আমাদের সিলেট ডটকম:
সিলেট নগরীর ইলেকট্রিক সাপৱাই এলাকা থেকে কাজী জালাল উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী শেখ কনিকা আক্তার (ছন্দনাম)কে অপহরনের ১৭ দিনও পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। গত ৫ জুলাই বিকেল সোয়া ৪ টার দিকে রায় হোসেন গলির মুখ থেকে কনিকা অপহৃত হয়। এ ঘটনায় অপহৃত ছাত্রীর পিতা বাদি হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় ৪ জনের নাম উলেৱখ্য করে অপহরণের একটি মামলা দায়ের করেন। নং- ২৫ (২২-০৭-১৪)।
মামলার আসামীরা হচ্ছে- নগরীর মজুমদারী ২৪/২ নম্বর মোঃ দুলালুর রহমান দুলালের পুত্র মোঃ সাইদুল রহমান শাফি (১৮),তার পিতা মোঃ দুলালুর রহমান দুলাল (৪০) তার মা লিপি ইয়াসমিন (৩৮) ও নগরীর চৌকিদেখী এলাকার সাদেক হোসেনের পুত্র সজিব (১৯)।
মামলা সুত্রে জানা গেছে, ঘটনার দিন দুপুর দেড় টার দিকে কনিকা আক্তার প্রতিদিনের ন্যায় ইউরেনিয়াম কোচিং সেন্টারে পড়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়। ওইদিন বিকেলে সে কোচিংয়ে পড়া শেষ করে বাসায় ফেরার জন্য ইলেকট্রিক সাপৱাই এলাকার রায় হোসেন গলির মুখে পৌছামাত্র বখাটে সাইদুল রহমান শাফিসহ তার লোকজন কনিকাকে জোরপুর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়ে যায়। সে বাসায় ফিরে আসতে না দেখে তার পরিবারের লোকজন সমম্ভ্য সকল স্থানে খোঁজাখুজি করে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে কনিকার পিতা এয়ারপোর্ট থানায় ঘটনারদিন (১৭২-নং) একটি জিডি এন্ট্রি করে তাকে খোজাখুজি করতে থাকেন। এক পর্যায়ে কনিকার পরিবার জানতে পারেন সাইদুল রহমান দুলাল তার অপরাপর সঙ্গীরা তাকে অপহরন করে নিয়ে গেছে। তবে পিতার ধারনা কনিকাকে জিম্মি রেখে তাকে ধর্ষণসহ যে কোন ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এয়ারপোর্ট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ সমরাজ মিয়া জানান, স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধারের জন্য ও আসামীদের গ্রেফতারের জন্য সকল স্থানে অভিযান অব্যাহত রাখা হয়েছে।
সিলেটে ১৭ দিনেও উদ্ধার হয়নি স্কুল ছাত্রী পিতার অপহরন মামলা
Tuesday, July 22, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment