উজানে বাঁধ ড্যাম ও স্লুইসগেট নির্মাণ করায় সিলেটের ৭ নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে

Sunday, May 4, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

ভারত থেকে বয়ে আসা সিলেট বিভাগের ৭টি নদী এখন অস্তিত্ব সংকটে। অভিন্ন এই সাত নদীর উজানে বাঁধ, ড্যাম ও স্লুইস গেট নির্মান করায় নদীগুলোর পানি প্রবাহ ক্ষমতা কমছে। পানি নিয়ন্ত্রণের ফলে শুষ্ক মৌসুমে বেশিরভাগ নদী মরে যায়। এতে পরিবেশ ধ্বংসের পাশপাশি নদী নির্ভর মানুষের জীবন-জীবিকায়ও নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ১২টি নদী বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। এই ১২টি নদীর ৭টিতে ভারত বাঁধ, ড্যাম ও স্লুইসগেট নির্মাণ করে পানি প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করে ভারত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি কৃষিকাজেও ব্যবহার করছে।

ভারতের পানি আগ্রাসনের সর্বশেষ শিকার সিলেটের জৈন্তাপুর দিয়ে প্রবেশ করা সারি নদী। সারি নদীর ৩০ কিলোমিটার উজানে ডাউকি চ্যুতির কাছে বাঁধ দিয়ে ভারত জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করেছে। ২০১২ সাল থেকে ওই কেন্দ্রের দুইটি ইউনিট থেকে ১২৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে ভারত। সারী নদীতে বাধ দিয়ে পানি নিয়ন্ত্রণ করায় হুমকির মুখে পড়েছে বাংলাদেশের মিঠাপানির একমাত্র জলারবন রাতারগুল।

মৌলভীবাজারের মনু নদীর উজানে ত্রিপুরা রাজ্যের কৈলাশহরের কাঞ্চনবাড়ি এলাকায় বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করছে ভারত। ভারতের একই রাজ্যের কুলাইয়ে বাঁধ দেয়ায় হবিগঞ্জের ধলাই নদী অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে। ভারতের ডাউকি নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করায় সিলেটের জাফলংয়ের পিয়াইন নদী ইতোমধ্যে মরে গেছে। হবিগঞ্জের খোয়াই নদীর উজানে ত্রিপুরা রাজ্যের চাকমাঘাট ও কল্যাণপুরে দুইটি বাঁধ নির্মাণ করে পানি নিয়ন্ত্রণ করছে ভারত। এছাড়া হবিগঞ্জের ধনু ও সিলেটের ধলাই নদীর উজানে স্লুইস গেট বসিয়ে নদীর পানি নিয়ন্ত্রণ করায় শুষ্ক মৌসুমে নদী দুইটি পানিশূণ্য হয়ে পড়ে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী সিদ্দিকুর রহমান সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, সিলেটের অভিন্ন নদীর উজানে ভারত কর্তৃক বাঁধ নির্মাণের কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। দিন দিন নদীর পানি প্রবাহ কমলেও এর কারণ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি তিনি।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License