আমাদের সিলেট ডটকম:
শোঁ শোঁ গতিতে পাথুরে পাহাড়ের চূড়া থেকে ২০০ ফুট নিচে গড়িয়ে পড়ছে জলদারা। পর্যটকেরা অর্ধ চন্দ্রাকৃতির মতো জড়ো হয়ে নয়নাবিরাম দৃশ্য উপভোগ করছেন। সবাই হৈ-হুলোড়ে মেতে উঠেছেন। কেউবা জলাধারার নিচে পূণ্যস্নান করছেন। দেশের বৃহত্তম প্রাকৃতিক জলপ্রপাত মাধবকুন্ড মাধব তির্থের দৃশ্য এটি।
সরেজমিনে গেলে দেখা যায়, প্রতিবারের ন্যায় এবারও শুক্রবার মৌলভীবাজারের বড়লেখার মাধবকুন্ডে বার্বনী স্নানে ও মেলায় প্রায় অর্ধ লক্ষাধিক পূণ্যার্থীর ঢল নামে। তবে এদিন সিএনজি চালকদের অতিরিক্তর ভাড়া আদায় ও হয়রানিতে অতিষ্ট হয়েছেন মাধবকুন্ড মাধব তির্থে পূন্যস্নান করতে আসা পূণ্যার্থীরা। অভিযোগ পূন্যার্থীদের। প্রতি বছর বাংলা মধু কৃষ্ণা ত্রয়োদশীতে বার্বনী স্নানে আসেন হাজার হাজার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এদিন অনেকেই কুন্ডে স্নান শেষে কুন্ডের কিছু পানি নিয়ে যান-এ পানি পান করলে রোগ মুক্তি হবে এ আশায়। স্নান শেষে মাধবেশ্বর মন্দিরে আগতরা নিজের মনবাসনা পূর্ণের জন্য পূজা দিয়ে যান ও কেউ কেউ পূর্বের মানস হিসাবে পায়রা দিয়ে যান। জলপ্রপাত এলাকায় পাশে ঐতিহ্যবাহী বার্বনী মেলা বসে। মেলায় দেশীয় তৈরির বিভিন্ন জিনিস পত্রের সমারোহে জমঝমাট হয়ে উঠে। বার্বনী স্নান ও মেলা উপলক্ষে সবধর্ম ও বর্ণের মানুষের মিলনমেলায় পরিনত হয় মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ও এর আশপাশের এলাকা।
মাধবকুন্ড উন্নয়ন পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অনুকুল দেব জানান, আমাদের নিজস্ব সেচ্ছাসেবক ও প্রশাসনের তৎপরাতায় কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।বারুনী স্নান ও মেলা উপলক্ষে সবধর্ম ও বর্ণের মানুষের মিলনমেলায় পরিনত হয়েছে মাধবকুন্ড মাধব তির্থ।
বড়লেখা থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসেম জানান, প্রশাসনের কঠোর সতর্কতার কারনে কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
বড়লেখায় মাধবকুন্ডে বারুনী স্নান ও মেলায় অর্ধ লক্ষাধিক পূণ্যার্থীর ঢল
Friday, March 28, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment