আমাদের সিলেট ডটকম:
সিলেট নগরীর কুয়ারপার এলাকায় পানি নিয়ে ঝগড়ার জের ধরে ভাঙ্গাড়ি ব্যবসায়ী শামসুল ইসলাম খুনের ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ঘটনারদিন রাতেই নিহত শামসুল ইসলামের পুত্র মোঃ মাজহার্বল ইসলাম বাদি হয়ে ৬ জনের নাম উলেৱখ্য করে কোতোয়ালী থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। নং-১২।
মামলার আসামীরা হচ্ছে- ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া থানার নয়নবাড়ির নুর্বল আমিনের পুত্র আজিজুল হক আরজু (৩২) তার ভাই জিয়া (২৫), এনাম (৩৫) ও সুজন (২০) তাদের পিতা নুর্বল আমিন (৬০) তার স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪৬)। বর্তমানে তারা নগরীর কুয়ারপাড়ের দেওয়ান ফেরদৌস চৌধুরীর ১২৮ নম্বর বাসার ভাড়াটে। ঘটনার পর পর আটককৃত এজাহারনামী আজিজুল হক আরজু ও তার মা হাজেরাকে গতকাল পুলিশ আদালতে হাজির করে। পরে আদালত তাদেরকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এদিকে, পুলিশ গতকাল দুপুরে নিহত শামসুল ইসলামের লাশ তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোতোয়ালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোঃ সিরাজুল ইসলাম জানান, গতকাল দুপুরে নিহতের লাশ ময়না তদন্ত শেষে তার আত্মীয় স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। আটককৃত মামলার এজাহারনামী আসামী আরজু ও হাজেরাকে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি বলেন, ঘটনার পরে আটক আরজুর দেখানো মতে এ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ধারালো চাকু নুর্বল আমিনের দোকান হতে উদ্ধার করা হয়। ঘটনার মুল রহস্য উদঘাটন ও অপরাপর আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।
উলেৱখ্য, গত রবিবার ইফতারের আগে শামসুল ইসলাম (৬০) কুয়ারপাড়স’ মালিকের বাসার টিউবওয়েল থেকে পানি আনতে যান। এ সময় কে আগে পানি আনবেন এই নিয়ে প্রতিবেশী আরজু মিয়ার সাথে তার ঝগড়া হয়। বিষয়টি ইফতারের পরে সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন বাসার মালিক দেওয়ান ফেরদৌস চৌধুরী। কিন’ মাগরিবের নামাজ শেষে মসজিদ থেকে ফেরার পথে আরজু ছুরিকাঘাত করে শামসুল ইসলামকে। আশঙ্কাজনক অবস’ায় শামসুল ইসলামকে ওসমানী হাসপাতালের ৪র্থ তলার ৫নং ওয়ার্ডে ভর্তি করার ৫ মিনিট পর তিনি মারা যান। নিহত শামসুল ইসলাম কিশোরগঞ্জ জেলার মিটামইন থানার কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত আকবর হোসেনের পুত্র। ঘটনার পর পর স’ানীয় জনতা একই বাসার আজিজুল ইসলাম ও তার মা হাজেরাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সিলেটে ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী খুনের ঘটনায় একই পরিবারের ৬ জনকে আসামী করে ছেলের হত্যা মামলাঃ মা-ছেলে জেলে
Tuesday, July 15, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment