আমাদের সিলেট ডটকম:
বিশ্বনাথ উপজেলার তালিবপুর গ্রামের ফজর আলী মেয়ে রেছনা বেগম নামক এক তর্বণীকে অপহরণ করে ধর্ষণের ৪দিন পর এলাকার মুরব্বিদের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে রেছনা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল সিলেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং-২২৬ তাং ২৯-০৬-২০১৪ইং ।
মামলা পরিপ্রেৰিতে আদালত থেকে বিষয়টি তদন্তের জন্য বিশ্বনাথ থানা প্রেরণ করা হয়। বিশ্বনাথ থানার এস.আই মোঃ দেলওয়ার হোসেন গত ১১/০৭/১৪ইং তারিখে সরেজমিনে তদন্ত শেষে গত ১৪/০৭/১৪ইং তারিখে ভিকটিম রেছনা বেগমকে মেডিকেল পরীৰার জন্য সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
জানা যায়, বিশ্বনাথ উপজেলা তালেবপুর গ্রামের বাসিন্দা গরীব কৃষক ফজর আলীর মেয়ে রেছনা বেগম (২২) গত ১৫/০৬/২০১৪ইং তারিখে সন্ধ্যার সময় বাড়ীর পুকুরে পা ধৌত করার সময় একই গ্রামের কাছিব আলী ছেলে জয়নাল আবেদীন (৩০) ও রুস্তম আলীর ছেলে বাবুল (৩২) জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যায়। এ সময় রেছনা বাধা দিলে জয়নাল আবেদীন তাকে চাকু দেখিয়ে খুন করার হুমকী দেয়। রেছনাকে জয়নাল তার এক আত্মীয় বাসায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর রেছনাকে সেখান থেকে বাবুল সহ আর ৩/৪ জনের সহযোগিতায় আটোরিক্সা (সিএনজি) যোগে হইদপুর কামালবাজার সুলেমান ড্রাইভার বাড়ীতে নিয়ে য়ায় এবং সেখানে জয়নাল আবেদীন জোরপূর্বক রাতভর ধর্ষণ করে।
পরদিন ১৬/০৬/১৪ই ছাতক থানা গোবিন্দগঞ্জ আসামী জয়নাল আবেদীনের আত্মীয়ের বাড়ীতে নিয়ে যায়। সেখানে ৪ দিন ৪ রাত রেছনাকে তার ইচ্ছার বির্বদ্ধে একাধীকবার ধর্ষণ করে। ৪ দিন পর ২১/০৬/১৪ইং রেছনার পিতা ফজর আলী গ্রামের মুরব্বীয়ানদের সহযোগিতায় রেছনা বেগমকে উদ্ধার করে। বিষয়টি এলাকার মুরব্বীগণ আপোষ মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে রেছনার পিতা বিশ্বনাথ থানায় মামলা করতে গেলে থানার ওসি মামলা নেয়নি। তবে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।নিরুপায় হয়ে ফজর আলী সিলেট আদালতে রেছনাকে বাদী করে নারী ও শিশু নির্যাতন আদালতে ২ জনকে আসামী আর ৩/৪জনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায় করেন।
ভিকটিম রেছনা বেগমের পিতা ফজর আলী জানান, জয়নালের ভাই আহমদ ও আহাদ মামলা তুলে নেয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকী প্রদান করছে। তাই তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনয়া ভোগছেন। তিনি পুলিশের কাছে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা চেয়েছেন এবং মামলা সুষ্ঠু বিচার দাবী করেছেন।
ধর্ষিতা রেছনার মেডিকেল পরীৰা সম্পন্ন পরিবারের নিরাপত্তা চেয়েছেন ফজর আলী
Tuesday, July 15, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment