন দফতরে পাঠানো হয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, চৈত্রঘাট এলাকায় ধলাই নদীর তীরে বাউন্ডারী দেয়া হচ্ছে। মধ্য স্থানে বিশাল বিশাল কয়েকটি ঘরে কাজ চলছে। এছাড়া অবৈধভাবে পাম্প দিয়ে ধলাই নদী থেকে বালূ উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে সরকার রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License