আমাদের সিলেট ডটকমঃ ছাতকের হাওরজুড়ে বোরো ফসল কাটার ধুম পড়েছে। মাড়াই-ঝাড়াই কাজে ব্যস- সময় কাটাচ্ছে কৃষান-কৃষানিরা। চলতি মৌসুমে বোরোর আশানুরূপ ফলনে কৃষকদের মুখে হাসি ফুটে উঠেছে। দু’এক সপ্তাহের মধ্যে বোরো ফসল কৃষকের গুলায় উঠবে। কাঠফাটা রোদ ও প্রচন্ড দাব-দাহ উপেক্ষা করে বোরো ফসল কাটা ও মাড়াই-ঝাড়াইয়ে হাওরে ব্যস্ত এখানের কৃষান-কৃষানিরা। হাওর জুড়ে সবুজ সমারোহে সোনালি আভায় দিগন্ত ছুঁইয়ে গেছে। কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের কৃষকদের নিয়ে মাঠ বৈঠক ও বিভিন্ন আধুনিক প্রশিক্ষন প্রদান করায় এখানের কৃষকরা অধিক ফসল উৎপাদনে সচেষ্ট হয়েছে। ফলে চলতি মৌসুমের বোরো ফসল লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মাঠে নিয়োজিত কৃষি কর্মকর্তারা মনে করছেন। ফাঁটার হাওর, দেখার হাওর, নাইন্দার হাওর, রাঙা-ডিঙা হাওর,চাউলীর হাওর,তেলির হাওর,কামরাঙ্গি-দাইনাকান্দি হাওর,সিংচাপইড়ের উত্তরেরবন্দ হাওরসহ ছোট-বড় সব হাওরের বোরো ফসল কাটা ও গুলায় তুলতে এখন ব্যস্ত কৃষককুল। ইতিমধ্যেই শতকরা ৬০ভাগ জমির বোরো ফসল কাটা শেষ হয়েছে।স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তরের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চলতি বোরো মৌসুমে ছাতক উপজেলায় ১১হাজার ৯শ’ ২০হেক্টর জমিতে বোরো ফসল চাষাবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে উপশী জাতীয় ১১হাজার ১৩ হেক্টর, হাইব্রিড জাতীয় ২শ’ ৩০হেক্টর ও স’ানীয় জাতের ৬শ’ ৭৭হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়। গত বছরের চেয়ে ৩হাজার ৭শ’ ৯৩হেক্টর বেশি জমিতে বোরো চাষ করা হয়েছে। যার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪২হাজার ৩শ’ ৫মেট্রিকটন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রদ্যুৎ ভট্টাচার্য্য জানান,ক্ষতিকারক পোকা-মাকরের হাত থেকে ফসল রক্ষায় কীট নাশকের পরিবর্তে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারে প্রশিক্ষন দেয়া হয়েছে কৃষকদের। বোরো জমিতে খুটি পেতে পাখি বসার স্থান করে দিয়ে পাখির মাধ্যমে ফসলের ক্ষতিকারক পোকা দমন করে ফসল রক্ষার ব্যবস্থা গ্রহন একটি দেশীয় গ্রহনযোগ্য প্রযুক্তি।স্থানীয় কৃষকরা এ পদ্ধতি ব্যবহার করে ব্যাপক লাভবান হয়েছে। চলতি বছরের বোরোর আশানুরূপ ফলন হয়েছে।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment