আমাদের সিলেট ডটকম:
সিলেট চেম্বার অব কমার্সের সাবেক প্রশাসক ও সুজন, সিলেটের সম্পাদক ফার্বক মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সিলেটবাসী জেলা বাজেটে কিছু না পেলেও জাতিসংঘে স্থায়ী সদস্য পদ পেয়েছেন সিলেটের একজন। জাতীয় অধ্যাপক হয়েছেন সিলেটের আরেকজন। আর তারা হচ্ছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতের ভাই ও বোন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিলেটের উন্নয়নের দায়িত্ব নিয়েছিলেন, কিন্তু সিলেটবাসী এখন পর্যন্ত গত ৯ বছরে কাজিরবাজারের সেতুটির সমাপ্তি দেখতে পারেননি। স্পেশাল ইকোনমিক জোন শ্রীমঙ্গলে হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখন শুনছি সেটি হবে শেরপুরে। নিশ্চয়ই কেউ একজন এখানে জায়গা কিনে রেখেছেন। তাকে লাভবান করতেই শেরপুরে এই ইকোনমিক জোন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, শিৰামন্ত্রী সিলেটের থাকলেও জেলার কোনো বালক-বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় সরকারি হয়নি। শিৰামন্ত্রীর বাড়ি বিয়ানীবাজারে দুই বোন ধর্ষিত হয়েছে, কিন্তু শিৰামন্ত্রী নীরব। তিনি আরো বলেন, সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামের সীমানা প্রাচীর ধসে তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে। আমার মনে হয়, তারা কোনোদিন ৰতিপূরন পাবে না। সিলেট বিভাগীয় স্টেডিয়ামে যে নিম্নমানের কাজ হয়েছে, সেটা এই প্রাচীর ধসের মাধ্যমেই প্রমাণিত।
রোববার রাতে সিলেট নগরীর একটি অভিজাত হোটেলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ ও সুজন আয়োজিত ‘বাজেট পরবর্তী আলোচনা সভা’য় তিনি এসব কথা বলেন।
এই অনুষ্ঠানে মদন মোহন কলেজের অধ্যৰ ড. আবুল ফতেহ ফাত্তাহ বলেন, মাননীয় অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে সম্মান জানিয়ে বলতে চাই, দেশের শিৰাখাতে বাজেট বরাদ্দ বেশি দেখানো হলেও এ বাজেটের সিংহ ভাগ চলে যায় ক্যাডেট ও সেনাবাহিনীর শিৰা একাডেমীতে । সাধারণ শির্ৰার্থী ও শিৰকদের উন্নয়নে এ বাজেট নিতান্তই অপ্রতুল।
তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী বলেছেন আর কোনো শিৰা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হবে না। এটা দেশের মানুষ মেনে নিতে পারে না। শিৰার বিকাশে শিৰা প্রতিষ্ঠানগুলো এমপিওভুক্ত হওয়া জরুরী।
সিলেটে বাজেট পরবর্তী আলোচনা সভা:সিলেট কিছু না পেলেও অর্থমন্ত্রীর ভাই-বোন অধিষ্ঠিত হয়েছেন উচ্চপদে
Sunday, June 22, 2014
Labels:
# আমাদের সিলেট
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment