মাহমুদুল হাসান, কায়রো : লাব্বাইক ইয়া গাজা, লাব্বাইক ইয়া ফিলিস্তিন। বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ফিলিস্তিন নিয়ে ব্যথিত মুরসি গান গাইলেন। রোববার কায়রোর পুলিশ একাডেমির ফৌজদারি আদালতে বিচারক ‘শাবান সামীর’ নেতৃত্বে মুসলিম ব্রাদারহোডের জনপ্রিয় নেতা মুহাম্মদ মুরসির বিচার কার্য পুনরায় শুরু হয়। আদালতটিতে মুহাম্মদ মুরসিসহ মোট ১৩১ জন মুসলিম ব্রাদারহোডের শীর্ষনেতার হাজির করা হয়।
মুরসির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের সময় সাধারণ মানুষ হত্যা এবং জেল ভেঙে আসামি পালায়নের সহায়তার অভিযোগ এনে তাকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছে। কায়রোর নিরাপত্তা বিভাগের এক অফিসার বলেন, মুহাম্মদ মুরসিকে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে কাচ দ্বারা বেষ্টিত একটি কক্ষে হাজির করা হলে উপস্থিত ব্রাদারহুডের অন্য নেতারা দাঁড়িয়ে ‘রাবা আল আদাবিয়া’ ফোর ফিঙ্গার সাইন প্রদর্শন করেন এবং মুরসিকে অভিবাদন জানান। এমন সময় মুহাম্মদ মুরসি ফিলিস্তিন নিয়ে নাশিদ/গান ধরেন। গাজা গাজা লাব্বাইক ইয়া গাজা, লাব্বাইক ইয়া ফিলিস্তিন। (গাজা গাজা আমরা তোমাদের জন্য উপস্থিত আছি হে গাজা। হে ফিলিস্তিনবাসি আমরা উপস্থিত আছি) মুরসির সাথে গলা মিলয়ে ব্রাদারহুডের বাকি বন্দীরাও সমস্বরে গেয়ে ওঠেন, গাজা গাজা লাব্বাইক ইয়া গাজা, লাব্বাইক ইয়া ফিলিস্তিন।
উল্লেখ্য, মুহাম্মদ মুরসি হলেন ব্রাদারহোডের নেতা যিনি আরব বসন্তে হুসনি মোবারকের পতনের পর প্রথম গণতান্ত্রিকভাবে মিশরের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। কিন্তু তার শাষনামলের এক বছর পর দেশটির সেনাবাহিনী তাকে অবৈধভাবে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিয়ে নিজেরাই ক্ষমতা দখল করেন এবং মুহাম্মদ মুরসিকে বন্দী করেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগগুলো প্রমাণ করা সম্বভব হলে তাকে ফাঁসিতে ঝুলতে হতে পারে। ২০১২ সালে হামাসের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়েছিল ইসরায়েল। ওই যুদ্ধে ১৮০ ফিলিস্তিনি ও ছয় ইসরায়েলি নিহত হয়েছিলেন। মিশরের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির মধ্যস্থতায় সেই যুদ্ধ বিরতিতে যায় দুই পক্ষ।
সুত্রঃ শীর্ষ নিউজ
No comments:
Post a Comment