বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস বুধবার ॥ দেশজুড়ে ব্যাপক কর্মসূচি
গ্রহণ ॥ এক সাথে লাখো কণ্ঠে উচ্চারিত হবে জাতীয় সংগীত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস বুধবার ২৬ মার্চ। ১৯৭১ সালের এ দিনের প্রথম প্রহরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতির কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার সাথে সাথে শুরু হয় বাঙালির ইতিহাসের সর্বকালের সবচেয়ে উজ্জ্বল অধ্যায় মহান মুক্তিযুদ্ধ। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসর দালাল-রাজাকার-আল বদরদের বিরুদ্ধে এই মুক্তিযুদ্ধ চলে দীর্ঘ নয়মাস। এই সময়ে পশ্চিমা জল্লাদ আর এদেশীয় ঘাতকরা মিলে পুরো বাংলাদেশকে বিশাল এক বধ্যভূমিতে পরিণত করে।
এই নৃশংসতায় শহীদ হন ত্রিশলাখ বাঙালি। সম্ভ্রম হারান দুলাখ মা-বোন। সহায়-সম্বলহীন হয়ে পড়েন অগণিত মানুষ। এরপরও লালসবুজের পতাকার বিজয় আটকানো সম্ভব হয়নি। একাত্তরে ১৬ ডিসেম্বর পরাধীনতার শৃঙ্খল ছিন্ন করে বিশ্বের বুকে নতুন স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। ওইদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিঃশর্তভাবে বীর মুক্তিবাহিনী ও মিত্র বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে সারা দেশে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এবারের কর্মসূচির বিশেষত্ব হচ্ছে এক সাথে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন। সকাল ১১টায় ঢাকায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে, সিলেটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এবং দেশের অন্যান্য এলাকায় সকলে মিলে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হবে।
No comments:
Post a Comment