মহান স্বাধীনতা দিবসে একসঙ্গে দরদমাখা লাখো কণ্ঠে জাতীয়
সংগীত গেয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়তে যাচ্ছে বাঙালি জাতি
নিজস্ব প্রতিবেদক : একসঙ্গে দরদমাখা লাখো কণ্ঠে জাতীয় সংগীত গেয়ে বাঙালি জাতি বিশ্বরেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। যে কোন সময় গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে পারে।
মহান স্বাধীনতা দিবসের সকাল ১১টা ছিল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, যখন রাজধানীর জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৬শ ৮১ জন নারী-পুরুষ-শিশু সম্মিলিত কণ্ঠে প্রাণের গভীর থেকে উচ্চারণ করেন 'আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি...।' এসময় অনেকে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড ছাড়াও সারা দেশে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও খেলার মাঠে অগণিত মানুষ এক সাথে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।
সিলেটে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও সম্মিলিত নাট্য পরিষদের ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কয়েক হাজার মানুষ জাতীয় সংগীত পরিবেশনে অংশ নেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদ প্রশাসক আব্দুজ জহির চৌধুরী সুফিয়ান, সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদর উদ্দিন আহমদ কামরান, সাবেক সংসদ সদস্য শফিকুর রহমান চৌধুরী, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আজিজ আহমদ সেলিম, প্রেসক্লাব ফাউন্ডেশন সিলেটের সভাপতি আল-আজাদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের সভাপতি নাজনীন হোসেন, সহ সভাপতি প্রিন্স সদরুজ্জামান, মোকাদ্দেস বাবুল, মিশফাক আহমদ মিশু, সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদের প্রধান পরিচালক মুক্তিযোদ্ধা নিজাম উদ্দিন লস্কর ময়না, সভাপতি অনুপ কুমার দেব, সহ সভাপতি খোয়াজ রহিম সবুজ, সাবেক সভাপতি নিরঞ্জন দে যাদু, সচেতন নাগরিক কমিটির সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী, টেলিভিশন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ইকবাল কবির প্রমুখ। এর আগে প্রবীণ সংগীত শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস ও রানা কুমার সিনহার পরিচালনায় স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের গান ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করা হয়।
এছাড়াও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সিলেট পুলিশ লাইনস মাঠে এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, এমসি কলেজ ও ওসমানী মেডিক্যাল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এক সাথে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
No comments:
Post a Comment