আমাদের সিলেট ডটকম:
সিলেটের প্রবাসী অধ্যুষিত বিশ্বনাথ উপজেলায় এক ব্যবসায়ী অপহৃত হওয়ার অভিযোগ করেছেন তার পরিবার। ‘অপহৃত’ ফার্নিচার ব্যবসায়ীর নাম ফয়জুল খান (৫০)। তিনি উপজেলার সিদ্ধরপুর গ্রামের মৃত মুহিব খানের পুত্র। উপজেলার নতুন বাজারে রামপাশা রোডে তার ফার্নিচার ব্যবসা রয়েছে।
‘অপহরণকারীরা’ ফয়জুল খানের মুক্তির জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করেছে বলে জানিয়েছেন তার ছেলে জয়নুল খান। এ ঘটনায় বিশ্বনাথ থানায় ‘অপহৃত’ ফয়জুল খানের ছেলে জয়নুল খান একটি জিডি দায়ের করেছেন। যার নং ২৪৪।
জিডি এবং ‘অপহৃতের’ ছেলে জয়নুল খান সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে বাড়ি থেকে রামপাশা রোডে অবস্থিত নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, বিশ্বনাথ নতুন বাজারের রামপাশা রোডের ঠাকুর আলী মার্কেটে অবসি’ত ‘ফয়জুল খান ফার্নিচার মার্ট’-এ যান ফয়জুল খান। দুপুরে জোহরের নামাজ শেষে তিনি ছেলে জয়নুল খানকে ‘বাগিচা বাজার যাচ্ছি’ (বিশ্বনাথ উপজেলাধীন) বলে বেরিয়ে পড়েন।
এরপর সন্ধ্যার পর, এশার আজানের আগে ছেলে জয়নুল খানকে ফোন করে ফিরতে দেরি হবে বলে জানান তিনি। কতক্ষণ অপেক্ষা করে জয়নুল রাত সাড়ে ৮টায় বাবার মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পান। এরপর দফায় দফায় ফোন দিয়েও মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
তাৎক্ষণিকভাবে ফয়জুল খানের আত্মীয়স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নিয়েও তার কোনো খবর পাননি।
বুধবার ভোর রাত ৪টা ১৯ মিনিটে ফয়জুল খানের মোবাইল নম্বর (০১৭১৮৩১৬৮৯২) থেকে তার ছেলে জয়নুল খানের মোবাইল ফোনে (০১৭১৭৯৩০৮২২) ফোন আসে।
জয়নুল খান দাবি করেন, তিনি ‘অস্পষ্টতার কারণে’ ভালো করে কথা শুনতে পাননি। তবে শেষের দিকে তার বাবা ‘আমারে ফাইতে অইলে টেখা দেও’ এমন কথা বলেছেন বলে জানান জয়নুল খান। এসময় তিনি (জয়নুল) কোথায়, কবে, কাকে টাকা দিতে হবে, এমন প্রশ্ন করলে ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তিনি (জয়নুল) সাথে সাথে ফোন করলেও মোবাইল বন্ধ পান।
এদিকে সকাল ১০টায় ‘অপহৃত’ ফয়জুল খানের মোবাইল নম্বর থেকে তার (ফয়জুল) শ্যালিকার মোবাইল ফোনে একটি কল আসে বলে জানান জয়নুল খান। এসময় ‘অপহরণকারীরা’ ফয়জুল খানের মুক্তির জন্য ৩ লাখ টাকা দাবি করেছে বলে জানান তার ছেলে। আজকের মধ্যে ফয়জুল খানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা না রাখলে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দিয়েছে ‘অপহরণকারীরা’, এমনটাই জানান ছেলে জয়নুল খান।
জয়নুল খান আরো জানান, তার বাবার কোনোও শত্রু আছে বলে তার জানা নেই। এমনকি তার বাবা কোনোও রাজনীতির সাথে জড়িত নন বলে তিনি দাবি করেন।
জিডির সত্যতা স্বীকার করে বিশ্বনাথ থানার এসআই ফজলে রাব্বি তদন্ত সাপেক্ষে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান।
No comments:
Post a Comment