নবীগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
নবীগঞ্জ উপজেলার কুর্শি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমানের কান্ড নিয়ে সর্বত্র তোলপাড় হচ্ছে। ঈদের ভিজিএফ এর চাল বিতরণকালে লোকজনের ভিড় সামলাতে না পেরে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা কয়েকজন হতদরিদ্রকে বেধড়ক প্রহার করেন। এর প্রতিবাদে ফুঁসে উঠেছে ওই এলাকার সাধারণ মানুষ।
এ নিয়ে ইউনিয়নের দুর্লভপুর গ্রামে মিছিল ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে। এ ঘটনায় নির্যাতিত ও সাধারণ লোকজন ইউনিয়ন পরিষদ ঘেরাও সহ আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
লোকজনের সাথে আলাপকালে জানা যায়, গত ১৪ অক্টোবর সোমবার সকাল ১১ টায় উপজেলার কুর্শি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ শুরু করেন ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ খালেদুর রহমান। এক পর্যায়ে বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা দরিদ্র লোকজন উপস্থিত হলে প্রচন্ড ভিড় জমে উেেঠ। এতে চেয়ারম্যান সামাল দিতে না পেরে ব্যর্থ হয়ে লোকজনের উপর চড়াও হন। এ সময় ভিজিএফ এর চাল নিতে আসা লোকজনের উপর লাঠিচার্জ করে অশালীন ভাষায় গালিগালাজ করেন। এতে অনেকেই চাল না নিয়ে বিমুখ হয়ে বাড়ী ফিরে যান। এ সময় চেয়ারম্যানের লাঠিচার্জে আহতরা হল, দুর্লভপুর গ্রামের ইয়াকুব মিয়ার স্ত্রী মায়া বেগম, মানসিক প্রতিবন্ধী বোবা সঞ্জব আলী, জহুরপুর গ্রামের বৃদ্ধ সুন্দর খান, সমরগাঁও গ্রামের আব্দুল মন্নান, সুলতানপুর গ্রামের প্যারালাইসিস রোগী জমশেদ আলীসহ আরো অনেকে। অপরদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে গত কদিন ধরে দুর্লভপুর, জহুরপুর ও আশপাশের গ্রামের সাধারণ লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছেন। গত শনিবার সন্ধ্যায় দুর্লভপুর বাজারে সাবেক ইউপি সদস্য শাহ জিতু মিয়া ফারছুর সভাপতিত্বে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বক্তব্য রাখেন, এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি সৈয়দ শমসির আলী, শাহ আলা উদ্দিন, ইউপি সদস্য শাহ সুজন মিয়া, এলাইছ মিয়া, শাহ জিতু, কাজল মিয়া, লন্ডন প্রবাসী মাসুক মিয়া, হায়দর আলী প্রমুখ।
No comments:
Post a Comment