আমাদের সিলেট ডটকম:
সিলেট সদরে জলমহাল দখল নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষে প্রায় অর্ধশত আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ ১৫ জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বলাউড়ায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজামাল নূরুল হুদার লোকজনের সাথে বলাউড়ার কাশেম ও ছাতকের মুর্শেদ আহমদের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে কান্দিগাঁও ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের লোকজন অংশ নেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বলাউরা গ্রাম সংলগ্ন জিলকার হাওরে ডিসকভারি নামক একটি কোম্পানির মাধ্যমে মৎস্য প্রকল্প পরিচালনা করে আসছিলেন সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাহজামাল নূরুল হুদা ও তার ব্যবসায়িক অংশীদাররা।
সোমবার সকালে ছাতকের মুর্শেদ আহমদ ও বলাউড়ার কাশেমের নেতৃত্বে একদল লোক ওই জলমহাল দখল করতে আসলে সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষে কান্দিগাঁও ইউনিয়নের আউশা, খালোপাড় ও বলাউড়াসহ ৮টি গ্রামের লোকজন অংশ নেয়।
সংঘর্ষ চলাকালে উভয় পক্ষের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়। এতে ১৫ জন গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক আহত হন। আহতদের সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে রয়েছেন কান্দিগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হিরণ মিয়া, লামারগাও গ্রামের হাজী তোতা মিয়া ছেলে কিরণ মেম্বার (৩০), আউসা গ্রামের দুদু মিয়া ছেলে তোফায়েল (২২),খালরপাড় গ্রামের ময়না মিয়ার ছেলে সামসুল হক (৬০), আশকর আলী ছেলে তুরণ মিয়া (৩৮), হাজী মজর আলী ছেলে জিয়াউল হক (২৮),হাউসা গ্রামের আকলু মিয়া ছেলে মাসুক মিয়া (২২), আরব আলী ছেলে আব্দুল হক (৬০), শেখেরগাও গ্রামের তবারক আলী ছেলে নিজাম উদ্দিন,হাউসা গ্রামের শওকত আলীর ছেলে দবির মিয়া (২৫) প্রমুখ।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গওসুল আলম জানান, জলমহালের মালিকানা নিয়ে ‘ডিসকোভারী’ কোম্পানীর শেয়ারহোল্ডারদের দুটি গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। সোমবার দুপুরে একটি গ্রুপ মাছ ধরতে গেলে উভয় পৰে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।স্থানীয় মুরব্বী ও পুলিশের চেষ্টায় সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলেও দাবী করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
No comments:
Post a Comment