আমাদের সিলেট ডটকম :
বিশ্বনাথে যৌতুকে দায়ে স্ত্রীর দায়ের মামলায় শনিবার এম.এ নুর উদ্দিন নামের একজনকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জানা গেছে, উপজেলার কাজিরগাঁও গ্রামের আবদুল ছালিকের মেয়ে ছাবিহা আক্তার হেলেনা বাদি হয়ে তার স্বামী এম.এ নুর উদ্দিনকে প্রধান আসামী রেখে আরোও দুইজনকে আসামী করে বিশ্বনাথ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ০৯ (তাং ১৯.০৭.১৪ইং)। মামলার অন্য আসামীরা হলেন-উপজেলার কাজিরগাঁও গ্রামের বাদির শ্বশুড় সিরাজুল ইসলাম, একই গ্রামের মৃত ইছাক আলীর ছেলে আবদুল রহিম। মামলা দায়ের পর শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামী এম.এ নুর উদ্দিনকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯০ সালে ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক ছাবিহা আক্তার হেলেনার বিয়ে হয় উপজেলার কাজিরগাঁও গ্রামের এম.এ নুর উদ্দিন সাথে। বাদিনীর বিয়ের কিছুদিন পর আসামীরা বাদীনীকে যৌতুকের জন্য বিভিন্ন সময়ে শারীরিক ও মানুষিকভাবে অত্যাচার-নির্যাতন শুর্ব করে। এনিয়ে এলাকায় কয়েকবার শালিস বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু আসামীদের মনোভাবের কোন পরিবর্তন না হওয়ায় বাদীনীর পিতা তার মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে বিবাহের ৪/৫ বছর পরে এক লাখ টাকা দিয়ে এম এ নুর উদ্দিনকে প্রবাসে পাঠান। কিন’ বাদীনীর স্বামী বিদেশে থেকেও তার সন্তানদের প্রতি কোন প্রকার দায়িত্বশীলতার ভূমিকা নেয়নি। বাদীনীর স্বামী অনুপসি’তিতে অন্য আসামীরা বাদীনীকে বিভিন্ন সময়ে অত্যাচার করে। বাদীনী সংসারের কথা চিন্তা করে তাদের সকল নির্যাতন সহ্য করে আসছিল।
এদিকে, বাদীনীর স্বামী সমপ্রতি দেশে এসে পূনরায় বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের টাকার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। এতে বাদীনী অপারগতা প্রকাশ করলে আসামীরা তাকে মারপিট করে চিকিৎসা করতে দেয়নি। আসামীরা গত বুধবার রাত ৮টায় যৌতুক বাবদ দুই লাখ টাকা বাদীনীর কাছে দাবি করে। এতে বাদীনী অপারগতা প্রকাশ করলে আসামীরা বাদীনীকে মারপিট করে তার ছয় সন্তান দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়।
এব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক রফিকুল হোসেন জানান, মামলার প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদেরও পাকড়াও করা হবে।
যৌতুক বিশ্বনাথে স্ত্রীর মামলায় স্বামী আটক
Sunday, July 20, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment