ইতালিকে বিদায় করে নকআউট পর্বে উরুগুয়ে

Wednesday, June 25, 2014

আমাদের সিলেট ডটকম: দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকিট পেতে জিততেই হতো উরুগুয়েকে, ইতালির দরকার ছিল কেবল ড্র। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না ইতালির! শেষ আধ ঘণ্টা দশ জন নিয়ে খেলা ইতালি প্রাণপণ চেষ্টা করেও ঠেকাতে পারেনি উরুগুয়েকে। ৮১ মিনিটে উরুগুইয়ান অধিনায়ক ডিয়েগো গডিনের গোল বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিল চারবারের চ্যাম্পিয়নদের।

২০১০ সালের পর এবারো গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে চারবারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি।

৮১তম মিনেটে কর্নার থেকে হেড করে জানলুইজি বুফ্ফনকে পরাস্ত করেন আতলেতিকো মাদ্রিদের ডিফেন্ডার গদিন।

ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে হারিয়ে চমৎকার শুরু করেছিল ইতালি। কিন্তু পরের ম্যাচে কোস্টা রিকার সঙ্গে ১-০ গোলের হারে ছন্দ পতন ঘটে দলটির।

অন্যদিকে কোস্টারিকার কাছে ৩-১ গোলের হার দিয়ে শুরু হয়েছিল গতবারের সেমি-ফাইনালিস্ট উরুগুয়ের। পরের ম্যাচে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রাখে দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।

গ্রুপের অন্য ম্যাচে ইংল্যান্ডের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে ‘ডি’ গ্রুপের শীর্ষ দল হিসেবেই শেষ ষোলতে পৌঁছেছে কোস্টারিকা।

নকআউট পর্বে যেতে মাত্র ১ পয়েন্ট প্রয়োজন ছিল ইতালির। জয় নয় ১ পয়েন্টের লক্ষ্যেই খেলছিল ইতালি। চেজারে প্রানদেলি­র দলটির রক্ষণ ভাঙতে পারছিল না উরুগুয়ে। তবে ক্লাদিও মার্কিসিওর লাল কার্ড সব পরিকল্পনা এলোমেলো করে দেয়।

মঙ্গলবার নাতাল স্তাদিও দাস দুনাসে প্রথমার্ধে গোলের পরিস্কার কোনো সুযোগ তৈরি করতে পারেনি কেউই। দুর্ভেদ্য রক্ষণ দুর্গ ভেঙে জানলুইজি বুফ্ফনকে তেমন কোনো পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি লুইস সুয়ারেজ, এডিনসন কাভানিরা।

নিষ্প্রভ ছিলেন ইতালির স্ট্রাইকার মারিও বালোতেলি­। দ্বিতীয়ার্ধে এসি মিলানের এই স্ট্রাইকাররা আর মাঠেই নামাননি চেজারে প্রানদেলি­।

১২তম মিনিটে ম্যাচের প্রথম সুযোগটি পেয়েছিল ইতালি। আন্দ্রেয়া পিরলোর ফ্রিকিক ঠেকিয়ে দিতে কোনো সমস্যা হয়নি উরুগুয়ের গোলরক্ষক ফার্নান্দো মুসলেরার।

খেলার ধারার বিপরীতে ৩৩তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল উরুগুয়ে। তবে বুফনের দৃঢ়তায় বেঁচে যায় ইতালি। প্রথমে সুয়ারেসের ও ফিরতি বলে নিকোলাস লোদেইরার শট ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন বুফ্ন।

৫৮তম মিনিটে একটি সুযোগ পেয়েছিল উরুগুয়ে। সুয়ারেস চমৎকার একটি পাস দিয়েছিলেন ক্রিস্তিয়ান রদ্রিগেসকে। বাদিক থেকে ডি বক্সে ঢুকে শট নিয়েছিলেন তিনি। বল রাখতে পারেননি, নিজে শট না নিয়ে একটু পেছনে থাকা কাভানিকে পাস দিলে ভিন্ন ফল হতেই পারতো।

পরের মিনিটে আরেভালো রিয়োসকে ফাউল করে সরাসরি লালকার্ড দেখেন ক্লাদিও মার্কিসিও। তিনি মাঠ ছাড়লে আরো আক্রমণাত্মক হয়ে উঠে উরুগুয়ে।

৬৬তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো উরুগুয়ে। কিন্তু আবারো চারবারের চ্যাম্পিয়নদের ত্রাতা অধিনায়ক বুফ্ন। বক্সের বাইরে থেকে বল পেয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন সুয়ারেজ। কিন্তু ঝাঁপিয়ে পড়ে সেই চেষ্টাটি ব্যর্থ করে দেন বুফন।

৭৯তম মিনিটে জর্জো কিয়েলি­নির সঙ্গে বিবাদে জড়ান সুয়ারেজ। সংঘর্ষের পর পড়ে গিয়েছিলেন দুই জনই। ইতালির ডিফেন্ডার দাবি করেন, তাকে কামড় দিয়েছেন উরুগুয়ের স্ট্রাইকার।

৮১তম মিনিটে আর পারেননি বুফন। কর্নার থেকে গদিনের হেড জালে খুঁজে পেলে এগিয়ে যায় দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা।

এরপর রীতিমত মরিয়া হয়ে উঠেছিল ইতালি। কিন্তু উরুগুয়ের জমাট রক্ষণ ভাঙতে পারেনি তারা। প্রতি-আক্রমণ থেকে কয়েকটি সুযোগ পেয়েছিল লাতিন দলটিও। কিন্তু সুয়ারেজের ব্যর্থতায় অন্তত দুবার বেঁচে যায় ইতালি।

সমতা ফেরাতে মরিয়ে ছিলেন প্রানদেলি­র শিষ্যরা। এমনকি ম্যাচের শেষের দিকে গোলবার খালি রেখেই উরুগুয়ের রক্ষণভাগে উঠে এসেছিলেন বুফ্ন। উরুগুয়ের খেলোয়াড়দের পায়ে বল গেলেও গোলপোস্টে ফেরেননি, বল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। পারেননি, কিন্তু আর গোলও খেতে হয়নি। রেফারি বাঁশি বাজার সঙ্গে সঙ্গে নিশ্চিত হয়ে যায় ইতালির বিদায়।





Share on :

No comments:

Post a Comment

 
Copyright © 2015. Sylhet News.
Design by Herdiansyah Hamzah. Published by Themes Paper. Distributed By Kaizen Template Powered by Blogger.
Creative Commons License