আমাদের সিলেট ডটকম:
পারিবারিক কলহের জের ধরে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রী ফাইজা বেগমকে (২২) হত্যা করেন পাষন্ড স্বামী আতিকুর রহমান সুমন (২৬)। হত্যার পর নিজেই স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের গ্রিলের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখে। পরে আতিক পরিবারের সদস্যদের বলে ফাইজা আত্মহত্যা করেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে সিলেটের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলী আদালতে আতিকুর রহমান সুমন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করে। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাহেদুল করিমের খাসকামরায় তার প্রায় আড়াই ঘণ্টার এ জবানবন্দী রেকর্ড করেন। আতিক নগরীর দক্ষিণ সুরমা থানার খোজারখলা ১ নম্বর সড়কের ১১৬ নাম্বার বাসার সালেকুর রহমানের পুত্র।
গতকাল শনিবার বিকেলে পুলিশ ময়না তদন্ত শেষে নিহতের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে। আজ ফাইজার লাশ দাফনের জন্য তার আত্মীয় স্বজন কফিন করে হাসপাতালের হিমাগারে রেখে দিয়েছেন ফাইজার লাশ। এদিকে, পুলিশের হাতে আটক হওয়া নিহত ফাইজা বেগমের শ্বশুড় সালেকুর রহমান, ননদ ফাতেমা বেগম ও দেবর মামুন আহমদকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গতকাল শনিবার ছেড়ে দেয়া হয়েছে ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দৰিণ সুরমা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মুমিনুল ইসলাম জানান, গতকাল সিলেটের হাকিম আদালতে ধৃত আতিকুর রহমান সুমন ১৬৪ স্বীকারোক্তিমুল জবানবন্দী দেন। জবানবন্দীতে আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ার জের ধরে নিজে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রী ফাইজাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে সে বাঁচার জন্য আতিক স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের গ্রিলের সঙ্গে লাশ ঝুলিয়ে রাখে আত্মহত্যার প্ররোচনা চালায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী শেষে গতকাল সন্ধ্যার আগে আতিককে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
উলেৱখ্য,মোগলাবাজার থানার কুচাই গ্রামের ফারুক আহমদের কন্যা ফাইজা বেগমের সাথে দৰিণ সুরমা থানার খোজারখলা ১ নং রোডের এ/ব্লকের ১১৬ নম্বর বাসার সালেকুর রহমানের পুত্র আতিকুর রহমান সুমনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক পর্যায়ে ঘটনার ৪০ দিন আগে তাদের দু’জনের বিয়ে হয়। গত শুক্রবার সকালে আতিকুর রহমান সুমন তার স্ত্রী ফাইজা বেগমকে পারিবারিক কলহের জের ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন। এক পর্যায়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে সে স্ত্রীর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঘরের গ্রিলের সাথে তার লাশ ঝুলিয়ে রেখে ফাইজা আত্মহত্যা করেছে বলে নাটক সাজায়। গত শুক্রবার দুপুরে নববধূ ফাইজার গ্রিলের সাথে গলায় ফাঁস লাগানো ওড়না পেঁচানো লাশ দেখতে তারা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে নববধূর লাশ উদ্ধার কওে ওসমানী হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। পুলিশ এ ঘটনায় নিহতের স্বামী আতিকুর রহমান সুমনসহ ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গ্রেফতার করে। পরে ঘটনা উদঘাটনে তাৎক্ষণিক সিআইডির তদন্ত একটি দলও ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামত সংগ্রহ করেন। এ ঘটনায় নিহত ফাইজার পিতা ফার্বক আহমদ বাদী হয়ে একমাত্র আতিকুর রহমান সুমনকে আসামী করে দৰিণ সুরমা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। নং- ৭ (১৮-০৭-১৪)।
সিলেটে নববধূ হত্যাকান্ডের ঘটনা: পারিবারিক কলহের কারনেই স্ত্রী ফাইজাকে শ্বাসরুদ্ধে হত্যা করা হয় # আদালতে স্বামী আতিকের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী
Saturday, July 19, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment