নগরীতে ছাত্রদলের জিল্লুর ও জামাল গ্রুপের কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত ৫,মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ

Wednesday, July 16, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম:

নগরীতে ছাত্রদলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে বুধবার দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৫ জন ছাত্রদলকর্মী আহত ও দুটি মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার বেলা ৩ টায় নগরীর মীরবক্সটুলা এলাকায়। মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর ও ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি আব্দুল আহাদ খান জামাল গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনায় নগরীতে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন সময় উভয় গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়তে পারে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে পুলিশ পৌঁছার পূর্বেই উভয় গ্রুপের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বেলা ২ টায় শহীদ মিনারে ছাত্রদল নেতা জিল্লুল হক জিলু হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন জামাল গ্রুপের নেতাকর্মীরা পালন করে। অপরদিকে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুরের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে বেলা ৩ টায় মহানগর ছাত্রদল মীরবক্সটুলা থেকে মিছিল বের করার প্রস্তুতি নেয়। মানববন্ধন শেষে জামাল গ্রুপের নেতাকর্মীরা চৌহাট্টা মীরবক্সটুলা হয়ে ফিরে যাচ্ছিল মীরাবাজারের দিকে। ঠিক একই সময়ে মহানগর ছাত্রদল নেতা রাজন ও সনির নেতৃত্বে মীরবক্সটুলা থেকে একটি খন্ড মিছিল মূল মিছিলে অংশ নিতে আসছিল। উভয় গ্রুপে মুখোমুখি হয়েই ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। এতে উভয় পৰ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ৫ ছাত্রদল কর্মী আহত হয় এবং জামাল গ্রুপের দুটি মোটর সাইকেলে অগ্নি সংযোগ করে। এ সময় এলাকায় আতঙ্ক দেখা দেয়। লোকজন দ্বিকবিদিগ ছুটাছুটি করে। খবর পেয়ে কোতোয়ালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার পূর্বেই উভয় গ্রুপের কর্মীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ভস্মীভূত দুটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

এব্যাপারে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি আব্দুল আহাদ খান জামাল আমাদের সিলেট ডটকম’কে বলেন,শহীদ মিনারে জিল্লু হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন শেষে আমরা সিনিয়র নেতৃবৃন্দ কোর্টের দিকে চলে যাই। কিছু জুনিয়র নেতাকর্মী যাদের বাসা শিবগঞ্জ, বালুচর এবং মিরাবাজার তারা মীরবক্সটুলা হয়ে ফিরে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে মীরবক্সটুলা পৌঁছা মাত্র তাদের মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে জিল্লুর ও ইমনের নেতৃত্বে স্লোগান দিয়ে নিরীহ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়। ককটেল বিস্ফোরণ করে এবং গুলি চালায়। তিনি বলেন, হত্যাকান্ডের প্রতিবাদ জানিয়ে ফেরার পথে হত্যাকারীরা কিভাবে হামলা চালায় আমার বোধগম্য নয়। আমার মনে হয় এরা সরকারী দলের আর্শীবাদ পুষ্ট হয়ে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে।

অপর দিকে মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি জিয়াউল গণি আরেফিন জিল্লুর ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব এক বিবৃতিতে জানান,বুধবার দুপুরে মহানগর বিএনপির সহ দপ্তর সম্পাদক ও মহানগর ছাত্রদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মাহবুব কাদির শাহীসহ নেতৃবৃন্দের উপর থেকে মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে এবং শাহীর বাসভবনে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবীতে সড়ক ভবন থেকে যখন মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নেতাকর্মীরা, ঠিক তখনি নগরীর চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা অস্ত্র নিয়ে ছাত্রদলের মীরবক্সটুলা ইউনিটের একটি মিছিল সড়ক ভবনে জেলা ও মহানগর ছাত্রদলের মিছিলে অংশগ্রহণে আসার প্রাক্কালে হাওয়াপাড়ার সম্মুখে অতর্কিত হামলা চালায়। তাৎৰণিকভাবে ছাত্রদলের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীর ধাওয়ার অস্ত্রধারীরা পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। বিবৃতিতে তারা বলেন, সিলেটবাসীকে সাক্ষী রেখে আমরা বলতে চাই এই চক্রটি দীর্ঘদিন থেকে সিলেট বিএনপির ঐক্যের বিরোধী এবং সরকারের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে।


motor





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License