আমাদের সিলেট ডটকম:বিশ্বনাথ থেকে অপহৃত ব্যবসায়ী ফয়জুল খানকে সিলেট নগরীর জিন্দাবাজারস্থ ইউনাইটেড পলি ক্লিনিক থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।বুধবার রাত ৯টার দিকে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে।তার এক আত্মীয়ের মাধ্যমে জানা গেছে, হাসপাতালে ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, কে বা কারা তাকে অপহরণ করে একটি পাহাড়ি অঞ্চলে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি অজ্ঞান ছিলেন। জ্ঞান ফিরলে তিনি দেখতে পান হাসপাতালে। এদিকে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। অপহৃত ব্যবসায়ী হলেন, উপজেলার রামপাশা ইউনিয়নের শ্রীধরপুর গ্রামের মৃত মহি খানের ছেলে ফয়জুল খান। উপজেলা সদরের বিশ্বনাথ-রামপাশা রোডের ঠাকুর মার্কেটে ফয়জুল খান ফার্নিচার মার্ট নামের দোকান ঘর রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ওই মাকের্টে ব্যবসা করে আসছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় ‘অপহৃত’ ফয়জুল খানের ছেলে জয়নুল খান বাদি হয়ে বুধবার সকালে বিশ্বনাথ থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন। যার নং ২৪৪। অপহরণকারীরা’ ফয়জুল খানের মুক্তির জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করেছে বলে জানিয়েছেন তার পরিবার।
ব্যবসায়ীর ছেলে জয়নুল খান জানান, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তার পিতা ফয়জুল খান আসেন। ওইদিন বেলা আড়াইটায় উপজেলার বাগিছা বাজারে যাচ্ছেন বলে দোকান থেকে বের হন। কিন্তু তিনি সন্ধ্যার পরও দোকানে না আসার ফলে রাত ৮টায় আমি আমার পিতার মোবাইলে ফোন করি। এসময় পিতা আমাকে দোকানে থাকার কথা বলেন। এর কিছুক্ষণ পর আবার ফোন করলে আমার পিতার ফোন বন্ধ পাই। বুধবার ভোর রাত ৪টা ১৯ মিনিটে পিতা ফয়জুল খানের মোবাইল নম্বর (০১৭১৮৩১৬৮৯২) থেকে আমার মোবাইল ফোনে (০১৭১৭৯৩০৮২২) ফোন আসে।
কিন্তু পিতার সকল কথা ফোনে বুঝা যায়নি। তবে শেষের দিকে কিছু কথা বুঝা যায়। এতে তিনি টাকা দিলে তাকে ফিরত পাব বলে জানান। তবে কত টাকা দিতে হবে এ বিষয়ে তিনি কিছু না বলে ফোন কেটে যায়। এরপর অনেকবার পিতার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জয়নুল খান বলেন, বুধবার সকাল ১০টায় ‘অপহৃত’ পিতা ফয়জুল খানের মোবাইল নম্বর থেকে তার খালার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে। এসময় ‘অপহরণকারীরা’ ফয়জুল খানের মুক্তির জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করেছে বলে তিনি জানান। আজকের মধ্যে ফয়জুল খানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা না রাখলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছে ‘অপহরণকারীরা।’ জিডির সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার এসআই ফজলে রাব্বি বলেন, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। এ ব্যাপারে যা যা করার আছে, তার সবই করবে পুলিশ।
এদিকে, বুধবার বিকেলে লালাবাজার থেকে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শফিক মিয়াকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ে আসে। পুলিশ সুপার নূরে আলম মীনা জানান, ব্যবসায়ী অপহরণ ঘটনায় তার সংশ্লিষ্টতার ইঙ্গিত পাওয়ায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে এ মুহূর্তে আটক বলা ঠিক হবে না। পরে তাকে বিশ্বনাথ থানায় সোপর্দ করা হয়।
বিশ্বনাথের অপহৃত ব্যবসায়ীকে নগরীর ক্লিনিক থেকে উদ্ধার;জিজ্ঞাসাবাদের জন্য লালাবাজারের সাবেক চেয়ারম্যান শফিক মিয়া আটক
Wednesday, May 7, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment