মিফতা তালুকদার :
গেল ১৭ ই মার্চ জিম্বাবুয়ে আয়ারল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে যে উৎসবের যাত্রা শুর্ব হয়েছিল, আজ বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে সমাপ্ত হচ্ছে তার। এই ১৮ দিন সময়ের মাঝে এখানে এসে খেলে গেছেন বিশ্ব-ক্রিকেটের বাঘা বাঘা অনেক খেলোয়াড়রা। স্বল্প সময়ের এই আয়োজনের মধ্যে যেমন রয়েছে অনেক পাওয়ার আনন্দ, তেমনি রয়েছে অনেক না পাওয়ার বেদনাও। সিলেটবাসীর প্রত্যাশা ছিল বিশ্বকাপের মূল পর্বের কিছু ম্যাচ পাওয়ার। কিন’ সেই প্রত্যাশা পূরন না হলেও যেটুকু পেয়েছে তারা তাতেই অনেক খুশি। আর সিলেটের এই চমৎকার ক্রিকেট গ্রাউন্ডে খেলতে পেরে খুশি বিদেশী অতিথিরাও। সেই সাথে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, অতিথি পরায়নতা সবকছুতেই সন’ষ্ট তারা। যার প্রমাণ মিলল দৰীন আফ্রিকান ক্রিকেটের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজে। যেখানে সার্বিক অবস্থার প্রশংসা করতে করেনি তারা কোন কার্পণ্য।
প্রত্যেকটি কাজের যেমন রয়েছে একটা সুন্দর সূচনা, তেমনি রয়েছে তার বিদায় বেলর বেদনাও। যেই বেদনায় বেদনাকাতুর হতে হচ্ছে আজ পুরো সিলেটবাসীকে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেখানে দর্শক শূণ্য মাঠে খেলতে হয়, সেখানে সিলেটের দর্শকরা প্রথম দিন থেকে শুর্ব প্রতিটি খেলায় মাঠে এসে দিয়ে গেছেন প্রিয় দলকে প্রাণ খোলে সমর্থন। তাই হয়তো আজ তাদের কষ্টের মাত্রাটাও একটু বেশি। বাংলায় একটি প্রবাদ রয়েছে , যেতে নাহি দেব তবু যেতে দিতে হয়। ঠিক এমনটিই ঘটতে যাচ্ছে আজ সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। বিশ্বকাপের বিদায় বেলায় এখন তাদের একটাই চাওয়া, সিলেটের এই স্টেডিয়াম যেন সারা বছর এমন সবর থাকে। যেন স্টেডিয়ামকে বরণ করতে না হয় বগুড়া শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামের মতো কর্বন পরিনতি।
এদিকে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে গতকাল বৃহষ্পতিবারের খেলায় জয় পেয়েছে নিউজিল্যান্ড ও ভারত। দিনের প্রথম খেলায় নিউজিল্যান্ড ৬ উইকেটে হারিয়েছে শ্রীলংঙ্কাকে। ওপর খেলায়
দিনের শুর্বতেই টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় শ্রীলংঙ্কা। টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে সংগ্রহ করে ১৩১ রান। দলের পৰে সর্বোচ্চ রান করেন জায়ঙ্গানি ৫৮ বলে ৪৬ রান। এছাড়া মেন্ডিস ৩৮ বলে ৪৫ রান, কৌশালে ১৫ বলে ১৮ রান, শ্রীপালি করেন ১০ বলে ১০ রান। নিউজিল্যান্ডের পৰে ব্রাউন ১৬ রানে ২ উইকেট, ডেভিস, ম্যাকই, বেটিস নেন একটি কওে উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়েই কিউইরা পৌছে যায় জয়ের বন্দরে। স্কোর দাড়ায় ১৯ ওভারে ১৩৫/৪। দলের পৰে সর্বোচ্চ ৩৯ বলে ৪৫ রান করেন বেটিস। এছাড়াও প্রাইস্ট ২৮ বলে ৪২, পার্কিং ৩৪ বলে করেন ২৮ রান। লংঙ্কানদের পৰে প্রবধিনি, শ্রীওয়ার্দেনে, রানাসিংহা, ইনোকা নেন একটি করে উইকেট।
দিনের ওপর খেলায় পাকিস্তানকে ৬ রানে হারিয়েছে ভারত।শুর্বতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। কিন’ পাকিস্তানের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বলিংয়ে নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে করে ১০৬ রান। দলের পৰে মিতালি ৪৩ বলে ৩৯ রান, মানদানা ২২ বলে ২২ রান ও পূনম করেন ১৭ রান। পাকিস্তানের পৰে সানিয়া ১৫ রানে ৩ টি ও ইকবাল ১৬ রানে নেন ২ উইকেট।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে মাত্র ১০০ রানে গুড়িয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। ফলে ম্যাচ হাওে তারা মাত্র ৬ রানে। দলের পৰে নাদিয়া সর্বোচ্চ ৩২ বলে ২৬ রান করেন। এছাড়াও নিধা ২৩, সানা ১১ ও ফাতেমা ৯ রান করেন।। ভারতের পৰে সুনিয়া ১৪ রানে ৩ টি, যাদব ২৬ রানে ২ টি, নাইডু ১২ রানে নেন ২ উইকেট।
সিলেট সফরে আইসিসি সভাপতি
মঙ্গলবার র্বটিন সফরের অংশ হিসেবে কক্সবাজার স্টেডিয়াম পরিদর্শন শেষে আইসিসি সভাপতি অ্যালান আইজ্যাক ঘুরে গেলেন সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়াম।
নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার অনুষ্ঠিত পেৱঅফ ম্যাচের পূর্ব মুহূর্তে এসেছিলেন তিনি। এসময় তিনি গ্র্যান্ড স্ট্যান্ড পরিদর্শন শেষে নতুন এই আন-র্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রশংসা করেন বিশ্ব ক্রিকেট সংস’ার এই প্রধান। প্রায় পৌনে দুই ঘণ্টা স্টেডিয়ামে অবস’ান করেছিলেন আইজ্যাক। স্টেডিয়ামের গ্রিন গ্যালারি দেখে মুগ্ধ তিনি। এছাড়া এর আশেপাশের প্রাকৃতিক পরিবেশের প্রশংসাও করেন। দর্শকের সমাগমও মুগ্ধ করেছে তাকে। নিউজিল্যান্ডের নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গেও আলাপ সারেন আইজ্যাক। আইসিসি সভাপতির স্টেডিয়াম পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান পাপন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ড প্রধান হোয়াইক্লিফ ডেভ ক্যামেরুন, বিসিবির পরিচালক মাহবুব আনাম, লোকমান ভূঁইয়া, ড. এইচ মল্লিক, এমএ আওয়াল এবং শফিল আলম নাদেল। এই পরিদর্শনে এসে বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দলের মূল্যায়ন করে নাজমুল হাসান বলেন,‘আমাদের মেয়েদের ওয়ানডে দল ভালোই খেলে। কিন’ টি-টোয়েন্টির জন্য তেমন ক্রিকেটার নেই। আমাদের আরও নতুন ও ভালো নারী ক্রিকেটার তৈরি করতে হবে এই ফরম্যাটের জন্য।’
No comments:
Post a Comment