মিফতা তালুকদার:
পাক-ভারত ক্রিকেট যুদ্ধ দিয়ে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের মূল পর্বের লড়াই। আর সেই মূল পর্বের লড়াইয়ে আজ বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ওয়েস্টইন্ডিজের মোকাবেলায় নামছে টাইগাররা। দুই বছর আগে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে হারের পর সাকিব তামিমের সাথে কেঁদেছিলেন দেশের ১৬ কোটি ক্রিকেটপ্রেমীরা । আর গেল এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে হারের পরও সৃষ্টি হয়েছিল সেই একি অবস্থা। একের পর এক হারে যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছিল টাইগারদের। ঠিক তখন প্রতিশোধ আর বিশ্বকাপের মিশন নিয়ে ১৬ মার্চ আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামে টাইগাররা। সেই দিন আফগানদের দাড়াতেই দেয়নি, এরপর নেপালিদেরও হারায়। কিন্তু শেষ ম্যাচে আনকোরা হংকংয়ের কাছে হারের পর সমালোচনায় বিদ্ধ হয়েছেন ক্রিকেটাররা। রান রেটে এগিয়ে থাকায় মূল পর্বের পা ফসকেনি মুশফিকদের। এবার তারা নামছে চূড়ান্ত পর্বে খেলতে নামছে। সুপারটেনের লড়াইয়ে তাদের প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ভারত, পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। প্রতিপক্ষ সবাই বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। পারফরম্যান্সের এমন উঠা-নামার পরও স্বপ্ন দেখছেন ক্রিকেটভক্তরা। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বলেই হয়তো স্বপ্নের পরিধি বড়।
দ্বিতীয় পর্বে বাংলাদেশ যে জিতবে স্বয়ং অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমও জোর দিয়ে পারছেন না কিছু বলতে । কারণ হংকংয়ের কাছে হারের পর তিনি নিজেও হতবাক। কোনো কারণই দাঁড় করাতে পারেননি। কী বলবেন নিজেও ভেবে পাচ্ছেন না। বলেছিলেন, ‘আজকের দিনটি যে আমাদের কি হল তা কোন ভাবেই ( হংকংয়ের কাছে হারের পর) বুঝতে পারলাম না।’ তবে এ হারকে তিনি সতর্ক সঙ্কেত হিসেবে নিয়েছেন। ভারত-পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজ-অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলার কথা চিন্তা করে মুশফিক পায়ের তলার মাটি খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। প্রথম দুই ম্যাচের মতো খেলতে পারলে আমরাও দ্বিতীয় পর্বে যে কোনো দলকে হারাতে পারব।’ অনুপ্রেরণা পাওয়ার জন্য আরও বলেছেন, ‘টি-২০ ক্রিকেটে কোনো একটি দল অন্য যে কোনো দলকে হারাতে পারে।দের মাঝে খের্ব শক্তি হয়ে হংকং যদি বড় শক্তির বাংলাদেশকে হারাতে পারে, তাহলে বাংলাদেশ কেন তাদের চেয়ে শক্তিশালী কোনো দলকে হারাতে পারবে না! কিন্তু জিততে হলে যেরকম উদ্দীপনা থাকে মুশফিকুর রহীমের দলের কাছে কি তা আছে?
চূড়ান্ত পর্বে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ আজ ২৫ মার্চ, প্রতিপক্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দ্বিতীয় ম্যাচ ২৮ মার্চ, প্রতিপক্ষ ভারত, ৩০ মার্চ পাকিস্তান এবং ১ এপ্রিল অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে অবশ্য টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া ছাড়া বাকি তিন দলই। চার কঠিন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে টাইগারদের সম্ভাবনা কতটুকু? পরিসংখ্যান কিন্তু পক্ষে কথা বলছে না টাইগারদের। চার দলের মধ্যে একমাত্র ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই জয় রয়েছে টাইগারদের। ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে চার ম্যাচে দুই দলেরই সাফল্য সমান। এর মধ্যে ২০০৭ সালের প্রথম টি-২০ বিশ্বকাপে ক্যারিবীয়দের হারিয়ে সুপার এইটে জায়গা করে নিয়েছিল টাইগাররা। এরপর মুশফিকের অধিনায়কত্বের ম্যাচে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে একটিমাত্র ম্যাচ খেলেছিল ২০০৯ সালের টি-২০ বিশ্বকাপে। হেরেছিল টাইগাররা। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬টি ম্যাচ খেলে হেরেছে সবগুলোই। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে দুই ম্যাচেই হেরেছে। সুতরাং প্রতিপক্ষ হিসেবে দলগুলো কতটা কঠিন সেটা পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে। তাই টি-২০ বিশ্বকাপে কত দূর যাবে টাইগাররা সেটা সময়ই বলবে দেবে।
ওয়াল্ড টি-টোয়েন্টি: আজ সুপারটেন মিশনে নামছে টাইগাররা
Monday, March 24, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment